পুজোর আগে ভ্রমণপ্রেমীদের দারুন খবর দিলেন মদন মিত্র

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুন ২৪, ২০২৩ @ ০১:৪৬
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৩ জুন: পর্যটন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে এসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মদন মিত্র ভ্রমণপ্রেমীদের দিলেন দারুন খবর। পর্যটন নিয়ে রাজ্য সরকার যে সমস্ত পরিকল্পনা করছে তার মধ্যে একটি হল তার এই খবর। এদিন মদন মিত্র বলেন- রাজ্য পরিবহন নিগমের ব্যবস্থাপনায় পুজোর আগে সাতদিনের প্যাকেজ ট্যুর ঘোষণা করতে চলেছি। এই প্যাকেজ ট্যুরে ভ্রমণপ্রেমীরা রাজ্যের আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য স্থাগুলি দেখতে পাবেন।

এদিন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ‘দ্য বেঙ্গল ট্রাভেল মার্ট’ পর্যটন প্রদর্শনী উৎসব-এর উদ্বোধন করতে এসে মদন মিত্র বলেন- আপনাদের আমি একট খবর দি।। এই মুহূর্তে আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে পশ্চিমবঙ্গ স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাচ্ছি। আমরা আগে থেকে প্ল্যানিং করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের প্ল্যানিং এবার করতে শুরু করেছি। আমরা সাতদিনের প্যাকেজ ট্যুর ঘোষণা করতে যাচ্ছি। সরকারি বাসে, সরকারি ক্যাটারিং এবং সরকারি গেস্ট হাউসগুলিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা, অন্যান্য সব কিছু থাকবে।

সারা পৃথিবীর অন্যতম সেরা হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল এই দুর্গা পুজো

এদিন মেলায় মদন মিত্র একেবারে পর্যটকের মেজাজে ছিলেন। ভ্রমণ নিয়ে এদিন তিনি অনেক কথাই বলেন। সেই সঙ্গে ইদানীং সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ পরিবেশন নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন- টিভি খুললে খবর দেখবেন অন্য। কাগজ খুললে খবর দেখবেন অন্য। কিন্তু বাস্তবে যখন আসবেন দেখবেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার ছৌ নাচের শিল্পীরা তারা মা দুর্গার আগমনী করছে। আমরা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছি না পুজো এসে গেছে। পুজোর খবরই ছিল না। আমি আয়োজকদের কৃতিত্ব দিতে চাই এই জন্য যে পুজোর আগে ঢাক যদি কেউ বাজিয়ে থাকে সেটা আপনারাই বাজিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ তার কারণ, আজ দুর্গা পুজো শুধু বাঙালির দুর্গা পুজো নয়, শুধু প্রবাসী বাঙালির আজ দুর্গা পুজো মানে ইউনিসেফ। সারা পৃথিবীর অন্যতম সেরা হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল এই দুর্গা পুজো।

বাংলার ভ্রমণ নিয়ে বললেন নানা কথা

“আপনাদের বলি, যত পারেন বেড়ান। আর একটু স্বার্থপরের মতো বলবো পশ্চিমবঙ্গের জায়গাগুলো বেশি করে ঘুরুন। কারণ, আমরা পর্যটনে দার্জিলিং তো ছেড়েই দিন দার্জিলিঙের পাশে এক দিকে ডুয়ার্স, এক দিকে লামহাটা, এক দিকে জলপাইগুড়ি, আর এক দিকে কার্শিয়াং। আর এক দিকে কালিম্পঙ। আবার একই সঙ্গে দীঘার সঙ্গে তাজপুর, মন্দারমণি, নিউ দীঘা। সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় হচ্ছে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়, হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়।

‘ইটাচুনায় রাজবাড়ির একটি ঘরের ভাড়া ১৬ হাজার টাকা’

“কয়েকদিন আগে একজন আমাকে এসে বললেন, আমি একটু ইটাচুনায় যাচ্ছি। আমি বললাম, ইটাচুনা তো একটা কলেজ ছিল। আমি অনেক আগে সেখানে বক্তৃতা করতে গেছিলাম। এটা বর্ধমান আর হুগলির মাঝখানে। তিনি বললেন, আপনি জানেন, আমার রুমটার ভাড়া কত? আমি বললাম কত? বল, ১৬ হাজার টাকা।ইটাচুনা , বর্ধমান আর হুগলির মাঝখানে, একটা রুমের ভাড়া ১৬ হাজার টাকা। আমি জানতে চাইলাম কেন? বলল, ইটাচুনার যে রাজবাড়ি সেই রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। একদিকে মহিষাদল, একদিকে ত্রিবেণী, এক দিকে ব্যান্ডেল। আমি আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে বলছি- সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। এখন হচ্ছে সব তীর্থ একবার, গঙ্গাসাগর বারবার। যখন পৌঁছবেন তখন লঞ্চ পাবেন। বকখালি যান, রায়দীঘি যান চারিদিকেই ঘোরার অফুরন্ত জায়গা। কেন পশ্চিমবঙ্গের নাম আমি বললাম জানেন, আমি এই রাজ্যে থাকি। তাই আমি আমারটা বললাম।” বললেন, রাজ্য পরিবহন নিগমের বর্তমান চেয়ারম্যান।

ভারতবর্ষের মানুষ শুধু ঘুরতে চায়, মনে করেন মদন

ত্রিপুরার উদয়পুরে উদয়পুরী মন্দির, আপনাকে নিশ্চয়ই যেতে হবে। আপনি নিশ্চয়ই আসামের গুয়াহাটির কামাক্ষা মন্দিরে যাবেন, কাশ্মিরে যাবেন, কাশ্মীরে তো এখন বরফ গলে পড়ছে না এখন সোনা গলে পড়ছে। একদিকে সোনমার্গ, একদিকে গুলমার্গ। আপনাদের আমি বলি, ভারতবর্ষের মানুষ কিচ্ছু চায় না, ভারতবর্ষের মানুষ শুধু ঘুরতে চায়। বাড়িতে মন বসে না। দুটো হাতে রান্না করা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ থাকলে দরকার হলে না হয় ফাইভ স্টারে খাবো না, রাস্তায় ধাবায় খেয়ে নেব। কিন্তু তবুও ঘুরতে চলো।

‘কি হবে রোজ এই নানারকম ঝামেলার মধ্যে থেকে’

আগামিবার আপনাদের একটা স্টলের সংখ্যা বাড়বে। সেই স্টলের নাম হবে ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন। কলকাতা ট্রাম, কোম্পানি, ক্যালকাটা স্টেট ট্রান্সপোর্ট, ভূতল পরিবহন, ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেল্পমেন্ট কর্পোরেশন, আমাদের ট্যুরিজম সর্বত্র আমরা চেষ্টা করেছি। পর্যতন পরিবহন এক দিকে যেমন আনন্দ দেয়। বেরাতে যাওয়ার আর এক দিকে আপনার গন্তব্যস্থলের দিকে আপনাকে পৌঁছে দেয়। তাই এই ট্রাভেলস্কে বলব চারিদিকে পুজোর বাজনা বাজিয়ে দিন। তার সঙ্গে গান বাজিয়ে দিন দে দে পাল তুলে দে, মাঝি হেলা করিস না,/ ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা। পাল তুলে দিন। ছেড়ে দিন নৌকা। কি হবে রোজ এই নানারকম ঝামেলার মধ্যে থেকে।

Published on: জুন ২৪, ২০২৩ @ ০১:৪৬


শেয়ার করুন