
বৃহস্পতিবার রাত দশটার মধ্যেই প্রচার শেষ করার নির্দেশ।
রাজ্য থেকে তুলে নিল এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারকে।
অপসারিত করা হল স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে।
Published on: মে ১৫, ২০১৯ @ ২৩:৪৫
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবারই কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড-শো ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড বেধে গেছিল। ছড়িয়েছিল হিংসা। লোকসভা ভোটের শেষ পর্যায়ের নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে ভাবিয়ে তুলেছিল। আর সেই ভাবনা আর উদ্বেগ থেকে যাতে হিংসার পুনরাবৃত্তি না ঘটে যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দেশে সম্ভবত এই প্রথম কোনও নির্বাচনে কোনও রাজ্যে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করা হল। আর সেই মতো নির্বাচনের প্রচারেও রাশ টানলো নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট সময়সীমার একদিন আগেই প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কমিশন।
শেষ পর্যায়ে রাজ্যে ন’টি কেন্দ্রে ভোট
শেষ পর্যায় অর্থাৎ সপ্তম দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ন’টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এগুলি হল- দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর, ডায়মন্ডহারবার, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা। এই ন’টি আসনের প্রার্থীদের প্রচার আগামিকাল রাত দশটার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। অর্থাৎ অন্যান্য রাজ্যে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রচার চললেও এ রাজ্যের প্রার্থীরা সেই নিয়মের বাইরে থাকবেন। বুধবার দিল্লিতে উপ-নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে এখবর জানিয়েছেন।
যদিও প্রচারের সময়সীমা ছিল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে ১৯শে মে।
উত্তেজনা বাড়ে গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড-শো ঘিরে। কলকাতায় তাঁর রোড-শো ঘিরে ছড়ায় হিংসা। এইসময় বিদ্যাসাগর কলেজে সমাজসংস্কারক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। আর তা নিয়ে উত্তেজনা ছরায় গোটা রাজ্যে।
ভিডিও কনফারেন্সের পরই সিদ্ধান্ত
এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের তিনজনের প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। কমিশন জানিয়েছে, এই প্রথম নির্বাচন কমিশন ৩২৪ ধারা বলবৎ করলো। হিংসা ও বিশৃঙ্খলা যাতে আর না ছড়ায় এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করা যায় সেই দিকে খেয়াল রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ
এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন আরও দু’টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে একটি হল পশ্চিমবঙ্গের বিতর্কিত আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে রাজ্য থেকে একেবারে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের শুরুতেই তাঁকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে অপসারিত করে কমিশন। এরপর তাকে এডিজি সিআইডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরও কলকাতায় বসে ভোটে কিছু প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালানোর গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। কমিশন সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখেই রাজীব কুমারকে এডিজি সিআইডি পদ থেকে অপসারিত করাই নয় আগামিকাল সকাল দশটার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে সেখানেই তাঁকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন মুখ্যসচিব
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে অপসারিত করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অবিলম্বে তাঁকে দায়িত্ব ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে এই দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দে-কে।
Published on: মে ১৫, ২০১৯ @ ২৩:৪৫