
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: একেবারে উল্টো ছবি বিহার-উত্তরপ্রদেশে। ভোট উৎসব বলতে যা বোঝায় ঠিক সেই ছবি দেখা গেল এই দুই রাজ্যে। যেখানে সকাল থেকে অশান্তির খবরে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সেখানে বিহার-উত্তরপ্রদেশের এমন শান্তির ছবি কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা থাকলেই শান্তিতে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব।
প্রার্থীর মুখ দিয়ে ঝরেছে রক্ত
আজ সকালে ছাপ্পা ভোট কিংবা বুথ জ্যাম কিংবা এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে যখন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং ছুটে বেড়িয়েছে এক প্রান্ত থকে আর এক প্রান্তে তখন কোথাও তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে আবার কোথাও তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। ঝরেছে ঠোঁট দিয়ে রক্ত। আক্রান্ত হয়েছেন খোদ প্রার্থী।
আবার এই বারাকপুর কেন্দ্রেরই আর এক জায়গা আমডাঙায় দলের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছে সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়কেও।
এক ভোটার ‘দু্টি ভোট’
আবার কোথাও আবার সামনে এসেছে এক বুথে এক ভোটার দুবার ভোট দিতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। মক পোল হয়ে যাওয়ার পর সেই সংখ্যা মুছে না দিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। ৮৫ জনের ভোট গ্রহণ হয়ে যাওয়ার পর প্রিসাইডিং অফিসারের মনে হয় এটা ভুল হয়েছে। এরপর ফের তিনি ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন প্রশ্ন- এমন ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসারের কি সত্যি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে?
বলে দিচ্ছেন কত নম্বর বোতাম টিপতে হবে
আরামবাগে একটি বুথে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের এক ছাত্র নেতা বুথের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটারদের বলে দিচ্ছেন কত নম্বর বোতাম টিপতে হবে। নিউজ চ্যানেলের পর্দায় দেখা গিয়েছে- ওই নেতা কোনও মহিলাকে বলছেন- কাকিমা ১ নম্বর বোতাম। এরপর তাঁকে সটান ইভিএম মেশিনের কাছে চলে যেতেও দেখা গিয়েছে।
কলসি আর রঙ্গোলিতে সেজেছে বিহারের এই নির্বাচন কার্যালয়
এমন অশান্ত পরিবেশে যখন ভোট চলছে ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেল বিহার আর উত্তরপ্রদেশে। বিহারে সারন জেলা নির্বাচন কার্যালয়কে রীতিমতো কলসি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। করা হয়েছে রঙ্গোলি। রঙ-বেরঙের নকশা এঁকে এক শান্তির প্রতীক গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে। পিছনে এক পোস্টার টাঙানো হয়েছে- যেখানে লেখা- ‘তেরা ভোট মেরা ভবিষ্য’।
রঙীন বেলুনে উৎসবের আমেজ অমেথির এই বুথে
একই রকমের শান্তির আর উৎসবের ছবি উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশের একটি বুথেও। অমেথি লোকসভা কেন্দ্রের এই বুথে বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে বেলুনের গোছা দিয়ে একেবারে উৎসবের মতো করে সাজানো হয়েছে বুথটিকে। যা দেখে মনে হচ্ছে- হ্যাঁ, সত্যি, এখানে ভোট উৎসব পালিত হচ্ছে।