Published on: অক্টো ১৮, ২০১৮ @ ১৪:০৩
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৮ অক্টোবরঃ আজ মহানবমী। নবরাত্রির আজ শেষ রাত্রি। দেবাদিদেব মহাদেবের নির্দেশে কার্তিক-গণেশ টানা ন’দিন ধরে মায়ের ন’টি রূপকে আবাহন করেছিলেন। অশুভ শক্তির আঁধার অঘোর সন্ন্যাসী মল্লার ও মণির অশুভ যন্ত্র থেকে মে পার্বতীকে তাঁর পুনঃস্বরূপে নিয়ে আসার জন্য কের্তিক ও গণেশকে যজ্ঞ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকে নব রাত্রির পুজোর প্রচলন হয়। যজ্ঞস্থলে সেইসময় উপস্থিত ছিলেন মহর্ষি ভৃগু, দেব ঋষি নারদ, দেব গুরু বৃহষ্পতি, দেবী পার্বতীর মাতা অবশ্যই দেবাদিদেব মহাদেব। টানা আটদিন ধরে এক একজন মায়ের এক এক রূপের বর্ণনা করেন।
শেষদিন অর্থাৎ নবম দিনে মায়ের নতূন রূপের বর্ণনা করেন স্বয়ং মহাদেব। মহাদেব এদিন যে রূপের বর্ণনা করেন তা এক কথায় অসাধারণ। নবমীতে মা সিদ্ধিদাত্রী রূপে প্রকট হন। মা সিদ্ধিদাত্রী চতুর্ভূজা স্বরূপা। পদ্মফুলের উপর উপবিষ্ট হয়ে থাকা মে সিদ্ধিদাত্রীর চার হাতে থাকে পদ্ম, গদা, লোহার চাকতি ও বই। তাঁর চারপাশে থাকে সিদ্ধাস, গন্ধর্ব, যক্ষ, অপদেবতা ও দেবতা।
বিশ্বাস ও আস্থা-নবমীতে মায়ের এই রূপকে কল্পনা কজে পুজো করলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়ে থাকে।নবম দিনে পুত্র কার্তিক ও গণেশকে মা সিদ্ধিদাত্রী রূপের বর্ণনা দিয়ে মহাদেব বলেন-” যাঁরা শ্রদ্ধা-ভক্তি নিয়ে নবরাত্রির আবাহন করবে তাঁরা মহাদেবেরও আশীর্বাদ প্রাপ্তি লাভ করবে। ” এভাবেই মায়ের নবরাত্রির পুজোর সমাপ্তি হয়ে থাকে নবমীতে।
Published on: অক্টো ১৮, ২০১৮ @ ১৪:০৩