NRC ইস্যুতে সুর চড়াল মমতাঃ এ তো গৃহযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ৩১, ২০১৮ @ ২৩:০২

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার সিটিজেন্স(এনআরসি) তালিকায় ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ পড়া নিয়ে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। মঙ্গল্বার তিনি দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে দেখা করে নিজের মতামত স্পষ্ট করে দিয়ে এসেছেন।সেই সনজ্ঞে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাঁর হুমকি -এ তো রীতিমতো গৃহযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।

এদিনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আস্বস্ত করে জানিয়েছেন, এনআরসি বিলের জায়গায় নয়া বিল নিয়ে আসার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে এনআরসি তালিকার বাইরে থাকা লোকজন্দের কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের পক্ষে হয়রান করা হবে না। যাদের তালিকায় নাম নেই তাদের সুযোগ দেওয়া হবে বলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।

এর আগে এদিন নয়া দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে য়ায়োজিত এক অনুষ্ঠানে মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভোটে জেতার জন্য বিজেপি সরকার এই ঘৃণ্য কাজ করল।তিনি বলেন, তালিকায় যার নাম নেই সে তো নিজের পরিচয় হারাবে। কেন্দ্রের এ ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত ছিলযে দেশ ভাগের আগে ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ এক ছিল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন তারা সকলেই ভারতীয় নাগরিক ছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি বাঙালিরা বিহারীদের বাংলায় থাকতে না দেয়, দক্ষিণ ভারতীয়রা যদি উত্তর ভারতীয়দের তাদের জায়গায় ফিরে যেতে বলে অথবা উত্তর ভারতীয়রা যদি দক্ষিণ ভারতীয়দের নিজেদের রাজ্যে থাকতে না দেয় তাহলে তখন দেশের কি হাল হবে একবার ভেবে দেখুন? আমরা সবাই এক সাথে আছি, এক পরিবারের মতো।”

মমতা আরও বলেন, আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলী আহমেদের পরিবারের সদস্যের নাম এনআরসি তালিকায় নেই। এ নিয়ে কি বলার থাকতে পারে? এমন আরও বহু মানুষের নাম এই তালিকায় নেই। কিন্তু বাংলায় আমি এসব করতে দেব না, কারণ সেখানে আমাদের সরকার আছে। আজ এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে এদের আজ ভোট দানের ক্ষমতা পর্যন্ত নেই।

মমতা আরও বলেন, কাল যে ৪০ লাখ লোক সত্তারূড় দলের হয়ে ভোট দিয়েছিলেন আজ তাদেরকেই নিজের দেশে উদ্বাস্তু বানিয়ে দেওয়া হল।

Published on: জুলা ৩১, ২০১৮ @ ২৩:০২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

30 + = 34