Published on: এপ্রি ৬, ২০১৯ @ ২২:২৯
এসপিটি নিউজ, শিলিগুড়ি, ৬ এপ্রিলঃ আজ শনিবার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের একটি ইঞ্জিন আচমকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মহানদী এবং কার্শিয়াংযের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রেলের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। মেরামাতির কাজ চলছে।
কবে থেকে শুরু হয়েছে
1) দার্জিলিং হিমালয়ান রেল যা টয়ট্রেন নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে এই টয়ট্রেন। এটি দ’ফুটের ন্যারো গেজ রেল পরিষেবা। এটি তৈরি হয়েছিল ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যে। রেলপথটির দৈর্ঘ্য ৮৬ কিলোমিটার। শিলিগুড়িতে এর উচ্চতা ৩২৮ফুট এবং দার্জিলিঙে ৭,২১৮ফুট। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
2) এক সময় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি রেল পরিবহন ছিল না। শিলিগুড়ি থেকে একটি হিল কার্ট রোডের মাধ্যমে দার্জিলিঙের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হতো। সেই সময় টাঙ্গা পরিষেবা চালু ছিল। সেই সময় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেল ওয়ে কোম্পানির জনোইক এজেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন প্রিস্টেজ বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের মাধ্যমে শিলিগুড়ির সঙ্গে দার্জিলিংকে যুক্ত করার এক প্রস্তাব দেন। তখন বাংলার লেফটান্যান্ট গভর্নর ছিলেন স্যার অ্যাশলে ইডেন। তিনি প্রিস্টেজের প্রস্তাব উত্তম মনে করে তাতে ইতিবাচক সাড়া দেন। সেই বছরেই কাজ শুরু হয়।
3) গিলেন্ডার্স আর্বাথনট অ্যান্ড কোম্পানি এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ১৮৮০ সালের ২৩শে আগস্ট প্রথম শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত রেল পথ চালু হয়। এরপর ১৮৮১ সালের ৪ঠা জুলাই দার্জিলিং পর্যন্ত লাইনের সম্প্রসারণের পর তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দার্জিলিং ও ঘুমের সেনা ক্যাম্পে রসদ সরবরাহের সময় এই রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। স্বাধীনতার পর ভারতীয় রেল দার্জিলিং হিমালয়ান রেল অধিগ্রহণ করে এবং তা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়।
Published on: এপ্রি ৬, ২০১৯ @ ২২:২৯