
Published on: আগ ২৪, ২০১৮ @ ২০:৩৭
এসপিটি নিউজ, ঢাকা, ২৪ আগস্টঃ আবার আগের মতো পরিচ্ছন্ন হয়ে হয়ে উঠছে ঢাকা শহর। যেভাবে শহরের দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা পরিশ্রম করে চলেছেন তাতে খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয়ে যাবে ঢাকা শহর। শুক্রবার পর্যন্ত গত তিনদিনে ঢাকায় মোট ২৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে।শুধু মাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে নতুন করে আরও দেড় হাজার টন বর্জ্য জমেছিল, এগুলো সন্ধ্যার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।” ঈদের তৃতীয় দিন নগরীর যেসব এলাকায় কোরবানি হয়েছে, সেগুলোর বর্জ্য করপোরেশনের কর্মীরা সাথে সাথে অপসারণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে বলে তিনি জানান।
বাবুল জানান, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পর রাস্তায় লেগে থাকা পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য শুকনো ময়লা সিটি কর্পোরেশনের ১২টি পানির গাড়ি করে জীবানুনাশক ওষুধ ও ব্লিচিং পাউচার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করা হচ্ছে। এর আগে বুধবার কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের সাড়ে আট হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করে ঈদের দিনে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে বলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।
এদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ১০০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ১৫ হাজার টন অপসারিত হয়েছিল বলে জানান তিনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে কোরবানির মোট বর্জ্য ১৮ হাজার টন হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঈদের তৃতীয় দিনও যেহেতু বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনা জমবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্কারের কাজ চলবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, “দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় শতভাগ এলাকা বর্জ্যমুক্ত হয়েছে। যেসব এলাকায় চামড়া স্তূপ করার কারণে রক্ত জমে গিয়েছে সেখানেও খবর পেলে সিটি করপোরেশনের টিম গিয়ে জল ছিটিয়ে দিচ্ছে। আজকেও আমি যাত্রবাড়ি, গুলিস্তানসহ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছি। পরিস্থিতি বেশ সন্তোষজনক। সব কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা কাজটি সুচারু রূপে করতে পেরেছি।”
বৃহস্পতিবার নগর ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছিলেন, ঈদের পর ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। ঢাকা সম্পূর্ণ বর্জ্যমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোন-২ এর সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, “ঈদের তৃতীয় দিনেও মিরপুরের কিছু কিছু এলাকায় পশু কোরবানি হয়েছে। আমাদের হটলাইন নাম্বারে কল করলেই আমরা সেসব বর্জ্য নিয়ে আসতে কর্মী পাঠাচ্ছি। কোথাও কোন বর্জ্য পড়ে থাকতে দিচ্ছি না।” এছাড়া সড়কে পশুর রক্ত, শুকনো বর্জ্য না থাকে সেজন্য মিরপুরের সড়কগুলোতে সেভলন ও ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনায় মহাখালীর কন্ট্রোল রুমে কর্মরত শহীদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকার খবর তারা পাননি। তবুও কোথাও নতুন করে কোরবানি হলে তার বর্জ্য অপসারণের জন্য তারা রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করবেন বলে জানান। উত্তরায় কর্মরত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মহসিন জানান, ১৫ নং সেক্টরে গরুর হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ বৃহস্পতিবার রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকালে এলাকার রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছিল।
Published on: আগ ২৪, ২০১৮ @ ২০:৩৭