ডিইউজে-র নির্বাচন নিয়ে যা ঘটল তা খুবই দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক-উঠল পুনরায় নির্বাচনের দাবিও

বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ১, ২০১৮ @ ২২:১৫

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১ মার্চঃ কি দেখে এসেছিলাম আর কি হয়ে গেল। অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশেই চলছিল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিউন (ডিইউজে)-র নির্বাচনী প্রচার। আমি ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় ফিরে এসেছি ২৩ তারিখ। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন নিয়ে যে ঘটনার খবর পেলাম আমার বাংলাদেশের সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে তা সত্যিই খুব দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক। এমনটা হওয়া উচিত ছিল না।সাংবাদিকদের সংগঠন থেকে শুরু করে প্রেস ক্লাব ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেই হয়ে থাকে এমন নির্বাচন। কিন্তু তাই বলে এমনটা মোটেই কাঙ্খিত নয়।

এবারের ডিইউজে-র নির্বাচনে চারটি প্যানেলে একাধিক সাংবাদিক নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবেও দাঁড়িয়েছিলেন আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তাঁরা আমার বন্ধুও বটে। তাদের বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আতাউর রহমান, এম এ কদ্দুস, খায়রুল আলম সহ আরো অনেকেই।

বুধবার রাতেই খরটা পেয়ে গেছিলাম।কিন্তু শোনার পর খারাপ লেগেছিল। ভাবলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নে যে বা যাঁরাই জিতুক সুষ্ঠু আর নিয়ম মেনেই নির্বাচিত হয়ে আসুক। তাহলে তো কারও কিছু বলার থাকে না। কিন্তু তা না কি হয়নি। বন্ধু সাংবাদিক খায়রুল সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একটি যৌথ বিবৃতি প্রেরণ করেছে। যৌথ বিবৃতি বলে সেখানে একাধিক প্যানেলের একাধিক সাংবাদিক প্রার্থীর সাক্ষর আছে। যে বিবৃতিতে সাংবাদিক প্রার্থীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

বিবৃতিটিতে লেখা হয়েছে-“গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচনে নজিরবিহীন জাল ভোট প্রদান, হঠাৎ করে দু’ঘণ্টা ভোট গ্রহণের গতি কমিয়ে আনা, এক ঘণ্টা ভোটের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার মতো তুঘলকি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাল ভোট দিতে আসা ৩০জনকে হাতে-নাতে ধরিয়ে নির্বাচন কমিশনের হাতে সোপর্দ করা হলেও তাদের রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেয় নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। এদিকে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য তিন শতাধিক পেশাদার সাংবাদিক লাইনে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট গ্রহণের অধিক বিলম্বের কারণে অফিসের সময় হওয়ায় তারা চলে যেতে বাধ্য হয় এবং ভোট দিতে পারেনি।”

বিবৃতিটিতে আরও লেখা হয়েছে-“রাত ১২.৩০ মিনিটে বিক্ষুব্ধ ডিইউজে সদস্যদের প্রতিবাদের মুখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফলাফল ঘোষণা না করে কেন্দ্র ত্যাগ করে। যে নির্বাচনী ফলাফল প্রচার করা হচ্ছে তা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল নয়। ……এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত এবং বিস্মিত। এ পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন এবং ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা পুনঃ প্রনয়নের মাধ্যমে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার সাংবাদিকদের রুটি-রুজি ও অধিকার আদায়ের এই সংগঠনটির অস্তিস্ত্ব সংকটের মুখে পড়বে।”

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ইউনিয়নের নির্বাচনের খবর এখানে প্রকাশ করার যৌক্তিকতা কতটুকু? আসলে আমি এটাকে বাংলাদেশ কিংবা ভারত বলে দেখছি না। এটা সাংবাদিকদের রুটি-রুজি আর অধিকার আদায়ের বিষয়ের প্রশ্ন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে যদি কোনও সাংবাদিক বা সাংবাদিকদের সামনে সংকট দেখা দেয় সেক্ষেত্রে সংবাদ প্রভাকর টাইমস দেশ-কালের ভেদাভেদ না রেখেই সেই সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের পাশে দাঁড়াবে। আর সেই তাগিদেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ। আমরাও চাই ডিইউজে-র পরিচালন সমিতি সুষ্ঠুভাবেই গড়ে উঠুক।

Published on: মার্চ ১, ২০১৮ @ ২২:১৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 1