‘ শক্তি স্থল ‘ বিশ্বের বৃহত্তম সৌর উদ্যান গড়ে উঠল কর্ণাটকের পাভাগড়ায়

দেশ
শেয়ার করুন

 

Published on: মার্চ ২, ২০১৮ @ ১১:৩৩

এসপিটি, বেঙ্গালুরু, মার্চ ১(পিটিআই): কর্ণাটকের তুমকুরুর জেলার পাভাগড়ায় ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উদ্যান আজ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া চালু করেছে।

২000 মেগাওয়াট উদ্যানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শক্তি স্থল ‘।  যা পাঁচটি গ্রামের মধ্যে ১৩ হাজার একর জমির মধ্যে ছড়িয়েছে এবং এটি একটি আদর্শ মাপকাঠি মডেলের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।

কর্ণাটক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন লিমিটেড বা কেআরইডিএল এবং সোলার এনার্জি কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এসইসিআই-এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে মার্চ ২০১৫ সালে গঠিত একটি সত্তা, কর্ণাটক সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএসপিডিসিএল দ্বারা উদ্যানের উন্নয়নে পরিচালিত হয় ।

প্রকল্পটি দুই বছরের রেকর্ড সময়ের মধ্যে শূন্য ভূমি অধিগ্রহণের সাথে সম্পাদন করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

তাছাড়া, যেসব কৃষকরা তাদের জমিটি ভাড়া দিয়েছিলেন তারা ভাড়া দেওয়া হ’ল প্রতি একর জমিতে ২১ হাজার রুপির বেশি উপকৃত হচ্ছে, যার পরিমাণ প্রতি দুই বছরে পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পাভাগাড়ার ২৩০০ কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্ণাটক জাতির মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং দেশে উদ্বৃত্ত শক্তি হিসাবে “বোল্ড স্ট্রাইভস” গ্রহণ করেছে।

“আমরা নবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলির মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ লোকের বিদ্যুৎ চাহিদার উৎস পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি”, বলেন সিদ্দারামাইয়া।

রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেন, এই উদ্যানটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং স্থানীয় ও কৃষকদের জন্য একটি উদ্দীপক হিসেবে এই অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন সুযোগ সন্ধান করবে।

তিনি বলেন, “পাঁচটি গ্রামের বিস্তৃত প্রকল্পটি চাষীদের মূল অংশীদার হিসেবে দেখায় এবং সুবিধাভোগী হিসেবে কাজ করে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে পাভাগড়ার জনগণের।তারা এখন সমৃদ্ধির দিকে।

২০১৮সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রের মোট ক্ষমতার পরিমাণ ২৩৩৭৯ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

শিবকুমার বলেন,  ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ৬০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে এবং ১৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভারসাম্য এই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ পাওয়া যাবে।

এর আগে, ২০১৬ সালে তামিলনাড়ুতে আদানি গ্রুপের আদানি গ্রিন এনার্জি কর্তৃক গঠিত ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।এবার সেটাকেও ছাপিয়ে গেন পাভাগাড়ার এই সৌর উদ্যান।

Published on: মার্চ ২, ২০১৮ @ ১১:৩৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

76 − = 70