গত ১১ বছরে একাধিক রাজ্য এসমা জারি করলেও আমরা কিন্তু এখনও তা করি নি- স্মরণ করালেন মুখ্যমন্ত্রী

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

“আমরা এখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে মানবিকতায় বিশ্বাস করি বলে আমরা কিন্তু পাঁচদিন ছ’দিন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কোনও এসমাতেও যাইনি, কোনও রেজিস্ট্রেশন বাতিলও করিনি, কাউকে গ্রেফতারও করিনি। কোনও অ্যাকশনও নিইনি। কিন্তু আর কতদিন?”

Published on: জুন ১৫, ২০১৯ @ ২৩:৫৪

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৫জুন:  সারা দেশে একাধিক রাজ্য ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ‘এসেনসিয়াল সার্ভিস মেইন্টেন্যান্স অ্যাক্ট’ বা এসমা জারি করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন টানা পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও সরকার কিন্তু এখনও তার ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে চলেছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিলেন- এখনও আমরা কিন্তু এসমা জারি করি নি, কারও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিনি, গ্রেফতার করিনি এবং কারও বিরুদ্ধে আমরা কোনও কড়া পদক্ষেপ নিইনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন- “গরমেন্ট কিন্তু এখনও পর্যন্ত নেগেটিভ আচরন কারও সঙ্গে করেনি। এটা নিয়ে রটাবেন না। একটা ইনফরমেশন দেখাচ্ছি, যদিও এই অ্যাকশনে আমরা এখন যাচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। মেডিকেল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করতে পারে।”

কবে কোথায় এসমা জারি

  1. ২০০৮ সালে উড়িষ্যায় বিজেপি সরকার – ডাক্তারদের ধর্মঘটের হুমকি পেয়ে এসমা জারি করেছিল।
  2. ২০০৯ গুজরাটে মোদি সরকার- ‘জুনিয়র ডাক্তারদের স্ট্রাইক এসমা জারি করে শুধু ভাঙেই নি ১৫০জন ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছিল।’
  3. ২০১৫ সাল দিল্লি আপ সরকার- কর্মস্থলে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে ডাকা ধর্মঘট ভাঙা হয়েছিল এসমা জারি করে।
  4. ২০১৬ দিল্লিতে আপ সরকার- এসমা জারি করে নার্সদের ধর্মঘট ভেঙে ছিল।
  5. ২০১৭ রাজস্থানে বিজেপি সরকার- একদিন লিভ নেওয়ার জন্য এসমা জারি করেছিল ডাক্তারদের বিরুদ্ধে।
  6. ২০১৭ বিজেপি সরকার- ২ ঘণ্টা ওপিডি ধর্মঘট করেছিল ডাক্তাররা এরপর রাজ্য সরকার এসমা জারি করেছিল ছ’মাসের জন্য।
  7. ২০১৮ জম্মু ও কাশ্মীর যৌথ সরকার- ছুটি চেয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ডাক্তাররা।এসমা জারি করেছিল।
  8. ২০১৮ মণিপুর এসমা জারির ভয় দেখানো হয়েছিল।

“এসমা হল এসেন্সিয়াল সার্ভিস মেইন্টেন্যান্স অ্যাক্ট ১৯৬৮ সালে জরুরী পরিষেবা চালু রাখার জন্য প্রয়োগ হয়। এই আইনে ন’টা- দশটা স্টেট কিন্তু অ্যাকশন নিয়েছে তার কারণ ডাক্তারির পরিষেবা এটা হচ্ছে মহান সেবা। মানুষের জীবন দান করা একটা মহৎ কাজ। কিন্তু দেখুন আমরা এখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে মানবিকতায় বিশ্বাস করি বলে আমরা কিন্তু পাঁচদিন ছ’দিন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কোনও এসমাতেও যাইনি, কোনও রেজিস্ট্রেশন বাতিলও করিনি, কাউকে গ্রেফতারও করিনি। কোনও অ্যাকশনও নিইনি। কিন্তু আর কতদিন?” প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ধৈর্য্য ধরে আছে সরকার

“আমি এখনও আপনাদের মারফত অনুরোধ করব যে জুনিয়র ডাক্তাররা রাজনৈতিক কারণে বা কারও কথার উস্কানি কিংবা প্ররোচনায় এসব করছেন। আমি ডাক্তারদের দোষ দিচ্ছি না। তারা কাল ঠিক করেছিল আসবে। আজ তা বাতিল হল কেন? আমি বলব যারা ছাত্র-ছাত্রী আছেন, যারা ইন্টার্নে কাজ করছেন এমনও আছে যে ইন্টার্ন এক বছর থেকে দু’বছর বাড়ানো হয়েছিল স্ট্রাইক করার জন্য – এগুলো কিন্তু গরমেন্টের কাছে উপায় আছে।”

প্রশাসনের সমস্ত স্তরের আধিকারিকিদের পাঠানো হয়েছে

“শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। তারা কথা বলতে চাইলে কথা বলতেই পারেন।কথা বলার দরজা সব সময় খোলা আছে। গরমেন্ট যেখানে ডাকছে সেখানেও আপনারা বলে দিচ্ছেন আমরা যাব না। ঘটনা ঘটার পরেই আমি কথা বলতে চেয়েছিলাম কথা বলেনি। সিপিকে পাঠালাম। তিনি তিন ঘণ্টা কথা বললেন। এরপর মারা স্বাস্থ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজীব সিংহকে পাঠানো হল। সমস্ত দাবি পূরণ করা হবে জানিয়ে দিয়ে আসা হল। এরপর ডাইরেক্টর অব মেডিক্যাল হেলথ এডুকেশন তাকেও পাঠানো হল। ‘সেম’ ‘সেম’ করে তাড়ানো হল। তিনি বললেন- আমি নিয়ে যচ্ছি তোদের । শুনলো না।” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডাক্তারদের নিরাপত্তায়

“তিন হাজার পুলিশ কিন্তু ডাক্তারদের সিকিউরিটির জন্য কাজ করে। একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে টিম করে দিয়েছি। আমরা যতটা পেরেছি সব করে দিয়েছি। আপনারা কাজে যোগদান করুন। বাংলার নামে কয়েকটা টিভি চ্যানেলে কয়েকজনকে দিয়ে ব্যাড রিমার্ক্স পাস করাচ্ছেন। আমরা সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছি।

Published on: জুন ১৫, ২০১৯ @ ২৩:৫৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

63 − = 62