সংবাদদাতা- অনিরুদ্ধ পাল
Published on: জুলা ৮, ২০১৯ @ ১৮:১০
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৮জুলাই: কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের পর্যটনমন্ত্রী নাকা নালো সংবাদ প্রভাকর টাইমস মারফত এক ভিডিও বার্তায় বাঙালি পর্যটনপ্রমীদের সেরাজ্যে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বাঙালিদের প্রতি অরুণাচলের মানুষ কতটা আত্মিক সেটা বোঝাতেই মন্ত্রী নাকাপ নালো বাংলা ভাষায় তিনটি শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন। বলেছিলেন ‘আপনারা আসুন অরুণাচলে।’ ইতিমধ্যে সেই কর্মযজ্ঞ শুরুও হয়ে গিয়েছে।আর সেই কর্মযজ্ঞে উৎসাহিত পশ্চিমবঙ্গের এমনই এক ট্রাভেল সংস্থা। যারা গত চার বছর ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটনের প্রসারে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে। সেই ট্রাভেলো আপনাদের নিয়ে সেখানে ট্রাভেল করাতে তৈরি হয়ে আছে।
‘ট্রাভেলো’ পর্যটন সংস্থার ডিরেক্টর সুকুমার মন্ডল উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন সম্ভাবনা সম্পর্কে সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে জানালেন কিছু কথা। ইদানীং বাঙালিদের ভ্রমণের গন্তব্য উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুণাচল, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড সহ কয়েকটি স্থান। আছে সিকিমও। তবে সিকিমকে সেই অর্থে উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে মানতে রাজী নন সুকুমারবাবু।
যেভাবে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানে পর্যটকদের আধিক্য দেখা যায় সেই তুলনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে পর্যটকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। তবে এখন এই যুক্তি বা তত্ত্ব মানতে রাজী নন সুকুমারবাবু। তিনি বলেন-“আমাদের সংস্থা ট্রাভেলো ২০১৪ সালে পর্যটনের ব্যবসায় যাত্রা শুরু করেছে। এই চার বছরে দেখা গিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।”
উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনা যে এখন অনেক বেড়েছে তার সপক্ষে সুকুমারবাবু বলেন-“হিমাচলে যা আছে তার চেয়ে অনেক বেশি আছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। আসলে আগে এই স্থান নিয়ে এত প্রচার ছিল না। আগে সেই গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এখন সেই গ্রহণযোগ্যতা এসেছে। অরুণাচলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি হয়।উত্তর-পূর্বে নানা উপজাতির একাধিক উৎসব হয়, যা দেখার মতো।একবার হলেও এসব দেখার জন্য আপনাকে যেতেই হবে।”
এই মাসে ১২তারিখ থেকে টানা তিনদিন কলকাতায় নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আয়োজিত হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন মেলা ‘ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’ বা TTF. যেখানে স্টল নিয়ে হাজির থাকছে “ট্রাভেলো”।
Published on: জুলা ৮, ২০১৯ @ ১৮:১০