THAILAND TOURISM-এর ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে খুশি TAFI-আশার আলো দেখছে পর্যটন দুনিয়া

Main এসপিটি এক্সক্লুসিভ দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

  • আপনারা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ঘুরে এলেন। আপনারা সুরক্ষিত এবং নিরাপদেই তো ফিরে এসেছেন। এটাই তো সব চেয়ে বড় প্রমাণ। থাইল্যান্ড এখন সত্যিই যে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ তার বড় প্রমাণ তো আপনারাই।জানালেন টাফি-র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি।
  • “থাইল্যান্ড টুরিজম যে সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ফিসেবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে তা ভ্রমণ ও পর্যটন ব্যবসাকে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।”
  • “এমন অভূতপূর্ব প্রক্রিয়া থাইল্যান্ড নেওয়ায় ভ্রমণ ও পর্যটকদের মধ্যে অনেকটাই ভরসা ও আশার আলো জাগবে বলে মনে করছেন টাফি-র চেয়ারম্যান।”
  • 2019 সালে থাইল্যান্ড-এ ভারতীয় পর্যটকদের আগমন হয়েছিল 19 লক্ষ 95 হাজার 516জন।

Published on: মার্চ ৮, ২০২০ 

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৮ মার্চ: সারা বিশ্বে একমাত্র থাইল্যান্ড পর্যটন প্রথম দেশ যারা করোনাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে তাদের দেশকে স্বাভাবিক বলে ঘোষণা করেছে।পর্যটকদের তাদের দেশে ভ্রমণ করতে আহ্বান জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণও করেছে। এমন অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে রীতিমতো খুশি ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি।

THAILAND TOURISM-এর উদ্যোগকে সাধুবাদ, মতামত দিলেন টাফি-র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি

টাফি-র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন- “থাইল্যান্ড ট্যুরিজম সম্প্রতি এক অভাবনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারা যে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে দেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রেখেছে এমনকী সেখানে কারও যে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না সকলেই যে সুরক্ষিত রয়েছে সেটা বোঝাতেই তারা আমাদের দেশ থেকে এক বিশেষ প্রতিনিধি দল নিয়ে গিয়েছিল। লক্ষ্য তাদের বেশ পরিষ্কার ছিল যে থাইল্যান্ড এখন স্বাভাবিক। সেখানে কোনও ভাইরাস আতঙ্ক নেই। মানুষজন নিশ্চিন্তে সেখানে ভ্রমণ করতে পারে।এর বড় প্রমাণ তো আপনারাই। আপনারা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ঘুরে এলেন। আপনারা সুরক্ষিত এবং নিরাপদেই তো ফিরে এসেছেন। এটাই তো সব চেয়ে বড় প্রমাণ। থাইল্যান্ড এখন সত্যিই যে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ তার বড় প্রমাণ তো আপনারাই। তাই থাইল্যান্ড ট্যুরিজম-এর এমন সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য তাদের আরও একবার ধন্যবাদ জানাই।”

ভ্রমণ ব্যবসার ক্ষেত্রেও তা হয়ে উঠতে পারে একটা শুভ দিক

টাফি-র সঙ্গে সারা বিশ্বের ভ্রমণের একটা সম্পর্ক আছে। সাম্প্রতিককালে এই ভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্বে ভ্রমণের উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। এর ফলে প্রতিটি দেশের ভ্রমণ সংস্থাগুলি বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে যদি কোনও দেশ এই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মানুষজনকে অভয় দিয়ে সেদেশে ভ্রমণের জন্য আবেদন করতে পারে সেটা যে কোনও ট্রাভেল এজেন্ট শুধু নয় ভ্রমণ ব্যবসার ক্ষেত্রেও তা হয়ে উঠতে পারে একটা শুভ দিক। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ড টুরিজম যে সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ফিসেবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে তা ভ্রমণ ও পর্যটন ব্যবসাকে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। থাইল্যান্ড সরকার এই মুহূর্তে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে।ভারত থেকে বহু পর্যটক তাদের দেশে ঘুরতে যায়। তাই সেইসব পর্যটকরা যাতে নির্ভয়ে চিন্তা মুক্ত হয়ে তাদের ভ্রমণের আনন্দ নিতে পারে সেটাই তুলে ধরেছে থাইল্যান্ড পর্যটন।

গত তিন বছরে থাইল্যান্ড ভ্রমণে যে হারে বেড়েছে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা

গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড ট্যুরিজমের ডেপুটি গর্ভনর ছাত্তান কুঞ্জরান আয়ুধ্যা ভারত থেকে থাইল্যান্ডে বেড়াতে আসা মানুষের সংখ্যার একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।ব্যাঙ্ককে হায়াত রিজেন্সি সুকুমভিট-এ আয়োজিত থাইল্যান্ড ট্যুরিজমের এক বিশেষ সভায় আয়ুধ্যা জানান- “গত তিন বছরে থাইল্যান্ডে ভারতীয়দের আগমন কিভাবে বেড়েছে। 2017 সালে 12 লক্ষ 94 হাজার 790জন। বৃদ্ধির পরিমান ছিল 20 শতাংশ। রাজস্ব আদায় হয়েছিল 67 হাজার 300 মিলিয়ন ভাট থাইল্যান্ড কারেন্সিতে।বৃদ্ধির পরিমান ছিল 25 শতাংশ। 2018 সালে ভারতীয় পর্যটকদের আগমন হয়েছিল 14 লক্ষ 64 হাজার। যেখানে বৃদ্ধির পরিমান ছিল 14. 22 শতাংশ।রাজস্ব আদায়ের পরিমান ছিল 64 হাজার 680 মিলিয়ন ভাট। বৃদ্ধি ছিল 18.16 শতাংশ। তবে দুই বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলে এক নয়া রেকর্ড গড়ে 2019 সালে থাইল্যান্ড ট্যুরিজম। এই বছরে ভারতীয় পর্যটকদের আগমন 19 লক্ষ 95 হাজার 516জন। বৃদ্ধির পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় 24.85 শতাংশ। রাজস্ব আদায় অনেকটাই বেড়ে দাঁড়ায় 86 হাজার 372.01 মিলিয়ন ভাট। বৃদ্ধি হয় 27.45 শতাংশ।” কাজেই এই বছর থাইল্যান্ড ট্যুরিজম-এর কাছে যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে সেকথা কিন্তু তাদের ডেপুটি গভর্নর আয়ুধ্যা পরিষ্কার করে দিয়েছেন।সেই মতো পর্যটকদের জন্য তারা একাধিক সুবিধা চালু করেছেন।

‘থাইল্যান্ড ট্যুরিজম মুখে যা বলেছে তা তারা কাজেও করে দেখিয়েছে’-টাফি

টাফি-র চেয়রাম্যান অনিল পাঞ্জাবি ঠাইল্যান্ড ট্যুরিজম-এর ডেপুটি গভর্নরের কথার রেশ ধরেই জানালেন- “থাইল্যান্ড ট্যুরিজম অভাবনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা সত্যি অত্যন্ত ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি যেভাবে তারা পর্যটন ব্যবসাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়াস শুরু করেছে তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারছি না। আপনারা তো গেলেন এবং ফিরেও এলেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে। আপনারা ফিরে আসার পর তো ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আপনারা তো সুস্থ আছেন। তাহলে তো মানতেই হবে থাইল্যান্ড ট্যুরিজম মুখে যা বলেছে তা তারা কাজেও করে দেখিয়েছে। অর্থাৎ থাইল্যান্ড এখন পর্যটকদের জন্য একেবারে নিরাপদ। এখানেই শেষ নয়- থাইল্যান্ড সরকার বিদেশি পর্যটকদের কথা ভেবে কতগুলি সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছে।

1) ভিসা অন অ্যারাইভাল তারা একেবারে ফ্রি করে দিয়েছে। এটা এপ্রিল পর্যন্ত রেখেছে। হয়তো সময়সীমা বাড়িয়ে দেবে।

2) থাইল্যান্ড থেকে যারা ভারতে ফিরবে তাদের ব্যাগেজে-র ওজন যেখানে 40 কেজি থাকার কথা তাদের কথাত ভেবে থাইল্যান্ড সরকার তা আরও 10 কেজি বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এখন ভারতীয় পর্যটকরা 50 কেজি পন্য বহন করে নিয়ে যেতে পারবে বিনা বাধায়।

3) থাইল্যান্ড গোটা দেশকে প্রতি মুহূর্তে স্যানিটাইজ করছে। সেখানে বিমানবন্দরে এয়ারক্র্যাফট থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, যানবাহন থেকে শপিংমল, দোকা-বাজার, হোটেল ফেরি ঘাট সর্বত্র চলছে স্যানিটাইজ করার প্রক্রিয়া। এমনকী গোটা দেশে প্রতি প্রান্তে প্রতিটি কর্ণারে রাখা হয়েছে স্যানিটাইজ জেল।

4) খোলা হয়েছে বিশেষ কনট্যাক্ট সেন্টার। যেখানে 1672 নম্বরে ফোন করে পর্যটকরা সাহায্য নিতে পারবেন প্রয়োজনে।

এমন অভূতপূর্ব প্রক্রিয়া থাইল্যান্ড নেওয়ায় ভ্রমণ ও পর্যটকদের মধ্যে অনেকটাই ভরসা ও আশার আলো জাগবে বলে মনে করছেন টাফি-র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি।

Published on: মার্চ ৮, ২০২০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 1 =