TAFI-র আবেদন রাজ্যের কাছে- এবার তাহলে পাঁচ শহরের উড়ান পরিষেবা প্রতিদিন করা হোক

Main কোভিড-১৯ দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ২০, ২০২১ @ ২৩:১২
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২০ জুলাই:  পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার এখন ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে রাজ্যের পক্ষ থেকে গতকালই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে যে কলকাতায় আগত বিমানযাত্রীরা বিমানবন্দরে নামার সময় তারা যেন সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত হওয়ার শংসাপ্রাপ্ত কিংবা ৭২ ঘণ্টা আগের আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখেন। তবেই তারা প্রবেশের অনুমতি পাবেন। ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছে -এবার তাহলে কলকাতা থেকে দেশের পাঁচটি শহরের উড়ান পরিষেবাকে প্রতিদিন চালু করার অনুমতি দেওয়া হোক। আজ মঙ্গলবার টাফি’র পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে চিঠি লিখে এই আবেদন জানিয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারীতে ভ্রমণ ও পর্যটন ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে এদেশেও তার আঁচ লেগেছে। এর মধ্যেও ধীরে ধীরে বেশ কিছু রাজ্য পর্যটন ব্যবসাকে নতুন করে দাঁড় করানোর প্রয়াস নিয়েছে। কোভিড বিধি মেনে তারা পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের সেইসব স্থানে প্রবেশের অনুমতি দিতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গও কোভিড বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। যার ফল হিসাবে আজ এ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার খুবই কমে এসেছে।

সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে গত বছর ১০ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের সিদ্ধান্তকে কার্যকর করে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন দফতর দিল্লি, মুম্বই, পুণে, নাগপুর, চেন্নাই ও আহমেদাবাদ থেকে আসা ও সেখানে যাওয়া উড়ানগুলির যাতায়াতে স্থগিতাদেশ জারি করে। যদিও গত বছর ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে নয়া দিল্লির ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। তবে বাকি পাঁচটি শহরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আজও জারি আছে। এই শহরগুলির সঙ্গে সপ্তাহে মাত্র তিনদিন উড়ান যোগাযোগ চালু আছে।

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি এই বিষয়টিকে সামনে রেখে বলেন- “পশ্চিমবঙ্গ কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে খুব ভাল কাজ করছে। রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই আজ এ রাজ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে এসেছে। ইতিমধ্যে কলকাতায় আগত বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার দারুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে- সেখানে বলা হয়েছে যে যাত্রীদের কলকাতায় আসার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা সম্পুর্ণ টিকাপ্রাপ্ত হওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এর ফলে সংক্রমণ রোধ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।”

“এই পরিস্থিতি কার্যকর হলে এবার তাহলে কলকাতার সঙ্গে বাকি পাঁচ শহর অর্থাৎ মুম্বই, নাগপুর, পুণে, চেন্নাই ও আহমেদাবাদের উড়ান পরিষেবা প্রত্যেকদিন চালু করার অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ এটি রাজ্যের সিদ্ধান্ত অনুসারে বহাল আছে। এখন যখন রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত কিংবা আরটি-পিসিআর-এর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালেই প্রবেশ করা যাবে তাহলে ওই পাঁচ শহরে উড়ান পরিষেবাকে পুনরায় প্রতিদিন চালু করার অনুমতি দেওয়া হলে ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প অনেকটাই পুনরুদ্ধার পেতে পারে।” বলেন অনিল পাঞ্জাবি।

টাফি’র চেয়ারম্যান একই সঙ্গে বলেন- “ওই পাঁচ শহর থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ ব্যবসা, পর্যটন, পারিবারিক প্রয়োজনে আসেন। অনেকে আবার কর্পোরেট ভ্রমণেও আসেন। কিন্তু সপ্তাহে মাত্র তিন দিন এই সব শহরের উড়ান পরিষেবা কলকাতার সঙ্গে চালু থাকায় সেইসব মানুষগুলি একই দিনে ফিরে যেতে পারেন না। ফলে তাদের অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে হোটেল ভাড়া দিয়ে একটা রাত থেকে যেতে হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে যদি সব নিয়ম-বিধি মেনে এই শহরগুলির সঙ্গে পুনরায় প্রতিদিন উড়ান পরিষেবা চালু করা যায় তবে তা আমাদের রাজ্যের পক্ষেও ভাল হবে। ”

Published on: জুলা ২০, ২০২১ @ ২৩:১২


শেয়ার করুন