কৃষকদের আয় ও নিরাপত্তা কি সুনিশ্চিত হবে, ৫ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় আলোচনায় বসছেন গবেষকরা

Main প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতাত-ডা. সৌমিত্র পন্ডিত

Published on: ডিসে ৩, ২০১৮ @ ১০:২৩

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ ডিসেম্বরঃ সারাদেশ জুড়ে এখন কৃষক আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।সর্বভারতীয় ইংরাজি এক দৈনিকের হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর গড়ে ভারতে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো- এই তথ্য দিলেও পরবর্তী দুই বছর অর্থাৎ ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের কোনও তথ্য তারা দিতে পারেনি। সেই হিসেবে ধরে নেওয়া যেতেই পারে গত দুই বছরে কৃষকের আত্মহত্যার সংখ্যাটা আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তার প্রমাণ অবশ্য মিলছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে প্রতিনিয়ত কৃষকের আত্মহত্যার খবর প্রকাশের মধ্য দিয়ে।আর তাই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক আর ছাত্র-ছাত্রীরা।কৃষকদের রক্ষা করতে তাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। আবারও তাই কৃষকদের আয় ও নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা” শীর্ষক এক জাতীয় আলোচনায় মুখোমুখি হতে চলেছেন।

আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।আলোচনার বিষয় হল- “কৃষকের আয় ও জাতীয় নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্দেশ্য সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা”। যার প্রধান উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ও এই আলোচনা সভার আয়োজক সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামসুন্দর দানা।এখানে হাজির থাকবেন দেশের কৃষি বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে গবেষক-ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সব শেষে কথা বলবে তো সরকার। এখন সেই সরকার কতটা সক্রিয় হবে তার উপর নির্ভর করছে দেশের কৃষকদের ভবিষ্যৎ।পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে।

আলোচনা সভার মূলে “ভারতীয় শিক্ষা সম্প্রসারণ সংস্থা বা সমিতি” -বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে ভারতীয় কৃষি যার মধ্যে প্রাণীপালন ও বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে অর্থাৎ একে অপরের পরিপূরক এই আলোচনা সভায় দেশের নানান প্রান্ত থেকে ছাত্র, শিক্ষক ও বৈজ্ঞানিকগন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য হল- শিক্ষা, গবেষণা এবং শিক্ষা সম্প্রসারণ- অর্থাৎ “শিক্ষা”র মধ্য দিয়ে “গবেষণা” করা এবং গবেষণা লব্ধ ফলকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সম্প্রসারণ-এর প্রয়োজনীয়তা তা এই আলোচনা সভার আলোচ্য বিষয়। আগামিদিনে ভারতে “কৃষকের আয় ও জাতীয় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা”।

কেবল পরীক্ষাগারে গবেষণা করা হবে? কি বিষয়ের ওপর এই গবেষণা করতে হবে তা এই আলোচনা থেকে উঠে আসবে বলে মনে হচ্ছে। কৃষি-কৃষক-সমাজ-জাতীয় নিরাপত্তা সব এক সুতোয় বাঁধা। । কৃষি বলতে শুধুই কি ধান-গম-যব- না প্রাণীপালন-দানাশস্য-মৎস্যচাষ। কোন বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে এবং গবেষণা করতে হবে-সেই গবেষণালব্ধ ফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছনোর অর্থাৎ সম্প্রসারণ যদি না করা যায় যাতে তাহলে হয়তো গবেষণা-গবেষণাতেই থেকে যাবে মানুষের কাজে আসবে না।

যার প্রধান উদ্দেশ্য হল শুধু মানুষ নয় সকল প্রকার চাষি বা খামারি বা কৃষকের আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা কিভাবে জোরদার করা যায় তা সে চাষবাস- প্রাণীপালন-মৎস্যচাষ- যে কোনও ভাবেই। জনবিস্ফোরণে যেভাবে কৃষিজমির হ্রাস অপরদিকে খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি কৃষি বৈজ্ঞানিকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে- তাই নানাভাবে আলোচনা -পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে কিভাবে সুস্থ-সমাজ গড়া যাবে সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই আলোচনা সভা আয়োজিত হতে চলেছে।

Published on: ডিসে ৩, ২০১৮ @ ১০:২৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

24 − = 17