টিটিএফ-এ রাজস্থানের স্টলে হিংলাজ দিলেন ‘সোনার কেল্লা’র চমক, উঠে এল অজানা তথ্য

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ১৫, ২০২৩ @ ১২:২৫

‘আজও আমরা আমাদের হোটেলে ঠাকুরের ছবির পরিবর্তে মানিকদার ছবি লাগিয়ে রেখেছি। কারণ, আজ আমাদের কাছে যত পর্যটক আসছে সবই দাদার জন্যই আসছে।আমাদের কাছে উনি ঠাকুরেরই সমান।’ -আমন ভাটিয়া

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৫ জুলাই: উপরের সংবাদের শিরোণাম দেখে অনেকেই হয়তো ভাবছেন, এ আবার কি?

সত্যিই আমার কাছেও এই একই প্রশ্ন উঠে এসেছিল, এ আবার কি! হ্যাঁ, এতাই সত্যি। আমরা একতা সিনেমা দেখি। কিছু আমাদের মনের ভিতর গেঁথে যায়। আর কিছু পর মুহূর্তেই হারিয়ে যায়। সোনার কেল্লা সিনেমা আমাদের কাছে আজও অমলিন, চিরস্মরণীয়, আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। বাঙালি আজও এই সিনেমার টানেই জয়শলমীরে সোনার কেল্লা দেখতে ছুটে যান। গতকাল টিটিএফ কলকাতা ২০২৩ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সেখানে যেতেই রাজস্থান সরকারের কলকাতায় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও আরটিডিসি-র ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিংলাজ দন রত্নু দিলে সেই চমক। যা দেখে শুনে আমি নিজেও চমকে গেইয়েছি। ভাবতেই পারিনি যে আজ এমনক একটা অভিজ্ঞতার স্বাদ পাব।

হিংলাজ দন রত্নু করোনার আগে থেকেই কলকাতায় মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে রাজস্থান সরকারের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। আজও তিনি সমানভাবে সক্রিয়। আজ তার কর্মকুশলতার জন্যই রাজস্থান সরকারের পর্যটন বিভাগ উপকৃত হয়ে চলেছে। এদিন তিনি পরিচয় করান আমন ভাটিয়ার সঙ্গে। যিনি রাজস্থানের জয়শলমীরে হোটেল প্রিস্ন ও রিসর্ট-এর অন্যতম কর্ণধার। হিংলাজ তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এই পরিচয়টাই আসলে একতা চমক। এই মানুষটার সঙ্গে পরিচয় না করালে আমি নিজেও জানতে পারতাম না সোনার কেল্লা আর জয়শলমীরের রসায়নটা। জানাতে পারতাম না আপনাদেরও।

তাহলে এবার আমনের মুখ থেকেই শুনতে থাকি গোটা ঘটনা।

প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় রাজস্থানবাসীর কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমন যখন তার কথা বলছিলেন তখন লক্ষ্য করছিলাম কতটা শ্রদ্ধা ও সম্মান তারা দেখান সত্যজিৎ রায়ের প্রতি। তিনি বলছিলেন- ‘সত্যজিৎ রায়কে মানিকদা বলে আমরা জানি। উনি সোনার কেল্লাকে তুলে ধরেছিলেন।বলা যেতে পারে এই সিনামা হওয়ার আগে কেউ জয়শলমীরকে জানতই না। দাদা যখন সোনারকেল্লা মুভি বানায় তার পর থেকেই পর্যটকদের জয়শলমীর আগমন শুরু হয়।’

‘দাদা যখন সোনারকেল্লা সিনেমা বানিয়েছিলেন সেইসময় আমার জন্মই হয়নি। আমি আমার বাবার কাছে তার সম্পর্কে শুনেছি। তবে আমরা সবাই তাকে মানিকদা বলেই জানি। সেইসময় জয়শলমীরে কোনও হোটেল ছিল না। সেইসময় আমাদের চারটি ঘর ছিল। দাদা সেখান থেকেই শ্যুটিং-এর কাজ করছিলেন। সেইসময় তিনি বলেছিলেন যে একদিন আসবে যখন জয়শলমীরে শুধু দেশ থেকেই নয়, সারা বিশ্ব থেকে এখানে লোকজন আসবে।’

‘আমাদের খুব ভালো লাগছে যে আজ যে বাংলায় পর্যটনের মেলা হচ্ছে সেখানে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বাংলায় আজ হোটেল প্রিন্স-এর খুবই নাম হয়েছে। আজও আমরা আমাদের হোটেলে ঠাকুরের ছবির পরিবর্তে মানিকদার ছবি লাগিয়ে রেখেছি। কারণ, আজ আমাদের কাছে যত পর্যটক আসছে সবই দাদার জন্যই আসছে।আমাদের কাছে উনি ঠাকুরেরই সমান।’

‘যে সময় সোনার কেল্লা তৈরি হয়েছিল সেই সময় কোনও হোটেলই ছিল না। মাত্র চার কামরার ঘর ছিল। সেখানেই মানিকদা ছিলেন। আপনারা দেখেছেন সোনারকেল্লা মুভিতে একটা দৃশ্য ছিল সেখানে বলা হয়েছিল যে ‘আমার সোনার বাড়ির ভিতর একটা ময়ূর আছে’। এই যে কথাটি বলা হয়েছিল সেই কথার ভিত্তিতেই কিন্তু আজ জয়শলমীরে সোনারকেল্লা দেখার জন্য লকের ভিড় হয়ে থাকে। আজ যে জয়শলমীরে গোল্ডেন ফোর্ট বা গোল্ডেন সিটি বলা হয়ে থাকে তা কিন্তু সোনারকেল্লা মুভি বানানোর পর থেকেই হয়েছে।’

এটা সত্যিই এক চমক। হিংলাজ দন রত্নু যদি আজ এই চমক না দেখাতেন তা হলে হয়তো অজানাই থেকে যেত সোনার কেল্লার আসল রহস্য। আমরা জানতেই পারতাম না, কোথায় থেকে তিনি সেইসময় এই ছবির কাজ করেছিলেন জয়শলমীরে।

আমনের দাবি- আমাদের হোটেলই সবচেয়ে পুরনো হোটেল। এখন আমাদের হোটেলে ৪৫টি ঘর আছে। এই হোটেলে রুম বুক করার জন্য আমার ডাইরেক্ট লাইন 9928273030 নম্বরে ফোন করে বুকিং করতে পারেন অথবা www.hotelprincejaishalmer.com    বুকিং  করতে পারেন।

Published on: জুলা ১৫, ২০২৩ @ ১২:২৫


শেয়ার করুন