দীপদান মহোৎসব সমাপ্তির সঙ্গে রাসযাত্রা উৎসব শুরু মায়াপুর ইসকনে

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: নভে ২৭, ২০২৩ at ১৬:০৮
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, মায়াপুর (নদিয়া), ২৭ নভেম্বর: এক মাস ধরে পালিত দীপদান মহোৎসবের আজ সমাপ্তি হতে চলেছে। সেই সঙ্গে তিন দিনের রাসযাত্রা উৎসবের শুভারম্ভ হয়েছে শ্রীধাম মায়াপুর ইসকনে। দেশ-বিদেশের বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে মায়াপুর ইসকনে। এই উপলক্ষ্যে গোটা মায়াপুরে ভিড় উপচে পড়েছে। উৎসবের আতিশয্যে ডুবেছে ইসকন।

মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে জানান- ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুরে বছরের ২৮৪দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যবাহী দীপদান মহোৎসব। এই দীপাদান মহোৎসব দামোদর মাসে অনুষ্ঠিত হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দামোদর লীলাটি নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই দীপদান আলো্র উৎসব, আনন্দের উৎসব। আমাদের মনোমন্দিরকে আলোকিত করা এবং সমস্ত মানুষ যাতে মনুষ্যত্বের অধিকার পায় এবং তার আলোর সন্ধান পায় এবং পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই দীপদান করা হয়ে থাকে এক মাস ধরে। ইসকন মায়াপুর ছাড়াও সমস্ত বিশ্বব্যাপী এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়।”

Read more news:

শ্রীকৃষ্ণ যাঁদের সঙ্গে রাসলীলা করেছিলেন জানেন কি তাঁরা কারা ছিলেন

“এই দীপদান মহোৎসব শুরু হয় কোজাগরী লক্ষী পূর্ণিমার দিন এবং শেষ হয় রাস পূর্ণিমার দিন।আজ সেই দিন। এই এক মাস শ্রীধাম্ মায়াপুরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই দীপদান করতে পারেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই দীপদান অনুষ্ঠান চলে। আলোকমালায় সুসজ্জিত হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। তারা পরস্পরকে ভালোবাসার সন্ধান দিতে পারে। বর্তমানে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে। এই দীপাদানের মাধ্যমে ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক কল্যাণ সাধন হয়।” যোগ করেন মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক।

দীপদান সমাপ্তির পাশাপাশি ইসকন মায়াপুর শ্রীধান মায়াপুরে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা তিন দিন ধরে পালিত হয়। এই বছর ২৬,২৭ ও ২৮ নভেম্বর এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে বলে জানান মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস। এসপিটি-কে তিনি বলেন- এখানে এইসময় দেশ-বিদেশ থেকে বহু ভক্ত সমাগম হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় ঐতিহ্যবাহী রাসের তাৎপর্য পর্যালোচনা করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে রাসলীলা সেটি কোনও সাধারণ মানব-মানবীর মিলনের কথা নয়। সেটি অনুধাবন করা সাধারণ মানুষের কাছে খুব কঠিন। যখন এই রাসলীলাটি হয়েছিল তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বয়স ছিল মাত্র আট বছর। বর্তমানে এই রাসলীলার বর্তমানে আমরা অনেক বিকৃত রূপ দেখতে পাই। এমনটা ছিল না।সুতরাং এই রাসলীলা বোঝা এনং তার যে পরস্পরের প্রতি যে আকর্ষণ পরস্পরের প্রতি যে ভালোবাসা সেটি অনুধাবন করা সত্যি কঠিন। সেইজন্য এই রাসলীলার তাৎপর্য বোঝা তার অনুশীলন করা অনুধ্যান করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য। আসুন এই রাসলীলার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে আমরা ভালোবাসার ভিত গড়ে তুলি।”

রাস উৎসব ঘিরে দেশ-বিদেশের কৃষ্ণভক্ত আর অনুরাগীরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। কৃষ্ণ নামে বিভোর হয়ে সকলে এক সঙ্গে হরেকৃষ্ণ সংকীর্তনে মেতেছেন। গোটা মায়াপুর ইসকন চত্বরে ভিড় উপছে পড়েছে। ভজন কুটির, সমাধি মন্দির, গোশালা সর্বত্র দেখা গিয়েছে ভক্তদের বিপুল সমাগম। অনেকেই আবার মায়াপুর থেকে নবদ্বীপে রাস উৎসব দেখতে যাচ্ছেন।

Published on: নভে ২৭, ২০২৩ at ১৬:০৮


শেয়ার করুন