ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে আসতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি- প্রধানমন্ত্রী মোদি

Main দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৭, ২০২১ @ ১৭:৫৪
Reporter: Ibtasum Rahman

এসপিটি নিউজ, ঢাকা, ২৭ মার্চ:     বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ির পবিত্র ভূমিতে পৌঁছন। সেখানে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে শ্রদ্ধা জানান। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখানে আসার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। একই সঙ্গে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবন দর্শন সম্পর্কে নিজের মত প্রকাশ করেন। আর সেইসময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- আজ বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে যে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের শক্তিশালী উদাহরণ তুলে ধরেছে ভারত তাতে সহযাত্রী হয়েছে।

ওড়াকান্দিতে আসা আমার কাছে সৌভাগ্য-মোদি

ওড়াকান্দিতে পৌঁছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন- “আজ শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকু্রের কৃপায় ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ির এই পবিত্র ভূমিতে প্রণাম করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।কে ভেবেছিলেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কখনও ওড়াকান্দিতে আসবেন, আজ আমিও একই অনুভব করছি, যা ভারতে বসবাসরত ‘মতুয়া সম্প্রদায়’ এর আমার হাজার-লাখো ভাইবোন ওড়াকান্দিতে এসে সেই অনুভূতি লাভ করে।”

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন-“আমার মনে আছে, যখন আমি পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরে গিয়েছিলাম তখন আমার মতুয়া ভাই-বোনরা আমাকে সেখানে পরিবারের সদস্য হিসাবে ভালবাসা দিয়েছিল।জীবনের অনেক মূল্যবান মুহূর্ত রয়েছে সেখানে।”

“বাংলাদেশের জাতীয় উৎসবে আমার ১৩০ কোটি ভাই-বোনদের পক্ষে আমি আপনদের ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।”

হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রেমের বার্তা’র কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবন দর্শন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- “শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবন আমাদের আরও একটি পাঠ দিয়েছে। তিনি প্রেমের বার্তাও দিয়েছিলেন, তবে আমাদের কর্তব্যগুলি অনুধাবনও করেছেন। তিনি আমাদের বলেছিলেন যে নিপীড়ন ও দুর্দশার বিরুদ্ধে লড়াইও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের কথা। তাঁর উত্তরসূরি, শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরও শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষাগুলি জনগণের কাছে আনতে, দলিত-ক্ষতিগ্রস্থ সমাজকে একীকরণে খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ জি আমাদের ‘ভক্তি, কর্ম ও জ্ঞান’ সূত্রটি দিয়েছেন।”

এই তীর্থযাত্রাকে ভারত সরকার আরও সহজ করবে-মোদি

প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন-“আমার ভ্রাতুষ্পুত্রদের জন্য এই তীর্থযাত্রাকে আরও সহজ করার জন্য, ভারত সরকার এটি প্রসার করার জন্য চেষ্টা করবে। আমরা ঠাকুরনগরের মতুয়া সম্প্রদায়ের গৌরবময় ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি প্রদর্শন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন কাজের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মতুয়া সম্প্রদায় ভাইবোনরা প্রতিবছর শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বারোনি শানান উৎসব’ উদযাপন করেন। ভারত থেকে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত ওড়াকান্দিতে এই উৎসবে যোগদানের জন্য আসেন।”

শান্তির পক্ষে উভয় দেশ- মোদি

এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারত-বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন-“ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই তাদের উন্নয়নের মাধ্যমে, তাদের অগ্রগতির মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বের অগ্রগতি দেখতে চায়। উভয় দেশই বিশ্বে অস্থিতিশীলতা, সন্ত্রাস ও অশান্তির জায়গায় স্থিতিশীলতা, ভালবাসা এবং শান্তি চায়।শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর আমাদের এই মূল্য শিখিয়ে গেছেন।”

“ভারত আজ ‘সকলের সঙ্গে, সকলের উন্নয়ন, সকলের বিশ্বাস-এই মন্ত্রটি নিয়ে এগিয়ে চলেছে, এতে বাংলাদেশ আমাদের সহযাত্রী। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের এক শক্তিশালী উদাহরণ উপ্সথাপন করেছে এবং এই প্রচেষ্টায় ভারত বাংলাদেশের সহযাত্রী হয়েছে।” বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Published on: মার্চ ২৭, ২০২১ @ ১৭:৫৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 3