বাইরের জন্য আমি বিজ্ঞান করি, ভিতরের জন্য আমি মন্দিরে আসি- বললেন ইসরোর প্রধান ড. এস সোমানাথ

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

Published on: আগ ২৭, ২০২৩ @ ১৭:৩৮
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৭ আগস্ট: এই সমাজে এমন অনেকেই আছে যারা আজও বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে আলাদা চোখে দেখে। এর মধ্যে যদি কোনও বিজ্ঞানী আধ্যাত্মিকতাকে পছন্দ করে তাহলে তাদের মনে অনেক প্রশ্ন জেগে ওঠে।য়াএ সেই বিজ্ঞানী যদি ইসরোর প্রধান হয়, তাহলে কথাই নেই। য়ার সেটাই হয়েছে। ইসরোর প্রধান ড. এস সোমানাথ। কেন তিনি এত বড় একজন বিজ্ঞানী হয়ে মন্দিরে যাচ্ছেন? এই প্রশ্ন উঠছে। ইসরোর চেয়ারম্যান ড. এস সোমাথ এর জবাবও দিয়েছেন। তিনি অভ্যন্তরীণ আত্মাকে খুঁজতে বাইরের জন্য আমি বিজ্ঞান করি, ভিতরের জন্য আমি মন্দিরে আসি।

ইসরোর প্রধান ড. সোমানাথ একটি সর্বভারতীয় ইংলিশ নিউজ চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে সাফ জানিয়েছে,- বিজ্ঞানীরাও মানুষ এবং একটি সমাজের অংশ, একটি সংস্কৃতির অংশ, একটি লালন-পালনের অংশ। এই সব আমাদের মধ্যে সহজাত।সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমরা সকলেই দেখেছি যে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের আগে ইসরোর প্রধান ড।. এস সোমানাথ হাতের পুজোর ডালা নিয়ে তিরুপতি বালাজির মন্দিরে প্রবেশ করছেন। এই দৃশ্য দেখে অনেকের মনের ভিতর প্রশ্ন জেগেছে, একজন বিজ্ঞানী তিনি আবার কেন মন্দিরে ছুটছেন। এরপর ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পর আবার তাঁকে তিরুবনন্তপুরমের ভদ্রকালী মন্দিরে দেখা গিয়েছে।

তিরুবনন্তপুরমের ভদ্রকালী মন্দিরের পূর্ণনামিকাভুতে তার পরিদর্শনে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ইসরো  চেয়ারম্যান এস সোমানাথ বলেছেন, “আমি একজন অভিযাত্রী। আমি চাঁদ অন্বেষণ করি। আমি অভ্যন্তরীণ মহাকাশ অন্বেষণ করি। তাই বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা উভয়ই অন্বেষণ করা আমার জীবনের যাত্রার একটি অংশ। তাই আমি অনেক মন্দির পরিদর্শন করি এবং আমি অনেক ধর্মগ্রন্থ পড়ি। তাই আমাদের অস্তিত্ব এবং এই মহাবিশ্বে আমাদের যাত্রার অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হয়। সুতরাং এটি সেই সংস্কৃতির একটি অংশ যা আমরা সকলেই অন্বেষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেইসাথে অভ্যন্তরীণ আত্মাকেও খুঁজে বের করার জন্য বাহ্যিকের জন্য আমি বিজ্ঞান করি, ভিতরের জন্য আমি মন্দিরে আসি…।”

চন্দ্রযান-৩ টাচডাউন পয়েন্ট যাকে ‘শিব শক্তি’ বলা হবে প্রধানমন্ত্রীর সেই নামকরণ নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে  ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী এটির অর্থ এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যা আমাদের সবার জন্য উপযুক্ত। আমি মনে করি এতে কোনও ভুল নেই। এবং তিনিও তা দিয়েছেন। ‘তিরঙ্গা’র পরের নাম এবং দুটিই ভারতীয় ধ্বনিযুক্ত নাম। দেখুন, আমরা যা করছি তা করার অবশ্যই একটি তাৎপর্য রয়েছে। এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে তার নামকরণের বিশেষ অধিকার রয়েছে।”

চন্দ্রযান-৩ সম্পর্কে, ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ বলেছেন, “সবকিছু খুব ভালোভাবে কাজ করছে। ল্যান্ডার, রোভার খুবই স্বাস্থ্যকর এবং বোর্ডে থাকা পাঁচটি ইন্সট্রুমেন্ট চালু করা হয়েছে। এবং এটি এখন সুন্দর ডেটা দিচ্ছে। তাই আমরা আছি আশা করি যে আগামী দিনে ৩ সেপ্টেম্বরের আগে আরও দশ দিন বাকি আছে, আমরা বিভিন্ন মোডের সম্পূর্ণ সক্ষমতার সাথে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হব। বিভিন্ন মোড রয়েছে যার জন্য এটি পরীক্ষা করতে হবে… তাই আমরা চাঁদের সর্বকালের সেরা ছবি পাব..।”  সূত্র: এএনআই

Published on: আগ ২৭, ২০২৩ @ ১৭:৩৮


শেয়ার করুন