মরিশাসে স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর অবদান সর্বদা প্রাসঙ্গিক- হাইমান্দোয়াল দিলুম

দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

মরিশাসের উচিত স্বামী কৃষ্ণানন্দ জিকে মরণোত্তর পদ্ম পুরস্কারের জন্য ভারত সরকারের কাছে সুপারিশ করা-হিংলাজ দন রতনু

Published on: জানু ৩০, ২০২৪ at ২১:০৪

এসপিটি নিউজ, নয়াদিল্লি ও কলকাতা, ৩০ জানুয়ারি: আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে মরিশাস দূতাবাসে সেদেশের রাষ্ট্রদূত হাইমান্দোয়াল দি্লুমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মরিশাসের স্বাধীনতার অগ্রদূত স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর নাতি এবং কলকাতায় রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর হিংলাজ দন রতনু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্র কুণাল রতনু। মরিশাসের রাষ্ট্রদূত হাইমান্দোয়াল দি্লুম স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন- মরিশাসে স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর অবদান সর্বদা প্রাসঙ্গিক। তিনি ছিলেন মরিশাসের জাতি নির্মাতা। এদিনের সাক্ষাৎকারের সময় হিংলাজ দন রতনু বলেন- স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর চিরন্তন স্মৃতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য মরিশাসের উচিত স্বামী কৃষ্ণানন্দ জিকে মরণোত্তর পদ্ম পুরস্কারের জন্য ভারত সরকারের কাছে সুপারিশ করা।

পুত্র কুণালকে নিয়ে মরিশাস দূতাবাসে হিংলাজ দন রতনু

মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে পুত্র কুণালকে নিয়ে মরিশাসের দূতাবাসে সেদেশের রাষ্ট্রদূত হাইমান্দোয়াল দি্লুমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মরিশাসের স্বাধীনতার অগ্রদূত স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর নাতি এবং কলকাতায় রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর হিংলাজ দন রতনু।তিনি রাষ্ট্রদূতকে ফুলের তোড়া এবং রাজস্থানের একটি ভাল বই ও সাহিত্য উপহার দিয়ে স্বাগত জানান।

স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীকে নিয়ে মরিশাসের রাষ্ট্রদূতের স্মৃতিচারণ

নয়াদিল্লিতে মরিশাস হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত হাইমান্দোয়াল দি্লুম মরিশাসের স্বাধীনতার অগ্রদূত স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর নাতি এবং রাজস্থান তথ্য কেন্দ্র, কলকাতা, রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ সহ সহকারী পরিচালক হিংলাজ দন রতনুকে পেয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। মরিশাসে স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতী কতটা গুরুত্বপুর্ণ সেই কথা তুলে ধরেন এবং স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন- “স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি ছিলেন মরিশাসের তৎকালীন জনগণের প্রথম পাঠশালা যেখান থেকে আমরা সভ্যতা, মূল্যবোধ, সংগঠন এবং সেবাকে আত্মস্থ করেছি। মরিশাসের মানুষ স্বামী কৃষ্ণানন্দ জির অবদানকে কখনই ভুলতে পারে না। আমি নিজে সেই সময়ে মরিশাসে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য স্বামীজী দ্বারা আয়োজিত কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলাম, যেটি ১৯৮০ সালে আয়োজিত হয়েছিল এবং স্বামীজি আমাকে একটি নেতৃত্বের ভূমিকা দিয়েছিলেন যেখানে আমাকে একটি বক্তৃতা দিতে হয়েছিল, আমি সফলভাবে সেই ভূমিকা পালন করেছিলাম।”

“স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি মহারাজ ছিলেন মরিশাসের জাতি নির্মাতা। মরিশাস আজ তার আদর্শ অনুসরণ করে প্রগতিশীল।” যোগ করেন মরিশাসের রাষ্ট্রদূত।

স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি’র নামে প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য পরিবেশন

এই সময় হিংলাজ দন রতনু স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি’র নামে তাঁর জন্মস্থান দাসোধী গ্রামে তাঁর স্মৃতিতে স্বামী কৃষ্ণানন্দ হাসপাতাল, স্বামী কৃষ্ণানন্দ রিডিং হল, বিকানেরে স্বামী কৃষ্ণানন্দ মার্গ এবং সিটি ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট দ্বারা স্বামী কৃষ্ণানন্দ স্মৃতি সমাজসেবা পুরস্কার ইত্যাদি প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত রাষ্ট্রদূতকে জানান।একই সঙ্গে হিংলাজ স্বামীজীর শুরু করা সেবা শিবিরের কথাও তুলে ধরে বলেন- এগুলি নিরন্তর চলছে এবং এই সমস্ত প্রকল্পের পিছনে আছেন আমার শ্রদ্ধেয় পিতা ভানওয়ার পৃথ্বীরাজ, একজন প্রবীণ ব্যক্তি যিনি আশি বছর বয়সেও আমাদের অনুপ্রেরণা।

‘কানেক্ট ইন্ডিয়া টু মরিশাসের লিঙ্ক হিসেবে কাজ করছি’

হিংলাজ দন রতনু মরিশাসের রাষ্ট্রদূত হাইমান্দোয়াল দি্লুমকে বলেন- “আমরা কানেক্ট রাজস্থান, কানেক্ট ইন্ডিয়া টু মরিশাসের লিঙ্ক হিসেবে কাজ করছি।” একই সঙ্গে রতনু মরিশাস হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত হেমনদয়াল দিলমকে বলেন যে স্বামী কৃষ্ণানন্দ জি সরস্বতীর চিরন্তন স্মৃতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য মরিশাসের উচিত স্বামী কৃষ্ণানন্দ জিকে মরণোত্তর পদ্ম পুরস্কারের জন্য ভারত সরকারের কাছে সুপারিশ করা।

এ উপলক্ষে হিংলাজ দান রতনু বলেন, মরিশাস থেকে হিউম্যাবন সার্ভিস ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন প্রেমচাঁদ বুঝাওয়ান মুন্সি, সূর্যদেব, ধনদেব, রাজ হীরামন, মরিশাস থেকে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত জগদীশ্বর গোবর্ধন ইতিমধ্যে স্বামীজীর জন্মস্থান ঘুরে গিয়েছেন।

যমজ শহর ঘোষণার প্রস্তাব

সবশেষে হিংলাজ মরিশাসের রাষ্ট্রদূতকে স্বামীজির জন্মস্থান বিকানের এবং মরিশাসের কালবাস শহর, যেখানে স্বামী কৃষ্ণানন্দজির সেবা আশ্রম এবং সমাধিস্থল অবস্থিত, যমজ শহর হিসাবে ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেন। মরিশাসের রাষ্ট্রদূত হাইকমিশন হাইমান্দোয়াল দি্লুম এসব বিষয় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন।

 

Published on: জানু ৩০, ২০২৪ at ২১:০৪


শেয়ার করুন