আসারামের যাবজ্জীবন শুনে নির্যাতিতা বললেন, সে খুশি, তবে দু’জন ছাড়া না পেলে ভাল হতো

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ২৫, ২০১৮ @ ২৩:৫৮

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ আসারামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা হওয়ার খবর পাওয়ার পর নির্যাতিতা সেই মেয়েটি খুশি। একই সঙ্গে সে জানায়, বাকি যে দু’জন ছাড়া পেয়ে গেল তাদের যদি শাস্তি হত তাহলে আরও ভাল লাগত। যোধপুর আদালত পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে ছেড়ে দেয়। বাকি তিনজনের মধ্যে আসারামের যাবজ্জীবন, শিল্পী ও শরৎচন্দ্রের ২০ বছর করে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ১৬ বছরের ঐ নির্যাতিতা কিশোরীর পিতা এই রায় শোনার পর বিচারধারা ও সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যম যদি প্রথম থেকে তাদের পাশে না দাঁড়াত তাহলে অনেক আগেই তাদের মেরে ফেলত। সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান, তার মেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চায়নি। সে এই পুরনো বিষয়কে মনে রাখতে চায় না। তিনিও তার মেয়ের উপর থেকে এই বিষয়টি কোনো ছাপ আর যাতে তা পড়ে সেটাই চাইছি।

নির্যাতিতার ভাই পর্যন্ত জানিয়েছে, এই মামলায় তার জীবন বর্বাদ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আপনাদের কি বলব, এই মামলা আমার জীবন কি করে দিয়েছে। এই মামলা লড়ার জন্য খুব হয়রান হতে হয়েছে।আমরা পরিবারের সবাই এই বিষয়টি নিয়ে ঘরের ভিতর আলোচনা করেছি। আমরা চেয়েছি এই বিষয়টি আমাদের মধ্যে যেন স্থান না পায়। সব সময় আমরা স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। কারণ, এই বিষয় নিয়ে যত আলোচনা করব ততই আমাদের ভিতর দুঃখ জমা হবে। যেদিন থেকে এই মামলা শুরু হল সেদিন থেকে সব কিছু কেমন যেন হয়ে গেল। আমার পড়াশুনো বন্ধ হয়ে গেল। বোনের পড়াও বন্ধ হয়ে গেল। এই মামলা আমার জীবন বর্বাদ করে দিয়েছে।”

নির্যাতিতা ঐ কিশোরী নিজের বয়ানে যা আদালতকে জানিয়েছে তা হল এইরকম- “আমি গুরুকুলে পড়ি। গুরুকুলের এক শিক্ষিকা আমার বাবাকে বলে আসারামের কাছে মেয়ের চিকিৎসা করান। আসারাম আমাকে নিয়ে যোধপুরের কাছে মনাই গ্রামে যেতে বলেন। সেখানে পোঁছনো মাত্রি আমার বাবা-মাকে বাইরে আটকে দেওয়া হয়। সেখাঙ্কার লোকজন জানায়, আসারাম বিশেষ উপায়ে আমাকে একা রেখেই চিকিৎসা করাবে। এরপর আমাকে একটি ঘরের ভিতর ধুকিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগেই হাজির ছিলেন আসারাম। তিনি আমার সঙ্গে আশ্লীল ব্যবহার শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, যদি আমি চিৎকার করি তাহলে বাইরে থাকা আমার বাবা-মাকে সে হত্যা করবে। আমাকে সে ওরাল সেক্স করতে বলে, কিন্তু আমি তা করতে রাজী হই নি।” বয়ানের এক জায়গায় নির্যাতিতা কিশোরী বলে,” আমি কাঁদছিলাম, আর বলছিলাম, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তো আপনাকে ভগবান মেনে আসছি। আপনি এমনটা কেন করছেন? তবু উনি আমার সঙ্গে অসভ্যতামি করে চলে, প্রায় এক-সোয়া ঘণ্টা পর তিনি আমাকে ছাড়েন।”

Published on: এপ্রি ২৫, ২০১৮ @ ২৩:৫৮

ছবিঃ দৈনিক ভাস্করের সৌজন্যে-শাহজাহানপুরে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে পুলিশ পাহারা


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

47 − 40 =