LIVE UPDATE: ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

সুইৎজারল্যান্ডের দুই গোলদাতা  মিত্রোভিচ ও জাকা (ছবি-দ্য গার্ডিয়ান)

Published on: জুন ২৩, ২০১৮ @ ০৮:১২

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ  শুরু হয়ে বিশ্বকাপ ২০১৮। রাশিয়ায় উদ্বোধনী ম্যাচে হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড। উঠে এল অনেক তথ্য। থাকছে বিশ্বকাপের আরও খুঁটিনাটি খবর। সংবাদ প্রভাকর টাইমস গত এক মাস আগে থেকেই তুলে ধরেছে অনেক না জানা তথ্য। এবার থাকছে একেবারে লাইভ আপডেট। আমরা পাঠকের কাছে ফুটবলের জ্ঞানপাঠ দিতে চাই না। সেই ধৃষ্টতাও আমাদের নেই। আমরা চাই নতুনকে চেনাতে নতুনকে জানাতে।পাঠল এই কলমের মাধ্যমে জানতে পারবে বিশ্বকাপের নানা খবর। চলবে বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত।

উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া ৫-০ গোলে হারাল সৌদি আরবকে।

ম্যাচের ১২মিনিটে ইউরি গ্যাজিন্সকি গোল করে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখে রাখলেন।

এ পর্যন্ত স্পেনের বিরুদ্ধে ৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে করা রোনাল্ডোর গোলই এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোল হিসেবে থাকছে।

উদ্বোধনী ম্যাচে দুই গোল করে রেকর্ড গড়লেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিশ চেরিশেভ। তিনি ম্যাচের ৪৩ মিনিট ও দ্বিতীয়ার্ধে ৯০+৪ মিনিটে গোল করেন।

প্রথম ম্যাচ হল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।

একনজরে সার্বিয়া- সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ

সার্বিয়া-১ সুইৎজারল্যান্ড-২

গোলদাতা-মিত্রোভিচ(৫মিনিট) ও জাকা(৫২মিনিট),শাকিরি(৯০মিনিট)

বল দখলে রেখেছে সার্বিয়া ৩৮% আর সুইৎজারল্যান্ড দখলে রেখেছে ৬২% ।

সার্বিয়া শট নিয়েছে ১৩ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ২০।

সার্বিয়া গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর সুইৎজারল্যান্ড ৫।

সার্বিয়া কর্নার আদায় করেছে ৩ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ৭টি।

সার্বিয়া ফাউল করেছে ১৭ আর সুইৎজারল্যান্ড করেছে ১৩।

রেকর্ড

সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনও ম্যাচে পিছিয়ে থেকে জয় ছিনিয়ে নিল ২-১ গোলে।

এটি সার্বিয়ার বিশ্বকাপে ছয় নম্বর ম্যাচ যেখানে তারা পরে গোল খেয়ে হেরে গেল।

সুইৎজারল্যান্ড গত ২৪টি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ হেরেছে (১৭টি জয়, ৬টি ড্র)। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে তারা পর্তুগালের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হেরে গেছিল।

সুইস খেলোয়াড়দের মধ্যে স্টিফেন লিচস্টেইনার ৯ ন্মবর বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেললেন, যা তাদের দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ সুইৎজারল্যান্ড-এর ১৫টি গোলের পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন। ১৩টি গোল নিজে করেছেন, করিয়েছেন ২টি গোল।

প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে সুইৎজারল্যান্ড-এর খেলোয়াড় গ্রানিত জাকা মোট দশটি গোল করলেন।

সুইৎজারল্যান্ড-এর মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড আছে জোশেফ হুগির। তিনি করেছেন ৬টি গোল। চারটি গোল করে পুর্বজ রবার্ট বল্লাম্যান ও আন্দ্রে আবেগ্লেনের সঙ্গে এক আসনে চলে এলেন জার্দান শাকিরি।  

একনজরে নাইজেরিয়া- আইসল্যান্ড ম্যাচ

নাইজেরিয়া-২ আইসল্যান্ড-০

গোলদাতা-মুসা(৪৯ ও ৭৫মিনিট)

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ-মুসা (নাইজেরিয়া)

বল দখলে রেখেছে নাইজেরিয়া ৬২% আর আইসল্যান্ড ৩৮%।

নাইজেরিয়া শট নিয়েছে ১৬ আর আইসল্যান্ড নিয়েছে ৯।

নাইজেরিয়া গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৪ আর আইসল্যান্ড ৩।

নাইজেরিয়া কর্নার আদায় করেছে ৬ আর আইসল্যান্ড নিয়েছে ৫টি।

নাইজেরিয়া ফাউল করেছে ৯ আর আইসল্যান্ড করেছে ১০।

রেকর্ড

নাইজেরিয়ার ফ্রান্সিস উজোহ হলেন দ্বিতীয় কম বয়সী গোলকিপার যিনি বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে একটি গোলও খাননি। তাঁর বয়স ১৯ বছর ২৩৭দিন।এর আগে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার গোলকিপার লি-চ্যাং-মিয়ং ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচে একটি গোল কাহ্ননি। সেবারও ইতালির বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়া১-০ গোলে জিতেছিল।

এটি আইসল্যান্ডের আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় প্রথম পরাজয়। এর আগে তিনটি ড্র এবং একটিতে জিতেছিল।

বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার ছ’টি জয় এসেছে ইউরোপিয়ান দলের বিরুদ্ধে। তাদের ছটির মধ্যে পাঁচটি জয়ে একটি গোলও তাদের হজম করতে হয়নি।

নাইজেরিয়ার বিশ্বকাপে প্রথম জয় আসে ১৯৯৪সালে গ্রিসের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে।

এই নিয়ে সাতটি ম্যাচ আইসল্যান্ড ইউরো কিংবা বিশ্বকাপে জয়ের গোল করতে ব্যর্থ হল। যার মধ্যে ইউরোতে আছে পাঁচটি আর বিশ্বকাপে দু’টি।

একনজরে ব্রাজিল- কোস্টা রিকা ম্যাচ

ব্রাজিল-২  কোস্টা রিকা-০

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- ফিলিপ কুটিনহো

গোলদাতা- ফিলিপ কুটিনহো(৯০+০.২৬মিনিট), নেইমার জুনিয়র(৯০+৬মিনিট)

 বল দখলে রেখেছে ব্রাজিল ৭২% আর কোস্টা রিকা ২৮%।

ব্রাজিল শট নিয়েছে ২২ আর কোস্টা রিকা নিয়েছে ৩।

ব্রাজিল গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ১০ আর কোস্টা রিকা ০।

ব্রাজিল কর্নার আদায় করেছে ৯ আর কোস্টা রিকা নিয়েছে ১টি।

ব্রাজিল ফাউল করেছে ১১ আর কোস্টা রিকা করেছে ১১।

রেকর্ড

এটি ব্রাজিলের এবারের বিশ্বকাপে প্রথম জয়। ম্যাচের ৯০ মিনিটে এল প্রথম গোল।

কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে ১১টি ম্যাচে ১০টিতেই জিতল তারা। ১৯৬০ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেরে যায় কোস্টা রিকার কাছে।

গত পাঁচটি বিশ্বকাপের ম্যাচে জিততে পারেনি কোস্টা রিকা।৩টি ড্র, ২টি হার।

ম্যাচের প্রথম ১৫মিনিটে মাত্র তিনটি শট নেয় কোস্টা রিকা। এর পর তারা আর একটি শটও নিতে পারেনি।

ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোল এসেছে ম্যাচের ৯৬.৪৯মিনিটে। এটাই সাম্প্রতিক্তম খেলার একেবারে শেহ মুহূর্তের গোল। এর আগে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে এই রেকর্ড ছিল।

ব্রাজিল বিশ্বকাপের ১৩টি ম্যাচে অপরাজিত রইল। (৯টি জয়, ৪টি ড্র)। মাত্র তিনটি গোল তারা খেয়েছে।

ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের গত ১৭টি ম্যাচে ১৮টি গোলে মুখ্য ভূমিকে নিয়েছেন।এর মধ্যে ১০টি গোল করেছেন, আটটি গোল করিয়েছেন।

কুটিনহো গত চারটি ম্যাচে চারটি গোলে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন। যার মধ্যে তিনি নিজে তিনটি করেছেন, একটি করিয়েছেন।

 একনজরে আর্জেন্টিনা- ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ

আর্জেন্টিনা-০  ক্রোয়েশিয়া-৩

গোলদাতা- রেবিক(৫৩মিনিট), মডরিক(৮০মিনিট), র‍্যাকিটিক(৯০+১মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ- লুকা মডরিক (ক্রোয়েশিয়া)

বল দখলে রেখেছে আর্জেন্টিনা ৫৮% আর ক্রোয়েশিয়া ৪২%।

আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে ১০ আর ক্রোয়েশিয়া নিয়েছে ১৪।

আর্জেন্টিনা গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর ক্রোয়েশিয়া ৫।

আর্জেন্টিনা কর্নার আদায় করেছে ৫ আর ক্রোয়েশিয়া নিয়েছে ২টি।

আর্জেন্টিনা ফাউল করেছে ১৬ আর ক্রোয়েশিয়া করেছে ২২।

একনজরে ফ্রান্স- পেরু ম্যাচ

ফ্রান্স-১  পেরু-০

গোলদাতা-এমবিঅ্যাপে(৩৪মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-অলিভিয়ার জিরাড (ফ্রান্স)

বল দখলে রেখেছে ফ্রান্স ৪৩% আর পেরু ৫৭%।

ফ্রান্স শট নিয়েছে ১২ আর পেরু নিয়েছে ১০।

ফ্রান্স গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৪ আর পেরু ২।

ফ্রান্স কর্নার আদায় করেছে ৫ আর পেরু নিয়েছে ৩টি।

ফ্রান্স ফাউল করেছে ১১ আর পেরু করেছে ১৫।

একনজরে ডেনমার্ক- অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ

ডেনমার্ক-১  অস্ট্রেলিয়া-১

গোলদাতা- এরিকসন(৭মিনিট)

জেডিনাক(৩৮মিনিটে পেনাল্টি)

বল দখলে রেখেছে ডেনমার্ক ৪৭% আর অস্ট্রেলিয়া ৫৩%।

ডেনমার্ক শট নিয়েছে ৯ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ১২।

ডেনমার্ক গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৪ আর অস্ট্রেলিয়া ৪।

ডেনমার্ক কর্নার আদায় করেছে ৩ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ৫টি।

ডেনমার্ক ফাউল করেছে ৭ আর অস্ট্রেলিয়া করেছে ৫।

 

একনজরে স্পেন-ইরান ম্যাচ

স্পেন-১   ইরান-০

গোলদাতা-দিয়েগো কোস্তা(৫৪মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ইসকো

বল দখলে রেখেছে ইরান ২২% আর স্পেন ৭৮%।

ইরান শট নিয়েছে ৭ আর স্পেন নিয়েছে ১৮।

ইরান গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ০ আর স্পেন ৫।

ইরান কর্নার আদায় করেছে ২ আর স্পেন নিয়েছে ৬টি।

ইরান ফাউল করেছে ১৪ আর স্পেন করেছে ১৪।

ইরান আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দেশের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারেনি। সাতটি ম্যাচে তারা ৬টিতেই হেরেছে, ড্র করেছে একটি।

এবারের ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ২০টি ম্যাচ হয়ে গেলেও একটি ম্যাচেও গোলশূন্য রইল না, ১৯৫৪ সালে ২৬তম ম্যাচে এই ফল হয়েছিল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ১-০ গোলে নটি জয় হল.২০১৪ সালের চেয়ে যা একটি বেশি গ্রুপ স্টেজে।

স্পেনের এটা পাঁচ নম্বর ম্যাচ বিশ্বকাপে যেখানে তারা হাফ টাইম পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় ছিল।পরে তারা ১-০ গোলে জেতে।

১৪টি বিশ্বকাপের ম্যাচে এই প্রথম ইরান প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে একটি শট নিতে পারল না।

বিশ্বকাপে প্রথম তিনটি শটের মধ্যে একটিতেই গোল পান স্পেনের দিয়েগো কোস্তা। গোলের পর আরও একটি শট তিনি নিয়েছিলেন।

একনজরে উরুগুয়ে-সৌদি আরব ম্যাচ

উরুগুয়ে-১ সৌদি আরব-০

গোলদাতা- সুয়ারেজ (২৩মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-লুই সুয়ারেজ

বল দখলে রেখেছে উরুগুয়ে ৪৭% আর সৌদি আরব ৫৩%।

উরুগুয়ে শট নিয়েছে ১৩ আর সৌদি আরব নিয়েছে ৮।

উরুগুয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ৩ আর সৌদি আরব ২।

উরুগুয়ে কর্নার আদায় করেছে ৩ আর সৌদি আরব নিয়েছে ৪টি।

উরুগুয়ে ফাউল করেছে ১০ আর সৌদি আরব করেছে ১৩।

রেকর্ড

গত পাঁচটি বিশ্বকাপেই গ্রুপ স্টেজেই ছাটাই হয়ে গেল সৌদি আরব।

বিশ্বকাপের ১২টি ম্যাচে একটিতেও জয় পেল না সৌদি আরব।

উরুগুয়ে তাদের বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচে এশিয়ান দেশের বিরুদ্ধে জিতেছে।

১-০ গোলে রাশিয়ায় আট নম্বর জয়। যা ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজের সমান সংখ্যক ম্যাচ।

এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত যে ৪৪টি গোল হয়েছে তার মধ্যে ২৫টি হয়েছে সেট পিস থেকে।

দেশের ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সুয়ারেজ খেলে ফেললেন ১০০টি ম্যাচ।

সুয়ারেজ হলেন উরুগুয়ের প্রথম খেলোয়াড় যিনি তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন।

একনজরে পর্তুগাল-মরক্কো ম্যাচ

পর্তুগাল-১ মরক্কো-০

গোলদাতা- ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (৪মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো  

বল দখলে রেখেছে পর্তুগাল ৪৫% আর মরক্কো ৫৫%।

পর্তুগাল শট নিয়েছে ১০ আর মরক্কো নিয়েছে ১৫।

পর্তুগাল গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ২ আর মরক্কো ৪।

পর্তুগাল কর্নার আদায় করেছে ৫ আর মরক্কো নিয়েছে ৭টি।

পর্তুগাল ফাউল করেছে ১৯ আর মরক্কো করেছে ২৩।

রেকর্ড

বিশ্বকাপে ১৩টি সফল গোল এসেছে সরাসরি খেলার ভিতর থেকে। এর মধ্যে পর্তুগালের চারটি গোলের তিনটি এসেছে সেটপিস থেকে।

বিশ্বকাপের শেষ ন’টি ম্যাচের সাতটিতেই পরাজিত হল মরক্কো। একটিতে তারা জিতেছে একটিতে ড্র করেছে।

২০০২সালের জুন মাস পর্যন্ত পর্তুগাল ইউরোপের বাইরের দেশের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচও হারেনি, এক্মাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তারা ১-০ গোলে হেরে গেছিল।

মরক্কো এ পর্যন্ত তিনটি বিশ্বকাপে গ্রুপের প্রথম দুটি ম্যাচেই পরাজিত হয়। এর আগে তারা হারে ১৯৭০ ও ১৯৯৪সালের বিশ্বকাপে।

পর্তুগাল বিশ্বকাপের শেষ ১১টি গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ হারে ২০১৪ সালে জার্মানির বিরুদ্ধে৪-০ গোলে। বাকি ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৬টিজেতে বাকি চারটি ড্র করে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপে পাঁচটি গোল করের রেকর্ড স্থাপন করলেন। এর আগে এই রেকর্ড করেছিলেন রাশিয়ার ওলেগ স্যালেঙ্কো। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে পর্তুগাল গ্রুপের একটি ম্যাচেও গোল খায়নি।

একনজরে রাশিয়া-মিশর ম্যাচ

রাশিয়া-৩   মিশর-২

গোলদাতা-ফ্যাথি(আত্মঘাতী,৪৭মিনিট),চেরিশেভ (৫৯মিনিট), ডিজুবা(৬২মিনিট)  

সালহা(পেনাল্টি,৭৩মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ডেনিশ চেরিশেভ

বল দখলে রেখেছে রাশিয়া ৪৯% আর মিশর ৫১%।

রাশিয়া শট নিয়েছে ১১ আর মিশর নিয়েছে ১৩।

গোল লক্ষ্য করে শট রাশিয়া নিয়েছে ৩ আর মিশর ১।

কর্নার আদায় করেছে রাশিয়া ৭ আর মিশর নিয়েছে ৪টি।

ফাউল করেছে রাশিয়া ১১ আর মিশর করেছে ১০।

রেকর্ড

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়া পরপর দুটি ম্যাচ জিতেছিল। তখন ছিল অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেবার তারা সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল।

রাশিয়ার হাউল তাদের প্রথম দুটি ম্যাচে আট গোল করে ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ইতালির সঙ্গে এক লেভেলে ছিলেন।

২০০২ ও ২০১৪সালের বিশ্বকাপে রাশিয়া ছ’টি করে গোল করেছিল। এবার তারা সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে দুটি ম্যাচেই করে ফেলল আটটি গোল।

রাশিয়া এবারের বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচে আটটি গোল করেছে। ২০১০ সালে স্পেন সাতটি ম্যাচে মোট আটটি গোল করেছিল।

বিশ্বকাপে রাশিয়া/সোভিয়েত ইউনিয়ন ২৯টি জয়ে পেয়েছে। গত সাতটি ম্যাচে তাদের মার্জিন ম্যাচ পিছু ২টি গোল।

এবারের বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচে ১০টি পেনাল্টি হয়েছে। যেখানে ২০১৪ সালে গ্রুপ স্টেজে ৪৮টি ম্যাচে ১০ এবং গোটা প্রতিযোগিতায় ৬৪ ম্যাচে হয় ১৩টি পেনাল্টি।

২০১৮সালের বিশ্বকাপে ইতিমধ্যে পাঁচটি আত্মঘাতী গোল হয়েছে। যেখানে ১৯৯৮সালের বিশ্বকাপে ছ’টি।

গত আটটি গোল মিশর খেয়েছে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ।

মিশরের মহম্মদ সালহা হলের তাদের তৃতীয় খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে দলের হয়ে গোল করেন।এর আগে ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচে আব্দিলরহমান ফৌজি দুটি করেন, ম্যাগদি আবেদ এল ঘানি ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে করেন একটি গোল।

একনজরে পোল্যান্ড-সেনেগাল ম্যাচ

পোল্যান্ড-১   সেনেগাল-২

গোলদাতা-ক্রিচৈয়াক (৮৫মিনিট)      সিওনেক(আত্মঘাতী গোল,৩৭মিনিট), নিয়াং (৬০মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-এম’বায়ে নিয়াং(সেনেগাল)

বল দখলে রেখেছে পোল্যান্ড ৬১% আর সেনেগাল ৩৯%।

পোল্যান্ড শট নিয়েছে ১১ আর সেনেগাল নিয়েছে ৮।

গোল লক্ষ্য করে শট পোল্যান্ড নিয়েছে ৪ আর সেনেগাল ২।

কর্নার আদায় করেছে পোল্যান্ড ৩ আর সেনেগাল নিয়েছে ৩টি।

ফাউল করেছে পোল্যান্ড ৮ আর সেনেগাল করেছে ১৫।

রেকর্ড

সেনেগাল বিশ্বকাপে ৫০% ম্যাচ জিতেছে। ছ’টি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচ জিতেছে তারা, যা আফ্রিকা মহাদেশের যে কোনও দেশের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স।

বিশ্বকাপে সেনেগালের যে তিনটি জয় এসেছে তা ইউরোপিয়ান তিনটি দেশের বিরুদ্ধে-ফ্রান্স, সুইডেন ও পোল্যান্ড।

গত ন’টি বিশ্বকাপের ম্যাচে একটিতেও গোল না খাওয়ার নজির গড়তে পারেনি পোল্যান্ড। ১৯৮৬ সালে পর্তুগালের বিরুদ্ধে তারা হেরে যায় ০-১ গোলে।

পোল্যান্ড গত ন’টি বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে।

থিয়েগো সিওনেক পোল্যান্ডের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করেন।

সিওনেকের আত্মঘাতী গোল হল দ্বিতীয় গোল বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশের বিরুদ্ধে এর আগে স্পেনের অ্যান্দোনি জুবিজার‍্যেতা ১৯৯৮সালে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল করেছিলেন।

এম’বায়ে নিয়াং হলেন সেনেগালের প্রথম খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথম শটেই গোল করেন।

একনজরে কলম্বিয়া-জাপান ম্যাচ

কলোম্বিয়া-১   জাপান-২

সি স্যাঞ্চেজ(লাল কার্ড, ৩মিনিট)গোলদাতা-কুইনতিরো(৩৯ মিনিট)

গোলদাতা-কাগয়া(৬মিনিটে পেনাল্টি), ওসাকো(৭৩ মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ইউয়া ওসাকো

বল দখলে রেখেছে কলোম্বিয়া ৩৯% আর জাপান ৬১%।

কলোম্বিয়া শট নিয়েছে ৮ আর জাপান নিয়েছে ১৪।

গোল লক্ষ্য করে শট কলোম্বিয়া নিয়েছে ৩ আর জাপান ৫।

কর্নার আদায় করেছে কলোম্বিয়া ৩ আর জাপান নিয়েছে ৬টি।

ফাউল করেছে কলোম্বিয়া ১৫ আর জাপান করেছে ৯।

রেকর্ড

বিশ্বকাপের ইতিহাসে জাপান হল এশিয়ার প্রথম দেশ যারা দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দেশকে পরাজিত করল।

১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার চারটি দল তাদের প্রথম ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে কলোম্বিয়া ১(টি ম্যাচের একটিতেও গোলশূন্য অবস্থায় শেষ করতে পারেনি। যেখানে আমেরিকা ৩৩টি ম্যাচ ও অস্ট্রিয়া২৯টি ম্যাচ খেলে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ করে।

কিসুকে হন্ডা হলেন এশিয়ার প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১৯৬৬সাল থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে বিশ্বকাপে সহযোগিতা করেছেন।

ইজি কাওয়াসিমা জাপানের হয়ে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়লেন। তাঁর বয়স এখন ৩৫ বছর ৯১দিন।

 

একনজরে ইংল্যান্ড-তিউনিশিয়া ম্যাচ

ইংল্যান্ড-২   তিউনিশিয়া-১

গোলদাতা-হ্যারি কেন (১১, ৯০+১ মিনিট) সস্যি (৩৫মিনিটে পেনাল্টি)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড)

বল দখলে রেখেছে ইংল্যান্ড ৬১% আর তিউনিশিয়া ৩৯%।

ইংল্যান্ড শট নিয়েছে ১৮ আর তিউনিশিয়া নিয়েছে ৬।

গোল লক্ষ্য করে শট ইংল্যান্ড নিয়েছে ৮ আর তিউনিশিয়া ১।

কর্নার আদায় করেছে ইংল্যান্ড ৭ আর পানামাতিউনিশিয়া নিয়েছে ২টি।

ফাউল করেছে ইংল্যান্ড ৮ আর তিউনিশিয়া করেছে ১৪।

রেকর্ড

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ১০টি ম্যাচে একাধিকবার একের অধিক গোল করেছে। ২০০২ সালে তারা সুইডেনের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করেছিল।

আফ্রিকার দেশগুলির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ অপরাজিত রইল। তারা এ পর্যন্ত ৪টি জিতেছে, ৩টি ড্র করেছে। একমাত্র এবারই তাদের গোল খেতে হল।

ইংল্যান্ড খেলার প্রথম ৪৫ মিনিটে গোল লক্ষ্য করে ৬টি শট নেয়। এর আগে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে তারা পর্তুগালের বিরুদ্ধে ৬টি শট মেরেছিল।

হ্যারি কেন ইংল্যান্ডের হয়ে গত চারটি ম্যাচে গোল করেছেন, এটা তাঁর দেশের হয়ে সেরা পারফরম্যান্স।

ইংল্যান্ডের হয়ে ২৫টি ম্যাচে ১৫টি গোল করেছেন কেন, এর আগে গ্যারি লিনেকার ২৫টি ম্যাচে ২০টি গোল করেছিলেন।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত খেলে তিউনিশিয়ার ফিরজানি সস্যি প্রথম পেনাল্টি শটে গোল করেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল আর্জেন্টিনার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে।

বিশ্বকাপে গত ১২টি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি তিউনিশিয়া। ৪টি ড্র, ৮টি হারে। ১৯৭৮ সালে তাদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল তিউনিশিয়া।  

একনজরে বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচ

বেলজিয়াম-৩   পানামা-০

গোলদাতা-মার্টিন্স (৪৭ মিনিট), লুকাকু (৬৯, ৭৫ মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-রোমেলু লুকাকু (বেলজিয়াম)

বল দখলে রেখেছে বেলজিয়াম ৬২% আর পানামা ৩৮%।

বেলজিয়াম শট নিয়েছে ১৫ আর পানামা নিয়েছে ৭।

গোল লক্ষ্য করে শট বেলজিয়াম নিয়েছে ৬ আর পানামা ২।

কর্নার আদায় করেছে বেলজিয়াম ৯ আর পানামা নিয়েছে ৩টি।

ফাউল করেছে বেলজিয়াম ১৭ আর পানামা করেছে ১৮।

রেকর্ড

বেলজিয়াম বিশ্বকাপে শেষ ১০টি ম্যাচে অপ্রাজিত থেকে গেল-৫টি জয়, ৫টি ড্র করে।

বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের শেষ ১১টি গোল এসেছে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে।

পানামা দলের পাঁচজন হলুদ কার্ড দেখলেন। বিশ্বকাপে এর আগে কোনও একটি ম্যাচে সব চেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখার রেকর্ড আছে নেদারল্যান্ডের, ২০১০ সালের বিশ্বকাপে তাদের সাতজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেছিলেন।

সব মিলিয়া বিশ্বকাপের কোনও একটি ম্যাচে আটজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেলেন। যা, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক রেকর্ড। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও এতগুলি হলুদ দেখে যায়নি একটি ম্যাচে।

বেলজিয়াম গত ১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতল যেখানে ড্রায়েস মার্টিন্স গোল করেন।

মার্টিন্স প্রথম বেলজিয়াম খেলোয়াড় যিনি দু’টি বিশ্বকাপে সফলভাবে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন, এর আগে এই রেকর্ড আছে মার্ক উইলমটস-এর। তিনি ১৯৯৮ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সফল্ভাবে গোল করেছিলেন।

বেলজিয়ামের কেভিন দে ব্রুইন ম্যাচের ৪৯ মিনিট  ১০ সেকেন্ডের মাথায় প্রথম সফল পাস বাড়ান, যা থেকে গোল করেন লুকাকু। ফের তিনি ৬৮ মিনিট ১১ সেকেন্ডে দ্বিতীয় পাস বাড়িয়ে গোল ক্রান লুকাকুকে দিয়ে।

জান সিউলিমান্সবিশ্বকাপ ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৬টি গোল করার রেকর্ড আছে, যেখানে লুকাকু এখন মার্ক উইলমটসের সঙ্গে এক লেভেলে চলে এলেন ৫টি গোল করে।

ইডেন হ্যাজার্ড বেলজিয়ামের হয়ে ১৬টি গোলের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। ৮টি গোল করেন এবং আটটি গোল করান।

একনজরে সুইডেন-কোরিয়া ম্যাচ

সুইডেন-১     কোরিয়া রিপাবলিক-০

গোলদাতা-গ্র্যাঙ্কভিস্ট (৬৫মিনিট, পেনাল্টি)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-চো হুন উ(দক্ষিণ কোরিয়া)

বল দখলে রেখেছে সুইডেন ৫৬% আর কোরিয়া ৪৪%।

সুইডেন শট নিয়েছে ১৫ আর কোরিয়া নিয়েছে ৫।

গোল লক্ষ্য করে শট সুইডেন নিয়েছে ৪ আর কোরিয়া ০।

কর্নার আদায় করেছে সুইডেন ৬ আর কোরিয়া নিয়েছে ৫টি।

ফাউল করেছে সুইডেন ২০ আর কোরিয়া করেছে ২৩।

রেকর্ড

১৯৫৮ সালে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছিল সুইডেন। সেটা ছিল তাদের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে জয়। এছাড়া তারা প্রথম ম্যাচে এ পর্যন্ত পাঁচটি ড্র করেছে দু’টিতে হেরেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হারে ১৯৯৮ সালে।

দক্ষিণ কোরিয়া সাতটি বিশ্বকাপ ম্যাচে একটিতেও জয় পেল না। দু’টিতে ড্র, পাঁচটি হেরেছে।   

 একনজরে ব্রাজিল-সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ

ব্রাজিল-১     সুইৎজারল্যান্ড-১

গোলদাতা-কুটিনহো(২০মিনিট, ব্রাজিল) জুবের (৫০ মিনিট, সুইৎজারল্যান্ড)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ- ভ্যালন বেহরামি (সুইৎজারল্যান্ড)

বল দখলে রেখেছে ব্রাজিল ৬৭% আর সুইৎজারল্যান্ড ৩৩%।

ব্রাজিল শট নিয়েছে ২৬ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ১৩।

গোল লক্ষ্য করে শট ব্রাজিল নিয়েছে ৯ আর সুইৎজারল্যান্ড ৪।

কর্নার আদায় করেছে ব্রাজিল ৮ আর সুইৎজারল্যান্ড নিয়েছে ১টি।

ফাউল করেছে ব্রাজিল ১০ আর সুইৎজারল্যান্ড করেছে ১৬।

রেকর্ড

সুইৎজারল্যান্ড গত ২৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিল ২০১৭ সালে পর্তুগালের বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে ২-০ গোলে।বাকি ১৬টি ম্যাচে জয় ও ৬টি ম্যাচে ড্র করে তারা।

ব্রাজিল জিততে পারেনি গত তিনটি বিশ্বকাপে (১টি ড্র, ২টি পরাজয়)। তাদের হারা শুরু হয় ১৯৭৮ সাল থেকে। সেবার তারা চারটি ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত সুইৎজারল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুর একটি ম্যাচও হারেনি গত পাঁচটি পবিশ্বকাপে। তারা তিনটিতে জয়ী ও ২টিতে ড্র করে।

বক্সের বাইরে থেকে ফিলিপ কুটিনহো ব্রাজিলের হয়ে ১১টি গোল করেন।

১৯৬৬ সাল থেকে ব্রাজিল বকের বাইরে থেকে ৩৭টি গোল করার রেকর্ড স্থাপন করেছে।

স্টিভেন জুবের গত ছ’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ড-এর হয়ে গোল করেছেন ও করিয়েছেন। চারটি গোল তাঁর নিজের করা আর দুটি গোলে তাঁর ভূমিকা আছে।

ভ্যালন বেহরমি হলে প্রথম সুইশ খেলোয়াড় যিনি দেশের জার্সিতে চারট বিশ্বকাপ খেললেন-২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮।

একনজরে জার্মানি-মেক্সিকো ম্যাচ

জার্মানি-০     মেক্সিকো-১

গোলদাতা-লোজানো (৩৫মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-হারভিং লোজানো (মেক্সিকো)

বল দখলে রেখেছে জার্মানি ৬৭% আর মেক্সিকো ৩৩%।

জার্মানি শট নিয়েছে ২৬ আর মেক্সিকো নিয়েছে ১৩।

গোল লক্ষ্য করে শট জার্মানি নিয়েছে ৯ আর মেক্সিকো ৪।

কর্নার আদায় করেছে জার্মানি ৮ আর মেক্সিকো নিয়েছে ১টি।

ফাউল করেছে জার্মানি ১০ আর মেক্সিকো করেছে ১৬।

রেকর্ড

মেক্সিকো তাদের গত ছটি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পঞ্চম জয় পেল। বাকি ম্যাচে তারা ড্র করেছিল।

এই নিয়ে তৃতীয়বার এমনটা হল, যেখানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে জয় ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হন। এর আগে ২০১০ সালে ইতালি ১-১ গোলে ড্র করে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে স্পেন নেদারল্যান্ডের কাছে ১-৫ গোলে পরাজিত হয়।

মেক্সিকো এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জার্মানিকে হারাল। এর আগে তারা ১৯৮৫ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় পেয়েছিল জার্মানির বিরুদ্ধে।

২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে টপ স্কোরার ছিলেন লোজানো। তবে বিশ্বকাপে এটি তাঁর প্রথম গোল।

মেক্সিকো তাদের বিশ্বকাপের গত ১৮টি গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে ১৬তটি তে জয় ছিনিয়ে এনেছে। শুধুমাত্র দু’টিতে হেরেছে।

এটা জার্মানির প্রথম পরাজয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ২০১৬ সালে ইউরো ২০১৬ প্রতিযোগিতায় ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হার।

এদিনের জার্মানির প্রথম একাদশ বিশ্বকাপের ম্যাচে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়ে পূর্ণ। যেখানে খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ২৭ বছর ৩১০দিন।

রাফায়েল মরকুয়েজ হলেন বিশ্বকাপের তৃতীয় খেলোয়াড় যিনি পাঁচটি বিশ্বকাপ খেললেন। এর আগে এই রেকর্ড আছে মেক্সিকোর আন্তীনিও কার্বাজাল (১৯৫০,১৯৫৪,১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬) এবং জার্মানির লোথার ম্যাথিউস (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮)।

একনজরে কোস্টা রিকা-সার্বিয়া ম্যাচ

কোস্টা রিকা-০   সার্বিয়া-১

গোলদাতা-কোলারভ(৫৬মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-সের্গেই মিলিনকোভিক-সেভিক (সার্বিয়া)

বল দখলে রেখেছে কোস্টা রিকা ৫৩% আর সার্বিয়া ৪৭%।

কোস্টা রিকা শট নিয়েছে ১০ আর সার্বিয়া নিয়েছে ১০।

গোল লক্ষ্য করে শট কোস্টা রিকা নিয়েছে ৩ আর সার্বিয়া ৩।

কর্নার আদায় করেছে কোস্টা রিকা ৫ আর সার্বিয়া নিয়েছে ৪টি।

ফাউল করেছে কোস্টা রিকা ১৮ আর সার্বিয়া করেছে ১৫।

রেকর্ড

সার্বিয়া বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচ জেতে প্রথমবার ১৯৯৮ সালে।

সার্বিয়া  চারটি বিশ্বকাপের ম্যাচে কনকাফ (কনফেডারেশন অব নর্থ সেন্ট্রাল আমেরিকা এন্ড ক্যারিবিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল)-র দেশগুলির বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে।এর মধ্যে প্রথম তিনটি জয় এসেছে যুগোস্লোভিয়ার হয়ে ১৯৫০ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে।

কোস্টা রিকা বিশ্বকাপে প্রথম হারে ২০০৬সালে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-২ গোলে। পরে পাঁচটি ম্যাচে তারা অপারাজিত থাকেন (দু’টিতে জয়ী, তিনটিতে ড্র)।

কোস্টা রিকার এটি দ্বিতীয় ম্যাচ যেখানে তারা পাঁচটি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয়বার প্রতিযোগিতায় তাদের প্রথম ম্যাচ হেরে গেল। এর আগে ২০০৬ সালে আয়োজক দেশ জার্মানির বিরুদ্ধে হেরে যায় ২-৪ গোলে।

আলেক্সান্ডার কোলারভের ডাইরেক্ট ফ্রিকি থেকে গোল এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় গোল। এর আগে প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার আলেক্সান্ডার গোলোভিন, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর সার্বিয়ার এই খেলোয়াড় ডাইরেক্ট ফ্রিকিকে গোল করেন।২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ডাইরেক্ট ফ্রিকিক থেকে গোল হয়েছিল।

কোলারভ হলেন সার্বিয়া/যুগোস্লাভিয়ার প্রথম ডাইরেক্ট ফ্রিকিক থেকে গোল নেওয়া খেলোয়াড়, ১৯৯৮ সালে সিনিসা মিহাজলোভিক ইরানের বিরুদ্ধে গোল করেন।

কোস্টা রিকা খেলার প্রথম তিন মিনিটে গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নিলেও ৯১ মিনিটে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হন।

কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে এবারের ম্যাচ খেলে সার্বিয়ার বর্ষীয়ান খেলোয়াড় ব্রানিশ্লভ ইভানোভিক দিজান স্ট্যানকোভিক ১০৩টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙে ১০৪টি ম্যাচ খেলার এক নয়া রেকর্ড স্থাপন করেন।

 একনজরে ক্রোয়েশিয়া-নাইজেরিয়া ম্যাচ

ক্রোয়েশিয়া-২    নাইজেরিয়া-০

গোলদাতা-ইতিবো(৩২ মিনিট), মডরিক ( ৭১মিনিটে পেনাল্টি)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-লুকা মডরিক(ক্রোয়েশিয়া)

বল দখলে রেখেছে ক্রোয়েশিয়া ৫৫% আর নাইজেরিয়া ৪৫%।

ক্রোয়েশিয়া শট নিয়েছে ১২ আর নাইজেরিয়া নিয়েছে ১৪।

গোল লক্ষ্য করে শট ক্রোয়েশিয়া নিয়েছে ২ আর নাইজেরিয়া ২।

কর্নার আদায় করেছে ক্রোয়েশিয়া ৬ আর নাইজেরিয়া নিয়েছে ৫টি।

ফাউল করেছে ক্রোয়েশিয়া ২০ আর নাইজেরিয়া করেছে ১৬।

রেকর্ড

নাইজেরিয়ার ওডিওন ইঘালো ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার গোল লক্ষ্য করে যে দূর পাল্লা র শট মারেন সেটি এবারের প্রতিযোগিতায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নেওয়া কোনও দলের শট।

২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। সেবার ব্রাজিলের মার্সিলোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। এবার নাইজেরিয়ার ওঘিনিকারো ইতিবো আত্মঘাতী গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন।

নাইজেরিয়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র দল যারা দু’বার আত্মঘাতী গোল করে প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দেয়। এর আগে ২০১৪ শেষ ১৬-র ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষেও তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল।

ক্রোয়াশিয়া ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে জামাইকাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল।

নাইজেরিয়া এই নিয়ে সাতটি বিশ্বকাপে হেরে গেল যেখানে তারা প্রথম গোল করে।

গত পাঁচটি বিশ্বকাপের মধ্যে এটি বড় ফলাফল।

নাইজেরিয়া গত তিনটি বিশ্বকাপে হেরেছে, যেখানে ১৯৯৮-২০০২ সালের পর দীর্ঘ সময় বাদে তারা আবার বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে।

একনজরে পেরু-ডেনমার্ক ম্যাচ

পেরু-০    ডেনমার্ক-১

ডেনমার্কের গোলদাতা-পলসেন(৫৯ মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ক্যাস্পার স্খিমিশেল  (ডেনমার্ক)

বল দখলে রেখেছে পেরু ৫৩% আর ডেনমার্ক ৪৭%।

পেরু শট নিয়েছে ১৭ আর ডেনমার্ক নিয়েছে ১০।

গোল লক্ষ্য করে শট পেরু নিয়েছে ৬ আর ডেনমার্ক ৩।

কর্নার আদায় করেছে পেরু ৩ আর ডেনমার্ক নিয়েছে ৭টি।

ফাউল করেছে পেরু ১০ আর ডেনমার্ক করেছে ১৮।

রেকর্ড

ডেনমার্ক বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ পর্যন্ত পাঁচটি ওপেনিং ম্যাচ খেলেছে যার মধ্যে চারটিতে তারা জয়ী হয়েছে। একমাত্র ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারা একমাত্র ম্যাচটি হেরে যায়।

গত সাতটি বিশ্বকাপে পেরু একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। এ পর্যন্ত তারা পাঁচটি হেরেছে, দু’টিতে হেরেছে।

ডেনমার্ক এ পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গে চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতেছে। একমাত্র ১৯৯৮ সালে তারা ব্রাজিলের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-২গোলে পরাজিত হয়েছিল।

এই নিয়ে ডেনমার্ক তাদের গত ১২টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার গোল না খেয়ে জয় পেল।২০০২ সালের বিশ্বকাপে তারা ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল।

ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাস্পার স্খিমিশেল এই নিয়ে টানা পাঁচটি ম্যাচে অপ্রাজেয় থাকলেন। গোল না খাওয়ার রেকর্ডও গড়লেন। ৫৩৪ মিনিট তিনি গোল না খাওয়ার এক রেকর্ড গড়লেন আন্তর্জাতিক স্তরে। তিনি শেষ গোল খেয়েছিলেন গত নভেম্বর মাসে রিপাবলিক অব আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে তাকে গোল দেন আইরিশ খেলোয়াড় শেন ডাফি।

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন ডেনমার্কের হয়ে গত ১৪টি ম্যাচে ১৭টি গোল করা ও করানোর পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন। নিজে করেছেন ১২টি গোল। করিয়েছেন ৫টি গোল।

একনজরে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ম্যাচ

আর্জেন্টিনা-১  আইসল্যান্ড-১

গোলদাতা-অ্যাগুয়েরা (১৯ মিনিট) ও ফিনবোগাসন(২৩)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ- হ্যান্স হ্যালডরস্যন (আইসল্যান্ড)

বল দখলে রেখেছে আর্জেন্টিনা ৭৮% আর আইসল্যান্ড ২২%।

আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে ২৭ আর আইসল্যান্ড নিয়েছে ৮।

গোল লক্ষ্য করে শট আর্জেন্টিনা নিয়েছে ৭ আর আইসল্যান্ড ২।

কর্নার আদায় করেছে আর্জেন্টিনা ১০ আর আইসল্যান্ড নিয়েছে ২টি।

ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা ১০ আর আইসল্যান্ড করেছে ১৫।

রেকর্ড

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ প্রথমবার হেরেছিল ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের কাছে। যদিও সেবার তারা ফাইনালে পৌঁছেছিল। সেখানে তারা অবশ্য জার্মানির কাছে হেরে যায়।

আইসল্যান্ডের এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ বিশ্বকাপে। সেনেগাল অবশ্য তাদের বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে জয় পেয়েছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে। যেখানে ক্রোয়েশিয়া ছিল ইউরোপের শেষ দল যারা একই ফল করেছিল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে জামাইকার বিরুদ্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধে আইসল্যান্ড গোল লক্ক্য করে একটি শটও নিতে ব্যর্থ হয়, যা একটা রেকর্ড হয়ে রইল বিশ্বকাপে। যেখানে আর্জেন্টিনা মোট ১৬টি শট নিয়েছে।

আর্জেন্টিনা এই নিয়ে দুটি বিশ্বকাপে পেনাল্টি শট মিস করল। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে তাদের আরিয়েল ওর্তেগা পেনাল্টি মিস করেছিলেন সুইডেনের বিরুদ্ধে। আজ যেটা করলেন মেসি।

আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেসি মোট ১১টি শট নিয়েছেন। বিশ্বকাপে এর আগে এতগুলি শট একটি ম্যাচে তিনি নেননি।

জেভিয়ার মাসচিরানো আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে জেভিয়ার জেনেত্তি।

অ্যাগুয়েরার এটি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে প্রথম গোল।

মেসি গত সাতটি পেনাল্টি শট মেরেছেন, তার মধ্যে তিনি ক্লাব ওদেশের হয়ে চারটি মিস করেছেন।

 একনজরে ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ

ফ্রান্স-২        অস্ট্রেলিয়া-১

ফ্রান্স-গ্রিজম্যান(৫৮ মিনিট, পেনাল্টি), পোগবা (৮০ মিনিট)

অস্ট্রেলিয়া-জেডিন্যাক (৬২ মিনিট, পেনাল্টি)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ- পল পোগবা (ফ্রান্স)

বল দখলে রেখেছে ফ্রান্স ৫৫% আর অস্ট্রেলিয়া ৪৫%।

ফ্রান্স শট নিয়েছে ১৩ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ৬।

গোল লক্ষ্য করে শট ফ্রান্স নিয়েছে ৬ আর অস্ট্রেলিয়া ১।

কর্নার আদায় করেছে ফ্রান্স ৫ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ১টি।

ফাউল করেছে ফ্রান্স ১৬ আর অস্ট্রেলিয়া করেছে ১৯।

রেকর্ড

বিশ্বকাপে এটা চতুর্থবার ফ্রান্স সফলভাবে শুরু করল। এ পর্যন্ত দুটি জয়, দুটি ড্র করে তারা। ২০০২ সালে শুধু তারা সেনেগালের কাছে হেরে যায়।

অস্ট্রেলিয়া তাদের বিশ্বকাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচের পাঁচটির মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। একমাত্র জয় পায় তারা ২০০৬সালের বিশ্বকাপে জাপানের বিরুদ্ধে।

শুরুর প্রথম আট মিনিটে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সেভ করেন ম্যাট রায়ান্স।

দুট পেনাল্টি আসে ম্যাচের চার মিনিটের ব্যবধানে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। ফ্রান্সের পেনাল্টির পর মাত্র সাত সেকেন্ডের ব্যবধানে দ্বিতীয় পেনল্ট পায় অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সেনেগালের সঙ্গে উরুগুয়ের ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে দুই দল পেনাল্টি পেয়েছিল। এরপর ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এল সেই মুহূর্ত।

ফ্রান্সের এটা ১৮তম জয় যে ম্যাচে গ্রীজম্যান গোল করেছেন। আজ পর্যন্ত সেই ম্যাচ অপরাজিত থেকেছে ফ্রান্স।১৬টি জয়, ২টি ড্র হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রথম একাদশের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৪ বছর ১৯৬দিন। বিশ্বকপাএর ইতিহাসে তাদের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় চিলির বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ১৯৩০ সালের জুলাই মাসে।

বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হলেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল আরজানি। তাঁর বয়স ১৯ বছর ১৬৩দিন।

 একনজরে পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ

পর্তুগাল-৩  স্পেন-৩

প্ররতুগালের হয়ে হাট্রিক করেন অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ম্যাচের ৪, ৪৪ ও ৮৮মিনিটে গোল করেন। স্পেনের হয়ে দুটি গোল করেন দিয়েগো কোস্টা (২৪ ও ৫৫ মিনিটে), ন্যাচো (৫৮মিনিটে)।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

বল দখলে রেখেছে পর্তুগাল ৩৩% আর স্পেন ৬৭%।

পর্তুগাল শট নিয়েছে ৯ আর স্পেন নিয়েছে ১৩।

গোল লক্ষ্য করে শট পর্তুগাল নিয়েছে ৩ আর স্পেন ৬।

কর্নার আদায় করেছে পর্তুগাল ৪ আর স্পেন নিয়েছে ৫টি।

ফাউল করেছে পর্তুগাল ১২ আর স্পেন করেছে ১০।

রেকর্ড

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে হাট্রিক করে এক নয়া রেকর্ড স্থাপন করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর ১৩০দিন। এর আগের রেকর্ড ছিল ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের রব রেনেসেনব্রিকের ইরানের বিরুদ্ধে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর ৩৩৫দিন।

রোনাল্ডোর ক্লাব ও দেশের হয়ে এটা ৫১তম হ্যাট্রিক, পাশাপাশি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা ৫১তম হ্যাট্রিক হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে গেল।

স্পেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে করা তৃতীয় গোলটি দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথম ডাইরেক্ট ফ্রিকিক থেকে নেওয়া গোল।

স্পেন তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে দু’বার প্রথম ম্যাচ জিততে পেরেছিল ২০০২ ও ২০০৬।

স্পেনের দিয়েগো কোস্টা গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নেন আর দুটিতেই তিনি গোল পান।

 একনজরে মরক্কো-ইরান ম্যাচ

মরক্কো-০                 ইরান-১

জয়ী ইরান ১-০ গোলে।গোলদাতা বৌহদ্দুজা। গোল করেন খেলার একেবারে শেষ সময়ে ৯০+৫মিনিটে।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-মেহেদি বেনাশিয়া (মরক্কো)

বল দখলে রেখেছে মরক্কো ৬৮% আর ইরান ৩২%।

মরক্কো শট নিয়েছে ১৩ আর ইরান নিয়েছে ৯।

গোল লক্ষ্য করে শট মরক্কো নিয়েছে ৩ আর ইরান ২।

কর্নার আদায় করেছে মরক্কো ৫ আর ইরান নিয়েছে ২টি।

ফাউল করেছে মরক্কো ২২ আর ইরান করেছে ১৪।

রেকর্ড

মরক্কো আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি। এ পর্যন্ত তারা বিশ্বকাপে দুটি ড্র ও তিনটিতে হেরেছে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইরান তাদের দ্বিতীয় জয় অর্জন করল। এর আগে ১৯৯৮ সালে আমেরিকাকে তারা হারায়। এছাড়া তারা তিনটি ড্র ও আটটি ম্যাচ হেরেছে।

ইরান দ্বিতীয়ার্ধে একটি ও গোল লক্ষ্য করে শট নিতে পারেনি।১৯৬৬সালের পর ইরান একমাত্র দল যারা বিনা শটেই জয়ের স্বাদ পেয়ে গেল।

২০১৪ সালে ইরান নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেছিল। এবার তারা মরক্কোকে হারিয়ে দিল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় আত্মঘাতী গোল মরক্কোর আজিজ বৌহদ্দুজার গোল। ম্যাচের ৯৫ মিনিটে এই গোল তাদের প্রথম ম্যাচের বুকে তীর বিঁধে দিয়ে গেল। এর আগে ২০১৪ সালে নাইজেরিয়া-ফ্রান্স ম্যাচে নাইজেরিয়ার যোশেফ জোবোর করা আত্মঘাতী গোলের হারতে হয়েছিল আফ্রকার ঐ দলকে।

কার্লোস কুইরোজ আফ্রিকান নেশন কাপের একটি ম্যাচও হারেনি। তারা একটিতে জেতে আর দুটো ম্যাচ ড্র করে।

এই ম্যাচে মোট শটের ৮২% শট প্রথমার্ধে নেওয়া হয়। ২২টির মধ্যে ১৮টি।

মরক্কোর আজিজ বৌহদ্দুজা তৃতীয় পরিবর্তিত খেলোয়াড় যিনি আত্মঘাতী গোল কর্লেন। এর আগে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে হাঙ্গেরির লাজকো ড্যাজকা, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে পর্তুগালের পেটিট জার্মানির বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল করেন।

আফ্রিকার কোনও দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম জয় পায় এশিয়ার জাপান। তারা ২০১০ সালে ক্যামেরুনকে হারিয়েছিল।

 একনজরে উরুগুয়ে-মিশর ম্যাচ

উরুগুয়ে-১  মিশর-০

উরুগুয়ে ১ গোলে জেতে। গোলদাতা গিমিনেজ ৮৯ মিনিটে গোল করেন।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-দিইয়েগো গোদিন (উরুগুয়ে)

বল দখলে রেখেছে মিশর ৪২% আর উরুগুয়ে৫৮%।

মিশর শট নিয়েছে ৮ আর উরুগুয়ে নিয়েছে ১৫।

গোল লক্ষ্য করে শট মিশর নিয়েছে ৩ আর উরুগুয়ে ৪।

কর্নার আদায় করতে পারেনি মিশর আর উরুগুয়ে সেখানে কর্নার নিয়েছে ৫টি।

ফাউল করেছে মিশর ১২ আর উরুগুয়ে করেছে ৬।

রেকর্ড

উরুগুয়ে বিশ্বকাপে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ প্রথম জিতেছিল ১৯৭০ সালে। সেবার তারা হারিয়েছিল ইজরায়েলকে।

মিশর তাদের বিশ্বকাপে হারার রেকর্ড অব্যাহত রেখেছে।বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত তারা পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচ হেরেছে আর দুটি ড্র রাখতে পেরেছে।

জোস গিমিনিজের করা এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচে ৯০ মিনিটে করা গোল সাম্প্রতিক্তম গোল হিসেবে বিচিতে হচ্ছে। এর আগে উরুগুয়ের হয়ে ৯২ মিনিটে দক্ষিন কোরিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন ড্যানিয়েল ফনসেকা ১৯৯০ সালের জুন মাসে।

মিশর শেষ তিনটি বিশ্বকাপের ম্যাগুলিতে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আফ্রিকান দলগুলি দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলির বিরুদ্ধে শেষ ১৯টি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।১৯৯০ সালে ক্যামেরুন একবার কলম্বিয়াকে পরাজিত করেছিল। শে৪ষ ১৯টি ম্যাচে আফিকান দলগুলির পরিসংখ্যান -৪টি ড্র, ১৫টি হার।

জোস গিমিনেজ উরুগুয়ের হয়ে কার্যকরী গোল করেন। তবে তিনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে গোল করেন উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে।

উরুগুয়ে শেষ তিনটি বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজের ম্যাচে জয়ী হয়েছিল খেলার শেষের দিকে ১০ মিনিটে।

উরুগুয়ের বিশ্বকাপে শেষ যে চারটি গোল এসেছে তার মধ্যে তিনটি এসেছে হেড থেকে।

উরুগুয়ের ওস্কার তাবারেজ হলেন সেই ম্যানেজার যিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর ঝুলিতে আছে ১৬টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য। এর আগে আছেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো। তিনি বিশ্বকাপে ২০টি ম্যাচ খেলেছেন।

ওস্কার তাবারেজ হলেন পঞ্চম ম্যানেজার যিনি চারটি বিশ্বকাপে (১৯৯০, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮) ওংশ নিয়েছেন। এর আগে এই তালিকায় আছেন ওয়াল্টার উইন্টারবোটম (ইংল্যান্ড), যোশেফ হার্বার্গার (জার্মানি), হেলমুট শন(জার্মানি), লাজোশ বার্তোরি (হাঙ্গেরি)।

এক নজরে রাশিয়া-সৌদি আরব ম্যাচ

রাশিয়া-৫   সৌদি আরব-০

গোলদাতা- গ্যাজিনেস্কি(১২মিনিট), চেরিশেভ (৪৩, ৯০+১মিনিট), ডিজুবা(৭১ মিনিট), গোলোভিন(৯০+৪ মিনিট)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-আলেক্সান্ডার গোলোভিন(রাশিয়া)

বল দখলে রেখেছে রাশিয়া ৩৯% আর সৌদি আরব৬১%।

রাশিয়া শট নিয়েছে ১৪ আর সৌদি আরব নিয়েছে ৬।

গোল লক্ষ্য করে শট রাশিয়া নিয়েছে ৭ আর সৌদি আরব ০।

কর্নার আদায় করেছে রাশিয়া ৬ আর সৌদি আরব ২।

ফাউল করেছে রাশিয়া ২২ আর সৌদি আরব করেছে ১০।

রেকর্ডঃ

২১তম রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক দেশ তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ী হল। ফলে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে ১৬টি জয়, ২টি ড্র হল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে রাশিয়ার ৫-০ গোলে জয় দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ১৯৩৪ সালে ইতালি বিশ্বকাপে ইতালি উদ্বোধনী ম্যাচে আমেরিকাকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল। সেই রেকর্ডই এখনও পর্যন্ত অক্ষত হয়ে আছে।

সৌদি আরব তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১১টি ম্যাচ খেলে ৯বার পরাজিত হয়েছে ও দু’বার ড্র করেছে। তাদের শেষ জয় এসেছে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে ১৯৯৪ সালে।

রাশিয়া একটি ম্যাচে দ্বিগুনেরও বেশি পাঁচটি গোল করে রেকর্ড করেছেন যেখানে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচে গোল হয়েছে ২টি।

ইউরি গ্যাজেনস্কি ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল লক্ষ্য করে শট নিলেন আর সেই শটেই এল কাঙ্খিত প্রথম গোল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে হেড দিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে গোল করলেন গ্যাজিনস্কি। এর আগে ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন-আর্জেন্টিনা ম্যাচে হেডে গোল করেছিলেন ফ্র্যাঙ্কোইস ওমান-বিয়িক।

উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথম বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে গোল করলেন ড্যানিশ চেরিশেভ।

রাশিয়ার হয়ে সাতবার খেলা গ্যাজেনস্কি ও ১২বার খেলা চেরিশেভ দলের হয়ে প্রথম গোল করলেন।

আর্টেম ডিজুবা বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামের ৮৯ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন। সেই সঙ্গে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে দ্রুতগামী গোল করার রেকর্ড গড়েন। এর আগে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে পোল্যান্ড-আমেরিকা ম্যাচে এই রেকর্ড ছিল মার্সিন জিউলাকোর।

রাশিয়ের হয়ে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়লেন সের্গেই ইগনাসেভিচ।তাঁর বয়স এখন ৩৮ বছর ৩৩৫দিন।

Published on: জুন ২৩, ২০১৮ @ ০৮:১২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 8 =