LIVE UPDATE: ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুন ১৬, ২০১৮ @ ১৫:৫২

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ  শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ২০১৮। রাশিয়ায় উদ্বোধনী ম্যাচে হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড। উঠে এল অনেক তথ্য। থাকছে বিশ্বকাপের আরও খুঁটিনাটি খবর। সংবাদ প্রভাকর টাইমস গত এক মাস আগে থেকেই তুলে ধরেছে অনেক না জানা তথ্য। এবার থাকছে একেবারে লাইভ আপডেট। আমরা পাঠকের কাছে ফুটবলের জ্ঞানপাঠ দিতে চাই না। সেই ধৃষ্টতাও আমাদের নেই। আমরা চাই নতুনকে চেনাতে নতুনকে জানাতে।পাঠক এই কলমের মাধ্যমে জানতে পারবে বিশ্বকাপের নানা খবর। চলবে বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত।

উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া ৫-০ গোলে হারাল সৌদি আরবকে।

ম্যাচের ১২মিনিটে ইউরি গ্যাজিন্সকি গোল করে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লিখে রাখলেন।

এ পর্যন্ত স্পেনের বিরুদ্ধে ৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে করা রোনাল্ডোর গোলই এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোল হিসেবে থাকছে।

উদ্বোধনী ম্যাচে দুই গোল করে রেকর্ড গড়লেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিশ চেরিশেভ। তিনি ম্যাচের ৪৩ মিনিট ও দ্বিতীয়ার্ধে ৯০+৪ মিনিটে গোল করেন।

প্রথম ম্যাচ হল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।

 এক নজরে রাশিয়া-সৌদি আরব ম্যাচঃ

বল দখলে রেখেছে রাশিয়া ৩৯% আর সৌদি আরব৬১%।

রাশিয়া শট নিয়েছে ১৪ আর সৌদি আরব নিয়েছে ৬।

গোল লক্ষ্য করে শট রাশিয়া নিয়েছে ৭ আর সৌদি আরব ০।

কর্নার আদায় করেছে রাশিয়া ৬ আর সৌদি আরব ২।

ফাউল করেছে রাশিয়া ২২ আর সৌদি আরব করেছে ১০।

 রেকর্ডঃ

২১তম রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক দেশ তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ী হল। ফলে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে ১৬টি জয়, ২টি ড্র হল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে রাশিয়ার ৫-০ গোলে জয় দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ১৯৩৪ সালে ইতালি বিশ্বকাপে ইতালি উদ্বোধনী ম্যাচে আমেরিকাকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল। সেই রেকর্ডই এখনও পর্যন্ত অক্ষত হয়ে আছে।

সৌদি আরব তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১১টি ম্যাচ খেলে ৯বার পরাজিত হয়েছে ও দু’বার ড্র করেছে। তাদের শেষ জয় এসেছে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে ১৯৯৪ সালে।

রাশিয়া একটি ম্যাচে দ্বিগুনেরও বেশি পাঁচটি গোল করে রেকর্ড করেছেন যেখানে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচে গোল হয়েছে ২টি।

ইউরি গ্যাজেনস্কি ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল লক্ষ্য করে শট নিলেন আর সেই শটেই এল কাঙ্খিত প্রথম গোল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে হেড দিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে গোল করলেন গ্যাজিনস্কি। এর আগে ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন-আর্জেন্টিনা ম্যাচে হেডে গোল করেছিলেন ফ্র্যাঙ্কোইস ওমান-বিয়িক।

উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথম বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে গোল করলেন ড্যানিশ চেরিশেভ।

রাশিয়ার হয়ে সাতবার খেলা গ্যাজেনস্কি ও ১২বার খেলা চেরিশেভ দলের হয়ে প্রথম গোল করলেন।

আর্টেম ডিজুবা বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামের ৮৯ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন। সেই সঙ্গে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে দ্রুতগামী গোল করার রেকর্ড গড়েন। এর আগে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে পোল্যান্ড-আমেরিকা ম্যাচে এই রেকর্ড ছিল মার্সিন জিউলাকোর।

রাশিয়ের হয়ে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়লেন সের্গেই ইগনাসেভিচ।তাঁর বয়স এখন ৩৮ বছর ৩৩৫দিন।

একনজরে উরুগুয়ে-মিশর ম্যাচ

উরুগুয়ে-১  মিশর-০

উরুগুয়ে ১ গোলে জেতে। গোলদাতা গিমিনেজ ৮৯ মিনিটে গোল করেন।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-দিইয়েগো গোদিন (উরুগুয়ে)

বল দখলে রেখেছে মিশর ৪২% আর উরুগুয়ে৫৮%।

মিশর শট নিয়েছে ৮ আর উরুগুয়ে নিয়েছে ১৫।

গোল লক্ষ্য করে শট মিশর নিয়েছে ৩ আর উরুগুয়ে ৪।

কর্নার আদায় করতে পারেনি মিশর আর উরুগুয়ে সেখানে কর্নার নিয়েছে ৫টি।

ফাউল করেছে মিশর ১২ আর উরুগুয়ে করেছে ৬।

রেকর্ড

উরুগুয়ে বিশ্বকাপে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ প্রথম জিতেছিল ১৯৭০ সালে। সেবার তারা হারিয়েছিল ইজরায়েলকে।

মিশর তাদের বিশ্বকাপে হারার রেকর্ড অব্যাহত রেখেছে।বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত তারা পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচ হেরেছে আর দুটি ড্র রাখতে পেরেছে।

জোস গিমিনিজের করা এবারের বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচে ৯০ মিনিটে করা গোল সাম্প্রতিক্তম গোল হিসেবে বিচিতে হচ্ছে। এর আগে উরুগুয়ের হয়ে ৯২ মিনিটে দক্ষিন কোরিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন ড্যানিয়েল ফনসেকা ১৯৯০ সালের জুন মাসে।

মিশর শেষ তিনটি বিশ্বকাপের ম্যাগুলিতে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আফ্রিকান দলগুলি দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলির বিরুদ্ধে শেষ ১৯টি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।১৯৯০ সালে ক্যামেরুন একবার কলম্বিয়াকে পরাজিত করেছিল। শে৪ষ ১৯টি ম্যাচে আফিকান দলগুলির পরিসংখ্যান -৪টি ড্র, ১৫টি হার।

জোস গিমিনেজ উরুগুয়ের হয়ে কার্যকরী গোল করেন। তবে তিনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে গোল করেন উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে।

উরুগুয়ে শেষ তিনটি বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজের ম্যাচে জয়ী হয়েছিল খেলার শেষের দিকে ১০ মিনিটে।

উরুগুয়ের বিশ্বকাপে শেষ যে চারটি গোল এসেছে তার মধ্যে তিনটি এসেছে হেড থেকে।

উরুগুয়ের ওস্কার তাবারেজ হলেন সেই ম্যানেজার যিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর ঝুলিতে আছে ১৬টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য। এর আগে আছেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো। তিনি বিশ্বকাপে ২০টি ম্যাচ খেলেছেন।

ওস্কার তাবারেজ হলেন পঞ্চম ম্যানেজার যিনি চারটি বিশ্বকাপে (১৯৯০, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮) ওংশ নিয়েছেন। এর আগে এই তালিকায় আছেন ওয়াল্টার উইন্টারবোটম (ইংল্যান্ড), যোশেফ হার্বার্গার (জার্মানি), হেলমুট শন(জার্মানি), লাজোশ বার্তোরি (হাঙ্গেরি)।

একনজরে মরক্কো-ইরান ম্যাচ

মরক্কো-০                 ইরান-১

জয়ী ইরান ১-০ গোলে।গোলদাতা বৌহদ্দুজা। গোল করেন খেলার একেবারে শেষ সময়ে ৯০+৫মিনিটে।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ-মেহেদি বেনাশিয়া (মরক্কো)

বল দখলে রেখেছে মরক্কো ৬৮% আর ইরান ৩২%।

মরক্কো শট নিয়েছে ১৩ আর ইরান নিয়েছে ৯।

গোল লক্ষ্য করে শট মরক্কো নিয়েছে ৩ আর ইরান ২।

কর্নার আদায় করেছে মরক্কো ৫ আর ইরান নিয়েছে ২টি।

ফাউল করেছে মরক্কো ২২ আর ইরান করেছে ১৪।

রেকর্ড

মরক্কো আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি। এ পর্যন্ত তারা বিশ্বকাপে দুটি ড্র ও তিনটিতে হেরেছে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইরান তাদের দ্বিতীয় জয় অর্জন করল। এর আগে ১৯৯৮ সালে আমেরিকাকে তারা হারায়। এছাড়া তারা তিনটি ড্র ও আটটি ম্যাচ হেরেছে।

ইরান দ্বিতীয়ার্ধে একটি ও গোল লক্ষ্য করে শট নিতে পারেনি।১৯৬৬সালের পর ইরান একমাত্র দল যারা বিনা শটেই জয়ের স্বাদ পেয়ে গেল।

২০১৪ সালে ইরান নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেছিল। এবার তারা মরক্কোকে হারিয়ে দিল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় আত্মঘাতী গোল মরক্কোর আজিজ বৌহদ্দুজার গোল। ম্যাচের ৯৫ মিনিটে এই গোল তাদের প্রথম ম্যাচের বুকে তীর বিঁধে দিয়ে গেল। এর আগে ২০১৪ সালে নাইজেরিয়া-ফ্রান্স ম্যাচে নাইজেরিয়ার যোশেফ জোবোর করা আত্মঘাতী গোলের হারতে হয়েছিল আফ্রকার ঐ দলকে।

কার্লোস কুইরোজ আফ্রিকান নেশন কাপের একটি ম্যাচও হারেনি। তারা একটিতে জেতে আর দুটো ম্যাচ ড্র করে।

এই ম্যাচে মোট শটের ৮২% শট প্রথমার্ধে নেওয়া হয়। ২২টির মধ্যে ১৮টি।

মরক্কোর আজিজ বৌহদ্দুজা তৃতীয় পরিবর্তিত খেলোয়াড় যিনি আত্মঘাতী গোল কর্লেন। এর আগে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে হাঙ্গেরির লাজকো ড্যাজকা, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে পর্তুগালের পেটিট জার্মানির বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল করেন।

আফ্রিকার কোনও দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম জয় পায় এশিয়ার জাপান। তারা ২০১০ সালে ক্যামেরুনকে হারিয়েছিল।

একনজরে পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ

পর্তুগাল-৩  স্পেন-৩

প্ররতুগালের হয়ে হাট্রিক করেন অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ম্যাচের ৪, ৪৪ ও ৮৮মিনিটে গোল করেন। স্পেনের হয়ে দুটি গোল করেন দিয়েগো কোস্টা (২৪ ও ৫৫ মিনিটে), ন্যাচো (৫৮মিনিটে)।

 ম্যান অব দ্য ম্যাচ-ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

 বল দখলে রেখেছে পর্তুগাল ৩৩% আর স্পেন ৬৭%।

পর্তুগাল শট নিয়েছে ৯ আর স্পেন নিয়েছে ১৩।

গোল লক্ষ্য করে শট পর্তুগাল নিয়েছে ৩ আর স্পেন ৬।

কর্নার আদায় করেছে পর্তুগাল ৪ আর স্পেন নিয়েছে ৫টি।

ফাউল করেছে পর্তুগাল ১২ আর স্পেন করেছে ১০।

রেকর্ড

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে হাট্রিক করে এক নয়া রেকর্ড স্থাপন করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর ১৩০দিন। এর আগের রেকর্ড ছিল ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের রব রেনেসেনব্রিকের ইরানের বিরুদ্ধে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর ৩৩৫দিন।

রোনাল্ডোর ক্লাব ও দেশের হয়ে এটা ৫১তম হ্যাট্রিক, পাশাপাশি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা ৫১তম হ্যাট্রিক হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে গেল।

স্পেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে করা তৃতীয় গোলটি দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথম ডাইরেক্ট ফ্রিকিক থেকে নেওয়া গোল।

স্পেন তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে দু’বার প্রথম ম্যাচ জিততে পেরেছিল ২০০২ ও ২০০৬।

স্পেনের দিয়েগো কোস্টা গোল লক্ষ্য করে দুটি শট নেন আর দুটিতেই তিনি গোল পান।

একনজরে ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ

ফ্রান্স-২        অস্ট্রেলিয়া-১

ফ্রান্স-গ্রিজম্যান(৫৮ মিনিট, পেনাল্টি), পোগবা (৮০ মিনিট)

অস্ট্রেলিয়া-জেডিন্যাক (৬২ মিনিট, পেনাল্টি)

 ম্যান অব দ্য ম্যাচ- পল পোগবা (ফ্রান্স)

বল দখলে রেখেছে ফ্রান্স ৫৫% আর অস্ট্রেলিয়া ৪৫%।

ফ্রান্স শট নিয়েছে ১৩ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ৬।

গোল লক্ষ্য করে শট ফ্রান্স নিয়েছে ৬ আর অস্ট্রেলিয়া ১।

কর্নার আদায় করেছে ফ্রান্স ৫ আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ১টি।

ফাউল করেছে ফ্রান্স ১৬ আর অস্ট্রেলিয়া করেছে ১৯।

রেকর্ড

বিশ্বকাপে এটা চতুর্থবার ফ্রান্স সফলভাবে শুরু করল। এ পর্যন্ত দুটি জয়, দুটি ড্র করে তারা। ২০০২ সালে শুধু তারা সেনেগালের কাছে হেরে যায়।

অস্ট্রেলিয়া তাদের বিশ্বকাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচের পাঁচটির মধ্যে চারটিতেই হেরেছে। একমাত্র জয় পায় তারা ২০০৬সালের বিশ্বকাপে জাপানের বিরুদ্ধে।

শুরুর প্রথম আট মিনিটে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সেভ করেন ম্যাট রায়ান্স।

দুট পেনাল্টি আসে ম্যাচের চার মিনিটের ব্যবধানে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। ফ্রান্সের পেনাল্টির পর মাত্র সাত সেকেন্ডের ব্যবধানে দ্বিতীয় পেনল্ট পায় অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সেনেগালের সঙ্গে উরুগুয়ের ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে দুই দল পেনাল্টি পেয়েছিল। এরপর ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এল সেই মুহূর্ত।

ফ্রান্সের এটা ১৮তম জয় যে ম্যাচে গ্রীজম্যান গোল করেছেন। আজ পর্যন্ত সেই ম্যাচ অপরাজিত থেকেছে ফ্রান্স।১৬টি জয়, ২টি ড্র হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রথম একাদশের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৪ বছর ১৯৬দিন। বিশ্বকপাএর ইতিহাসে তাদের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় চিলির বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ১৯৩০ সালের জুলাই মাসে।

বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হলেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল আরজানি। তাঁর বয়স ১৯ বছর ১৬৩দিন।

একনজরে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ম্যাচ

আর্জেন্টিনা-১  আইসল্যান্ড-১

গোলদাতা-অ্যাগুয়েরা (১৯ মিনিট) ও ফিনবোগাসন(২৩)

 ম্যান অব দ্য ম্যাচ-হ্যান্স হ্যালডরস্যন (আইসল্যান্ড)

বল দখলে রেখেছে আর্জেন্টিনা ৭৮% আর আইসল্যান্ড ২২%।

আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে ২৭ আর আইসল্যান্ড নিয়েছে ৮।

গোল লক্ষ্য করে শট আর্জেন্টিনা নিয়েছে ৭ আর আইসল্যান্ড ২।

কর্নার আদায় করেছে আর্জেন্টিনা ১০ আর আইসল্যান্ড নিয়েছে ২টি।

ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা ১০ আর আইসল্যান্ড করেছে ১৫।

রেকর্ড

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ প্রথমবার হেরেছিল ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের কাছে। যদিও সেবার তারা ফাইনালে পৌঁছেছিল। সেখানে তারা অবশ্য জার্মানির কাছে হেরে যায়।

আইসল্যান্ডের এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ বিশ্বকাপে। সেনেগাল অবশ্য তাদের বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে জয় পেয়েছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে। যেখানে ক্রোয়েশিয়া ছিল ইউরোপের শেষ দল যারা একই ফল করেছিল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে জামাইকার বিরুদ্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধে আইসল্যান্ড গোল লক্ক্য করে একটি শটও নিতে ব্যর্থ হয়, যা একটা রেকর্ড হয়ে রইল বিশ্বকাপে। যেখানে আর্জেন্টিনা মোট ১৬টি শট নিয়েছে।

আর্জেন্টিনা এই নিয়ে দুটি বিশ্বকাপে পেনাল্টি শট মিস করল। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে তাদের আরিয়েল ওর্তেগা পেনাল্টি মিস করেছিলেন সুইডেনের বিরুদ্ধে। আজ যেটা করলেন মেসি।

আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেসি মোট ১১টি শট নিয়েছেন। বিশ্বকাপে এর আগে এতগুলি শট একটি ম্যাচে তিনি নেননি।

জেভিয়ার মাসচিরানো আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে জেভিয়ার জেনেত্তি।

অ্যাগুয়েরার এটি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে প্রথম গোল।

মেসি গত সাতটি পেনাল্টি শট মেরেছেন, তার মধ্যে তিনি ক্লাব ওদেশের হয়ে চারটি মিস করেছেন।  

Published on: জুন ১৬, ২০১৮ @ ১৫:৫২

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 3