HONEY TRAP: উদ্ধার ৪ হাজার ফাইল থেকে মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, হয়ে উঠতে পারে দেশের বৃহত্তম যৌন কেলেঙ্কারী

Main দেশ
শেয়ার করুন

  • এর মধ্যে রয়েছে পর্ন চ্যাটগুলির স্ক্রিনশট, কর্মকর্তাদের অশ্লীল ফুটেজ, আপসকারী কর্মকর্তাদের ভিডিও এবং অডিও ক্লিপ।
  • প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রাজ্যপাল, প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপি এবং কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা ও আমলা এই মামলায় ফাঁসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • তদন্তকারী দলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এই ভিডিও এবং ফটোগুলি ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করা।

Published on: সেপ্টে ২৬, ২০১৯ @ ১৯:৩৮ 

 এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  মধ্যপ্রদেশের হানিট্র্যাপের ঘটনাটি দেশের বৃহত্তম যৌন কেলেঙ্কারী হতে পারে। এই মামলার তদন্তে বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন থেকে প্রায় চার হাজার ফাইলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্ন চ্যাটগুলির স্ক্রিনশট, কর্মকর্তাদের অশ্লীল ফুটেজ, আপসকারী কর্মকর্তাদের ভিডিও এবং অডিও ক্লিপ। এই ক্লিপগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কথিত আমলা, মন্ত্রী এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখানে বুধবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্ত শুরু করেছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সঞ্জীব শমি। তদন্তের অগ্রগতির সাথে সাথে এই মামলাটি দেশের বৃহত্তম যৌন কেলেঙ্কারী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিজিটাল ফাইলের সংখ্যা পাঁচ হাজারে পৌঁছতে পারে

বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনগুলি অব্যাহতভাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করছেন, এখন পর্যন্ত হানিট্র্যাপের থেকে 4 হাজার ভিডিও এবং অডিও ক্লিপ বের করা যেতে পারে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই ডিজিটাল ফাইলগুলির তালিকা পৌঁছতে পারে 5000 ।

মধুচক্রের ফাঁদে আটকে থাকা আমলা ও নেতাদের তালিকা অন্তহীন

তদন্তে আরও দেখা গেছে যে ব্ল্যাকমেলার মহিলারা ভোপালের সমৃদ্ধ ক্লাব দেখতে যেতেন। সেখানে তাদের জন্য রুম বুক করা থাকতো। বলা হচ্ছে যে এই ক্লাবগুলির চেক-ইন নিবন্ধগুলি এখনও নিখোঁজ রয়েছে এবং সেখানে এইসব মেয়েদের ছবি রয়েছে এমন অন্যান্য রেকর্ডে হেরফের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হানি ট্র্যাপের মামলায় সিনিয়র আমলা থেকে জুনিয়র প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়র, বিজেপি এবং কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের অন্তহীন তালিকা রয়েছে।সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনই খব মিলেছে।

ফাঁস হওয়া থেকে ভিডিও-অডিও ক্লিপগুলি রক্ষার চ্যালেঞ্জ

এসআইটি তদন্ত দলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হ’ল এই ভিডিওগুলি এবং ফটোগুলি ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করা যাতে তদন্তে ব্যাঘাত না ঘটে। এই মামলায় তদন্তকারী একজন অবজার্ভারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাজেয়াপ্ত হওয়া ফোন থেকে কিছু ক্লিপ ব্লুটুথের মাধ্যমে তার ফোনে স্থানান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে।

হানিট্র্যাপ মামলা কী?

ইন্দোর পুর-কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার হরভজনের তিন কোটি রুপি দাবি করার অভিযোগের পরে ভোপাল ও ইন্দোর পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছিল এবং ব্ল্যাকমেলিংকারী পাঁচ মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল। এই মহিলারা তাদের ভিডিও তৈরি করে অফিসার এবং রাজনীতিবিদদের ব্ল্যাকমেল করেছেন। সংবাদ মাধ্যমটি সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, এই হাই প্রোফাইল মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রাজ্যপাল, প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপি এবং কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা ও আমলা এই মামলায় ফাঁসতে পারে। যদিও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কারও নাম প্রকাশিত হয়নি।

Published on: সেপ্টে ২৬, ২০১৯ @ ১৯:৩৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

27 − 23 =