কার্তিক মাসে দীপদান মহোৎসবঃ কেন এই সময় ঘরে ঘরে দীপ জ্বালানো হয়, কি এর উদ্দেশ্য

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: নভে ২, ২০২১ @ ১৭:৫০
লেখক : তারকব্রহ্ম দাস  ব্রহ্মচারী

এসপিটি নিউজ: ভারতীয় বৈদিক সাহিত্যে দীপদান মহোৎসব একটি বিশেষ মহিমামণ্ডিত অনুষ্ঠান। পদ্মপুরাণ, স্কন্দপুরাণাদি শাস্ত্র কার্তিকমাসে দীপদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই মাসকে দামোদর মাস বলেন। এই মাস হেমন্ত ঋতুর অন্তর্গত। এই ঋতুর সমাগমে দেবী বসুন্ধরা তাঁর স্বাভাবিক কমনীয় শান্ত মূর্তি ধারণ করেন। হেমন্ত ঋতুজাত নানাপ্রকার বিকশিত পুষ্পের সৌরভে যেমন ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের তৃপ্তি বিধান করে, তেমনি এই সময়ে দেব অর্পিত দীপের মনোরম শোভাদ্বারা মানব নয়নেরও পরমানন্দ বিধান করে। আমাদের জীবনের মঙ্গল কামনায় সকলেরই আরাধ্য দেবের প্রতি দীপদান করা কর্তব্য।

সূর্যের উদয়ে যেমন সমস্ত জগতের অন্ধকাররাশি দূরীভত হয়, তেমনই পরম যত্ন  সহকারে এই মাসে বিধি মেনে হরিমন্দিরে আরাধ্যদেবের প্রীতিবিধানে দীপ জ্বালালে একদিকে যেমন সমস্ত দুঃখ অমঙ্গল দূর হয়ে জগতময় আলোয় ভরে উঠবে অপর দিকে তেমনি জগৎ জীবের জীবন দীপের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, আর সেই সঙ্গে পরলোকে পরম ধামে পরাগতি লাভ হবে।

এই কার্তিক মাসে ঘৃতদীপ, তিলতৈলদীপ, সকর্পূর দীপদান অধিক প্রশস্ত। অখণ্ড অর্থাৎ সারারাত ধরে দীপদান, হরিমন্দিরের উপরিভাবে কুম্ভের উপর দীপদান, শিখরস্থিত দীপ সন্দর্শন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। হরিমন্দিরে দীপপংক্তি প্রদান, আকাশ দীপদান, সলিল মধ্যে দীপদানে নেত্রযুগল অধিক তেজময় হয় ও দীপদাতা বিদ্বান হয়ে ভূমণ্ডলে বিচরণ করেন। যিনি প্রদীপ প্রবোধন বা আবর্তন করেন তিনিও মহামঙ্গল প্রাপ্ত হন। সামান্য জীব একটি মুষিকও অন্য দত্ত দীপ উদ্দীপনে পরমাগতি লাভ করেছিল।

অতএব আমাদের সকলের  এরূপ প্রার্থণা হোক- “ হে মঙ্গলময় দামোদরদেব! আপনাকে এই সুগন্ধ সমন্বিত দীপ আবর্তন পূর্বক সমর্পন করলাম। আপনি আমাদের হৃদয়মন্দির আলোকিত করে পরম কল্যাণ বিধান করুন।

Published on: নভে ২, ২০২১ @ ১৭:৫০


শেয়ার করুন