বিশ্ব পর্যটনে পুরুলিয়াকে তুলে ধরতে ETAA-র “ডেস্টিনেশন নলেজ প্রোগ্রাম”

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: আগ ২২, ২০২৫ at ১৬:০৫

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, পুরুলিয়া, ২২ আগস্ট: দেশ-বিদেশের পর্যটনের পাশাপাশি বাংলার পর্যটনও এখন জায়গা করে নিয়েছে। তেমনই একটি স্থান পুরলিয়া। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাটি পর্যটনে আজ নিজের স্বকীয়তা প্রমাণ করেছে। পাহাড়-জঙ্গল-জলে ঘেরা অসাধারণ এই জেলার পর্যটন আজ পর্যটকদের নজর কেড়েছে। এন্টারপ্রাইজিং ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ETAA) – ইস্টার্ন চ্যাপ্টার এবার সেই জায়গাটিকে আরও মজবুত করে তোলার এক প্রয়াস নিল। তাদের সদস্যদের এক প্রতিনিধি দল তিনদিন ধরে পুরুলিয়ায় থেকে “ডেস্টিনেশন নলেজ প্রোগ্রাম”-এর সফল আয়োজন করল।  যার মূল লক্ষ্য ছিল পূরুলিয়াকে একটি অনন্য ও সম্ভাবনাময় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা।

ETAA-র ইস্টার্ন চ্যাপ্টার –এর চেয়ারম্যান কৌশিক ব্যানার্জি বলেন- প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, আদিবাসী সংস্কৃতি, লোকশিল্প, পাহাড়-জঙ্গল ও গ্রামীণ অতিথিপরায়ণতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও বেশি মাত্রায় প্রচারের লক্ষ্যেই এই তিন দিনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে সোনকুপি বানজারা ক্যাম্পে পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত শ্রী দুখু মাঝিকে সশ্রদ্ধ সংবর্ধনা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূরুলিয়া–বাঘমুন্ডি ব্লকের বিডিও আর্য তাহ ও সোনকুপি বানজারা ক্যাম্পের কর্ণধার সুজিত চন্দ্র কুমার। তাঁদের উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

ETAA ইস্টার্ন চ্যাপ্টার এই সংবর্ধনার মাধ্যমে শুধুমাত্র একজন কৃতী ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানায়নি, পাশাপাশি “গাছ বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও” বার্তাটিও সকল পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরেছে। এছাড়া সরকার তথা পর্যটন দপ্তর যাতে সমগ্র বাঘমুন্ডি অঞ্চলকে আরও বেশি করে পর্যটন বান্ধব করে তোলার উদ্যোগ নেয় সেই বিষয়ে ETAA – র তরফ থেকে বিডিও মহাশয়ের কাছে আবেদন জ্ঞাপন করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে সকলকে অন্তত একটি করে গাছ রোপণ ও সংরক্ষণের অঙ্গীকার নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Published on: আগ ২২, ২০২৫ at ১৬:০৫


শেয়ার করুন