-
২০২০ সালের বিশ্বের সেরা ১০০ ভ্রমণ স্থান নির্বাচন করেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম।
-
ভারত পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ, লেবাননের বেইরুট, জার্মানির স্যাক্সোন সুইৎজারল্যান্ড, স্পেনের আলহামব্রা, নামিবিয়াকে।
-
আমেরিকান সাংবাদিক লিখেছেন- প্রায় এক দশক আগে আমি বেশ কয়েকমাস ধরে ভারতে ঘুরেছি এবং পুরোপুরি সেই দেশের প্রেমে পড়েছি।
Published on: সেপ্টে ৯, ২০১৯ @ ২৩:১৮
এসপিটি ট্রাভেল ডেস্ক: আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সিএনএন বিশ্বের সেরা ১০০ ভ্রমণ স্থান বাছাই করেছে। ২০২০ সালের জন্য। যেখানে তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে -সেখানে সেরা ১০টি স্থানের উল্ল্যেখ করেছে। যে তালিকায় ভারত সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। যিনি এই রিপোর্টটি করেছেন তিনি লিখেছেন এক দশক আগে তিনি ভারতের নানা প্রান্ত ঘুরে দেশটির প্রেমে পড়ে গেছেন। আর সেই ভালোবাসাই তাকে এই দেশটি সম্পর্কে অনেক আনন্দ দিয়েছে। তারই ভিত্তিতে তিনি এই দেশের একটি স্থানকে বিশ্বের সেরা ভ্রমণ স্থানে জায়গা করে দিয়েছেন। পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ, লেবাননের বেইরুট, জার্মানির স্যাক্সোন সুইৎজারল্যান্ড, স্পেনের আলহামব্রা, নামিবিয়াকে।
সকল দেশের সেরা আমাদের ভারত
সারা ভারতে এমন অনেক রাজ্য কিংবা প্রদেশ কিংবা গ্রাম আছে যেখানে গেলে আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। সেজন্যই বোধ হয় কবি লিখেছিলেন- “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকে তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে সে আমার জন্মভূমি।” সত্যিই তিনি যথার্থ লিখেছিলেন।বিশ্বে অনেক দেশে গেলেও আপনি সারা ভারত না ঘুরলে বুঝতে পারবেন না কি আপনি বাকি রাখলেন।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন- সিএনএন-এর সেই সাংবাদিক বোধ হয় নিশ্চয়ই কাশ্মীর কিংবা লাদাখ কিংবা উত্তরাখণ্ডের কোনও স্থানকে বেছেছেন! না, তিনি এদের কোনও রাজ্যকেই বাছেননি। তিনি বেছে নিয়েছেন হিমাচল; প্রদেশকে। সেখানকার লাহুল-স্পিতীকে। সেখানকার চন্দ্রতাল লেককে। যার অপরূপ সৌন্দর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সারা বিশ্বে এমন সুন্দর হ্ররদ আর দ্বিতীয়টি নেই। এর অপার সৌন্দর্য্য যে কোনও পর্যটককে মোহিত করে দেবে।
কোথায় এর অবস্থান
চন্দ্র তাল হিমালয়ের প্রায় 4,300 মিটার (14,100 ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত একটি হ্রদ যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলার সীমান্তে কুঞ্জম পাসের নিকট অবস্থিত চন্দ্র নদী যা চলমান ভাগা নদীতে মিলে গিয়ে চন্দ্রভাগা নাম নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
চন্দ্রতাল নামের পিছনে রয়েছে এই রহস্য
চাঁদের মতো আকৃতির কারণে এই হ্রদটির এমন নামকরণ হয়েছে। লাহুল-স্পিতি জেলার লাহুল এলাকায় অবস্থিত এই দুর্গম হ্রদটি ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিংয়ের মতো আগ্রহী সাহসি পর্যটকদের জন্য খুবই বিখ্যাত।চন্দ্র তালের ব্যাস প্রায় 2.5 কিলোমিটার এবং হ্রদের চারপাশে বিশাল সমভূমি রয়েছে যা বসন্ত / গ্রীষ্মের মরশুমে বিভিন্ন ধরণের গাছপালা এবং বন্য ফুলের প্রাচুর্য্যে ভরে থাকে। রাখালরা এটি চারণভূমি হিসাবে এবং ট্রেকাররা পর্যটন শিবির স্থাপনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। হ্রদের মাঝখানে একটি দ্বীপও রয়েছে, যাকে সমুদ্র দ্বীপ বলা হয়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে এখানে জলের মধ্যে স্রোত দেখতে পাওয়া যায় না, সবসময় স্থির থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই হ্রদের জলের উৎস পৃথিবীর নীচ থেকে আসছে।চন্দ্র তাল থেকে 30 কিলোমিটার (98,000 ফুট) দূরত্বেও সুরজ তাল আর একটি দর্শনীয় স্থান।
চন্দ্রতাল পৌঁছবেন কিভাবে
চন্দ্র তাল খুবই দুর্গম জায়গা। শীতের সময় এখানে পৌঁছনো যায় না। কেবল মে মাসের শেষ থেকে অক্টোবরের শুরুতে এই হ্রদটি দেখার জন্য ঘুরতে আসার জন্য উপযুক্ত সময়।রোটাং পাস দিয়ে 6 ঘণ্টার ভ্রমণে এখানে পৌঁছনো যায়। মানালি থেকে পাড়ি দেওয়ার আগে জ্বালানী, যানবাহন মেরামত ইত্যাদি এবং খাবারের সামগ্রীর পুরো ব্যবস্থা করে তবেই রওনা হওয়া উচিত।
সিএনএন সাংবাদিকের অনুভূতি
“মারাত্মক, বরফ এবং দূরবর্তী, এখানে দৃশ্যাবলি দর্শনীয়ভাবে সুন্দর। তিব্বতের ঠিক পাশেই, এই অঞ্চলটি তিব্বত প্রভাব থেকে উপকৃত হয়েছিল, প্রায় এক দশক আগে আমি বেশ কয়েকমাস ধরে ভারতে ঘুরেছি এবং পুরোপুরি দেশের প্রেমে পড়েছি। আমি আরও মনে করি যে এমন একটি অঞ্চল সম্পর্কে সবেমাত্র প্রলুব্ধ হয়ে উঠেছে যা ফ্রান্স বা ইতালির লোকদের সাথে স্কি করা যেতে পারে যখন আপনি লাহুল-স্পিতিতে স্কিইং-এ যেতে পারেন? ” লিখেছেন সিএনএন সাংবাদিক কাশিয়া হিট্টার।
Published on: সেপ্টে ৯, ২০১৯ @ ২৩:১৮