CISF-এর মঞ্চে পাকিস্তানকে নিশানাঃ প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন-“যুদ্ধ করার শক্তি নেই তাই অনুপ্রবেশ করছে আমাদের প্রতিবেশী

দেশ
শেয়ার করুন

এসপিটি নিউজ, নিউ দিল্লি, ১০ মার্চঃ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স-এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের আরও একবার তিনি পাকিস্তানকে নিশানা করেন। বলেন-“প্রতিবেশী যুদ্ধ করতে সক্ষম নয় আর তাই তারা আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ।ছল করছে। এতে দেশের নিরাপত্তা আরও সমস্যার মুখে গিয়ে পড়ছে।

জওয়ানদের সুরক্ষা বাড়াতে অমেঠিতে তৈরি হবে অত্যাধুনিক রাইফেল

১) সরকারের দায়িত্ব অবশ্যই থাকে সেই পরিবারের উপর যে পরিবার বিশ্বাস রাখে যে তার ছেলে সুরক্ষিত রয়েছে যাকে সে উর্দি পরিয়ে দেশের শেষপ্রান্তে পাঠিয়েছে।আমাদের সরকার এই জন্য আধুনিক উপকরণ কিনছে যাতে করে আমাদের জওয়ানরা সুরক্ষিত থাকে।অমেঠিতে দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক রাইফেল নির্মাণ করা হবে। জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে সরকার পদকের সংখ্যা বাড়িয়েছে তাতে নতুন পদক পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

২) প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন সিআইএসএফ প্রতিষ্ঠা দিবসে হাজির হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিশানা করে বলেন যে আমার এমনটাই মনে হয়েছে যে আমাদের প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধ করতে সক্ষম নয়। তাই তারা আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করছে। তাই এক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। আপনাদের আসাধারণ কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই। যারা পুলিশ পদক এবং রাষ্ট্রপতি পদক জিতেছেন তাদের অভিনন্দন।

৩)কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসের আঘাত আমরা সয়ে চলেছি তা অসহনীয়। কিছু দিন আগে পুলওয়ামা ও উড়িতে যা হয়েছে তা খুব পীড়া দিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এই পীড়া বা যন্ত্রণা বেশি দিন ধরে সইতে পারব না। অনেক হয়েছে। কাউকে না কাউকে তো একটা বড় সিদ্ধান্ত নিতেই হত। এ আমার এক পরম সৌভাগ্য যে আপনাদের উপর ভরসা করে আমি এক বড় সিদ্ধান্ত নি। দেশের নীতিকে আমি এক নতুন দিশা দেখাতে পেরেছি।”

সিআইএসএফ-কে ডিজিটাল মিউজিয়াম বানানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

১) সিআইএসএফ-এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে গাজিয়াবাদে তাদের সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে হাজির হয়ে তিনি এই নিরাপত্তা সংস্থাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন-” আপনারা এয়ারপোর্ট ও মেট্রো স্টেশন-এ ডিজিটাল মিউজিয়াম তৈরি করুন।যেখানে তুলে ধরুন সিআইএসএফ কিভাবে এগিয়ে চলেছে কিভাবে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে চলেছে।” তিনি বলেন-

২)“আমরা এয়ারপোর্ট এবং মেট্রোর লাগাতর বিস্তার করে যাব এর ফলে সারা বিশ্বে এই ক্ষেত্রে আমরা সব চেয়ে বড় দেশ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরব। নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে হবে।সিআইএসএফ শুধুমাত্র নিরাপত্তাই দেয় না, তারা মানবিক কাজেও সহায়তা করে থাকে। বিপদের সময় তাদের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

৩)“কোনও একজন ব্যক্তির নিরাপত্তা দেওয়া খুব সহজ কিন্তু কোনও একটি সংস্থা যেখানে প্রতিদিন ৩০,০০,০০০ মানুষের আসা-যাওয়া লেগে আছে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা খুব মুশকিলের। যা কোনও একজন ভিআইপি-র নিরাপত্তার চেয়ে আরও অনেক বেশি জটিল। এজন্য আপনাদের আবারও ধন্যবাদ।”

৪) একই সঙ্গে তিনি সিআইএসএফ-কে মহিলা নিয়োগ বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই প্রসঙ্গে  প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন- “আমি একই সঙ্গে সেইসব মানুষদের ধন্যবাদ জানাব যারা নিজেদের কন্যাকে ইউনিফর্ম বানিয়ে সিআইএসএফ-এ ভর্তি করেছেন।”

সন্ত্রাসবাদের কাজের উপর অধ্যয়ন করতে গড়া হবে টাস্ক ফোর্স

১) চুপ করে বসে নেই ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রর মোদি এবার সন্ত্রাসবাদের কাজকর্ম আগে থেকে জেনে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন। সেই কথা জানাতে গিয়ে তিনি এদিন বলেন-” সন্রাসবাদ কেমন ধরনের তারা ক্রোনোলজি কেমন কোন মেন্টালিটির সঙ্গে তারা কাজ করে থাকে এর উপর এবার এক টাস্ক ফোর্স খোলনলচে দেখবে ও জানবে এমন একটি ট্রান্সপোর্ট ছড়িয় দিতে হবে। যদি এমন ট্রান্সপোর্ট হয় তবে তা গোটা বিশ্ব উপলব্ধি করতে পারবে। সন্ত্রাসবাদ মানবতার কাছে এক চ্যালেঞ্জ আর সেজন্যই এই টাস্ক ফোর্স গঠন হওয়া জরুরি।এজন্য সরকারের তরফে যা যা করার দরকার তা আমি সম্পূর্ণ করব।”

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 1 =