CHINA EASTERN ভারত-চিন ব্যবসায়িক সম্পর্কের মেরুদণ্ড হয়ে উঠবে- চিনা কনস্যুলেট ঝা লি ইউ

দেশ বিদেশ বিমান ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

  • চিন এবং ভারত দুই মহান দেশ। জাতির সভ্যতায় এই দুই দেশ অনেক উপরে।
  • বিশ্বের দিকে তাকান কত লড়াই, কত সংঘাত তারা স্থিতিশীল নয়- কিন্তু ভারত ও চিনের সম্পর্ক সর্বদা স্থিতিশীল। তাতে বিশ্ব নিরাপদ।
  • আমাদের চিন সরকার ভ্রমণকারীদের কাছে তাদের দক্ষতা আর গুনমান সর্বদা খেয়াল রাখবে।

Reporter: Aniruddha Pal

Published on: ডিসে ৮, ২০১৯ @ ১৯:৪৭

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর:  কিছুদিন আগেই তামিলনাড়ুর মহাবালেশ্বরে চিনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এক বিশেষ বৈঠক হয়েছিল। ভারত-চিন সম্পর্ক এখন যে ক্রমেই মজবুত হয়ে উঠছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল। গত শুক্রবার কলকাতায় পার্ক হোটেলে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন কোম্পানির এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে এসে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে সেই সুরেই সুর মিলিয়ে অনেক আশার কথা শুনিয়ে গেলেন চিনা কনস্যুলেট ঝা লি ইউ।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার জুন লি, ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া  বা টাফি-র ইস্টার্ন চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি সহ অনেকে।

চিনা কনস্যুলেট ঝা লি ইউ তাঁর বক্তব্যে ভারত-চিন সম্পর্কের কথা তুলে ধরতে গিয়ে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার বিষয় তুলে ধরেন। যেখানে তিনি কলকাতার দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ঘোরার অসাধারণ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্টের মহাবালেশ্বরের বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ভারত-চিনের সম্পর্কের উন্নতির দিকগুলির উপর আলোকপাত করেছেন। একবার দেখে নেওয়া যাক চিনা কনস্যুলেট কি কি কথা বলেছেন।

ভারতে বিশাল বাজার-এর সম্ভাবনা

“ভারতে বিশাল বাজার রয়েছে। আমি ভারতের পাঁচটি রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ঘুরেছি। সেখানে গিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা দেখেছি। তবে আমি এই পাঁচটি রাজ্যের সীমানায় গিয়ে কথা বলিনি। আমি এই রাজ্যগুলির বহু জায়গায় গিয়েছি ভ্রমণ করেছি। সেখানে গিয়ে আমি অসাধারণ পরিষেবা পেয়েছি। আমি ৪৫ দিনের ছুটিতে গেছিলাম চিনে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত। আমি সেখান থেকে ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছি। গত বছর একটা বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। সেইসময় পর্যন্ত কলকাতা-চিন সরাসরি উড়ান পরিষেবা পর্যাপ্ত পরিমানে ছিল না। ইন্ডিগোর ছিল দিল্লি থেকে চন্দুর। এছাড়াও অনেক চিনা এয়ারলাইন ছিল যার মধ্যে চিনের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন কোম্পানি চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন ছিল। অবশেষে বছরের শেষে চায়না ইস্টার্ন একটা বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। সাফল্য এসেছে আপনাদের ব্যবসাতেও। এর কৃতিত্ব আপনাদেরই। কারণ, আপনারা সফল হলে আমরা সুখী। আমাদের প্রয়োজন বন্ধুত্ব।ভারত-চিনের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হোক।”

চিনের রাষ্ট্রপতি আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

“আমাদের চিনে ভারতের রাষ্ট্রদূত মাননীয় বিক্রমের সঙ্গে গত অক্টোবর মাসে দেখা করেছিলাম। সেইসময় বেজিঙের বাঙালিরা সেখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল।আমি দেখে মুঘধ হয়ে গেছিলাম। আমাদের রাষ্ট্রপতি আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন চেন্নাই। যেখানে নয়া উড়ান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে দুইজনেই সম্মত হয়েছিলেন। এটা একটা উদাহরণ। এমন অনেক মানুষ চায়না ইস্টার্ন-এ ভ্রমণ করেন যারা যেতে চান বেজিং- ভায়া কুমিং। সাংহাই ভায়া কুইমিং। গঞ্জো ভায়া কুইমিং। আমরা সমস্ত রকমের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।চাইনিজরা এদেশে আসতে চাইলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ভিসার।”

চায়না ইস্টার্ন খুব ভালো পরিষেবা দিয়ে থাকে

“চায়না ইস্টার্ন খুব ভালো পরিষেবা দিয়ে থাকে। এখানে ভারতে ল্যান্ডিং করার পর সবচেয়ে যেটা জরুরী তা হল উন্নত ব্যবস্থা। এখানে সেটা আছে। যেসমস্ত ট্রাভেল এজেন্সি আছে তারা সকলেই এব্যাপারে খুবই দায়িত্ববান। আমাদের আছে নেটওয়ার্ক। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি আমি এখানে একাধিক দুর্গাপুজো প্যান্ডেল ঘুরে দেখেছি। মানুষ সকলেই খুব সুখী। আমাদের ৩০ থেকে ৫০ জন বড় প্রতিনিধি দল এসেছিল ভারতে। তাদের প্রতি যে ধরনের দেখভাল করা হয়েছিল এককথায় অসাধারণ। সামনের সপ্তাহে ভারতীয় আকুপাংচার প্রতিনিধি দল ভিজিট করবে কুইমিং। ইউনান থেকে যে প্রতিনিধি দল এখানে এসেছিল তারা চায়না ইস্টার্নের মাধ্যমেই এখানে ভিজিট করেছে। ঠিক তেমনই এক মহিলা প্রতিনিধি দল ভিজিট করে কলকাতা। তাদের এখানে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে এসেছিল এখানকার একটি সংস্থা।েরকম আদান-প্রদান চলতেই থাকে।”

সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে তৎপর আমার অফিস

“আমার অফিস সর্বদা সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার দিকে জোড় দিয়ে চলেছে। শক্তিশালী, সঙ্ঘবদ্ধ, ব্যবসা, শিক্ষা সবদিক দিয়ে।কারণ চিন এবং ভারত দুই মহান দেশ। জাতির সভ্যতায় এই দুই দেশ অনেক উপরে। ভবিষ্যতের জন্য এই দুই দেশ নতুন আকার নিতে চলেছে। বিশ্বের দিকে তাকান কত লড়াই, কত সংঘাত তারা স্থিতিশীল নয়- কিন্তু ভারত ও চিনের সম্পর্ক সর্বদা স্থিতিশীল। তাতে বিশ্ব নিরাপদ। আমি নিশ্চিত চায়না ইস্টার্ন অচিরেই ভারত-চিনের ব্যবসায়িক সম্পর্কের মেরুদন্ড হয়ে উঠবে। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি আমাদের চিন সরকার ভ্রমণকারীদের কাছে তাদের দক্ষতা আর গুনমান সর্বদা খেয়াল রাখবে।

Published on: ডিসে ৮, ২০১৯ @ ১৯:৪৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 51 = 61