“অদ্ভুত, ডাইনোসর-জাতীয়” মাছঃ সমুদ্র থেকে তুলতে সময় লেগেছিল ৩০ মিনিট

Main প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিদেশ
শেয়ার করুন

উত্তর নরওয়ের আন্দোয়া দ্বীপে সমুদ্রের গভীর তলদেশে নরওয়ের মৎস্যজীবীর শিকার বিশালদেহী এই মাছ।

এটি সমুদ্রের 800 মিটার গভীরে ছিল।

যদিও পরে প্রমাণিত হয় যে আসলে এটি ইদুঁরযুক্ত অতি নিরীহ প্রকৃতির এক ধরনের মাছ।

চেহারা যতই কুরুচিপূর্ণ হোক না কেন এটি খেতে বড়ই সুস্বাদু।

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  ধরতে গেছিলেন মাছ। কিন্তু উঠল এক অদ্ভুত ধরনের মাছ। মাছটির এমন অদ্ভুত চেহারা দেখে প্রথমে চমকে গেছিলেন অস্কার লুন্ডাহল নামে ওই যুবক। তাঁর নিজের কথায় এটি “অদ্ভুত, ডাইনোসর-জাতীয়” মাছ। যদিও পরে প্রমাণিত হয় যে মাছটি দেখতে বিরাট আকৃতির হলেও আসলে এটি ইদুঁরযুক্ত অতি নিরীহ প্রকৃতির এক ধরনের মাছ। উত্তর নরওয়ের আন্দোয়া দ্বীপে সমুদ্রের গভীর তলদেশে এর বাসস্থান। বলা যেতে পারে দুর্ঘটনাবশতই মাছটি অস্কারের বড়শিতে ধরা পড়ে যায়। স্কাই নিউজ সূত্র এমনই খবর জানা গেছে।

‘ব্লু হ্যালিবুট’ ধরার লক্ষ্যেই রিল ছেড়েছিলেন লুন্ডহল

১৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি অস্কার লুন্ডহাল উত্তর নরওয়ের আন্দোয়া দ্বীপে নৌকা নিয়ে গেছিলেন ‘ব্লু হ্যালিবুট’ মাছ ধরতে।এই মাছ সাধারণতঃ উত্তর আটলান্টিক এবং উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর তলদেশে অবস্থান করে। এই মাছ গভীর সমুদ্রের ২০০ থেকে ১,৬০০ মিটার তলদেশে থাকে। এরা সর্বোচ্চ ১২০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সর্বোচ্চ ৪৫ কেজি ওজন হতে পারে। তবে সাধারণতঃ এরা ৮০-১০০ সেমি। লম্বা এবং ওজন ১১-২৫ কেজি হয়।

এই ধরনের মাছের সন্ধানেই সমুদ্রের তলদেশে রিল ছেড়েছিলেন অস্কার। কিন্তু একটা সময় তাঁর মনে হয়েছিল বোধ হয় ওই মাছই তাঁর বড়শিতে বিধেছে। রিল গুটাতে থাকেন। কিন্তু যখন প্রথম মাছটিকে দেখেন রীতিমতো চমকে ওঠেন তিনি। এ আবার কী ধরনের মাছ। বিরাট আকৃতির। চোখ কত বড়! বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান অস্কার। এ তো রীতিমতো “অদ্ভুত, ডাইনোসর-জাতীয়” মাছ।

মাছটির চেহারার বর্ণনা

কিন্তু পরে প্রমাণিত হয় যে এটি দেখতে অমন কদাকার ধরনের হলেও এই জলজ প্রাণীটি আসলে একটি ইঁদুরযুক্ত মাছ ছিল, যা গভীর জলে বাস করে এবং শার্কের সাথে অনেক দূরের সম্পর্ক। তাছাড়া এটি মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় এবং এর নামটি তার দীর্ঘ, পাতলা লেজ থেকে পাওয়া যায় যা কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেছিলেন যে চেহারায় ইঁদুরের সাথে মিল রয়েছে। এমনকি, বিড়ালদের মতো আলোক প্রতিফলিত করতে ইঁদুরযুক্ত মাছের বড় চোখ অন্ধকারে সহায়তা করে।

যেভাবে মাছটি ধরে পড়েছিল

১৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি উত্তর নরওয়ের আন্দোয়া দ্বীপে মাছ ধরতে গেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল একটি ব্লু হ্যালিবাট ধরবেন। সেইভাবে সমুদ্রে রিলও ছেড়েছিলেন।  র‌্যাফফিশটি ধরতে গিয়ে নীল হালিবুট মাছ ধরছিল।টোপ হিসাবে ম্যাকেরেলের সাথে তার লাইনে চারটি হুক ছিল এবং 2,600 ফুট (800 মিটার) জলের গভীরতায় তিনি মাছ ধরছিলেন।

মাছটিকে ধরার অভিজ্ঞতার বর্ণনা

স্কাই নিউজকে ফিশিং গাইড তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন- “আমি শেষে খুব বড় কিছু ধরেছি বলে অনুভব করেছিলাম। আর সেটা তুলতে আমার প্রায় 30 মিনিট সময় লেগেছে কারণ এটি সমুদ্রের 800 মিটার গভীরে ছিল।দুটি হুকের উপর হালিবুট ছিল এবং আমি তখন সত্যিই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম- এ তো একেবারে অন্য।বেশ আশ্চর্যজনক ছিল। এর আগে আমি কখনও এমন ধরনের মাছ দেখিনি। এটি দেখতে কেবল অদ্ভুত, কিছুটা ডাইনোসর-জাতীয়।”

খেতে ভারী সুস্বাদু

মাছটিকে পরে ভক্ষন করেছিলেন লুন্ডাহল। কেমন খেতে ছিল- তাও জানিয়েছেন তিনি। বলেন- “মাছটিকে তিনি ঘরে নিয়ে যান। তবে মাছটির চেহারা যতই কুরুচিপূর্ণ হোক না কেন এটি খেতে বড়ই সুস্বাদু ছিল। এটি কিছুটা কোডের মতো তবে স্বাদযুক্ত অবশ্যই।” সূত্রঃ স্কাই নিউজ


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 9 = 17