CAA বাতিলের দাবিতে মমতা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিলেন

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

  • মমতা বলেন- “আপনি 38 শতাংশ ভোট পেয়ে আপনি 62 শতাংশ মানুষের অধিকার কেড়ে নেবেন! এটা কি কখনো হয়?”
  • “কে বলল যে বিজেপির মাদুলি পরে প্রমাণ করতে হবে আমরা নাগরিক নাকি নাগরিক নই- এর থেকে লজ্জ্বার আর কিছু হতে পারে?”
  • “ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং- কত মানে হয় বুঝে নাও।”
  • “এটা সারা ভারতবর্ষের আন্দোলন, এটা সারা পৃথিবীর আন্দোলন, এটা গণতন্ত্রের আন্দোলন।”

Published on: ডিসে ১৯, ২০১৯ @ ২৩:২৬ 

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর: সিটিজেনস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল এবং এনআরসি বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাণি রাসমণি রোডে এক প্রতিবাদ সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রীতোমতো জোরের সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকার এসব করে দেশের মানুষের নাগরিকতার অধিকার হরণ করছে। এর বিরুদ্ধে তিনি দেশবাসীকে পথে নামার ডাক দেন।

প্রতিবাদ সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন- “কেউ যদি মনে করে থাকে আমি চার বছর দেশে ক্ষমতায় আছি চার বছর ক্ষমতায় থাকবো। তাই আমার ইচ্ছায় কিছু হবে না। দেশ ভালো থাকুক। গর্বের কাজ হলে নিশ্চয় সমর্থন করবো। কিন্তু একটা পলিটিক্যাল পার্টি ঠিক করবে দেশে কে থাকবে আর কে থাকবে না।কার নাগরিকত্ব থাকবে আর কার থাকবে না, কার অস্তিত্বের ঠিকানা থাকবে আর কার অস্তিত্বের ঠিকানা থাকবে না তাহলে কিন্তু ভুল করবেন।”
  • এরপরই তাঁর প্রশ্ন- “কত পার্সেন্ট পেয়েছেন মাত্রে 38 শতাংশ। তাহলে এত করেও এই ভোটে যদি জিতে থাকেন তাহলে বিরুদ্ধে পেয়েছে কত? 62 শতাংশ। তাহলে আপনি 38 শতাংশ ভোট পেয়ে আপনি 62 শতাংশ মানুষের অধিকার কেড়ে নেবেন! এটা কি কখনো হয়? আজকে আমার কি দুর্ভাগ্য যে আমায় আজ কৈফয়ত দিতে হবে যে আমার বাবা-মায়ের জন্মদিন কবে? বাবা-মায়ের জন্মের ঠিকানা দিতে হবে। বলছে যারা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের মধ্যে যারা এখানে এসেছে বা আছো তাদের বাবা-মায়ের ঠিকনা বা জমির দলিল চাই। তাদের জন্মের শংসাপত্র কোথায় পাবো বলতে পারেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের পরে এসেছেন তারা তো ভারত সরকারের চুক্তি অনুসারে এসেছেন। ১৯৭১ সালের মার্চ অবধি তারা অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক। মতুয়ারা যারা এসেছেন তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এসেছেন।রাজবংশী, কামতাপুরি যারা আছেন তারা সকলেই নাগরিক। যারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আছেন তারা সবাই নাগরিক। তাহলে হঠাত করে কে বলল যে বিজেপির মাদুলি পরে প্রমাণ করতে হবে আমরা নাগরিক নাকি নাগরিক নই- এর থেকে লজ্জ্বার আর কিছু হতে পারে?”
  • “আমার বাবা-মায়ের জন্মের ঠিকানা যদি দিতে হয় তাহলে আপনার বাবা-মায়ের জন্মের ঠিকানা আছে তো? যারা বলছেন। কিছুদিন আগে বলল আধাঁর কার্ড করতে হবে তা না হলে রেশন পাবে না। আধাঁর কার্ড করতে হবে তা না হলে টেলিফোনের লাইন পাবে না। আধাঁর কার্ড করতে হবে তা না হলে বাড়ির ঠিকানা পাবে না। আধাঁর কার্ড করতে হবে তা না হলে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হবে না। তা হলে আধাঁর কার্ড কি এখন অন্ধকারে চলে গেছে? আজকে কি বলছে- আধাঁর কার্ড সিটিজেনশিপ হিসেবে প্রযোজ্য হবে না। আধাঁর কার্ড করে সব নিয়ে নিল।”
  • মমতার কটাক্ষ- “এখন বলছে আধাঁর কার্ড তো ভ্যালিড নেহি হোগা। রেশন কার্ড ভ্যালিড নেহি হোগা, প্যান কার্ড ভ্যালিড নেহি হোগা। প্যান কার্ড নেহি চলেগা, আধাঁর কার্ড নেহি চলেগা, রেশন কার্ড নেহি চলেগা তো কেয়া বিজেপি কা তাবিজ চলেগা? বিজেপির ওয়াশিং মেশিন মাদুলি। যত চোর-ডাকাত ঢুকবে আর বিজেপি করলেই সব পরিষ্কার হয়ে বেরিয়ে আসবে। বিজেপি করলেই ভালো না করলে কালো। বিজেপি করলে পেলে আর না করলে গেলে, মানে জেলে। সারা ভারতবর্ষে বিজেপি মজায় আছে। আর মিচকি মিচকি হাসছে। আর বলছে আমরা হিন্দু-মুসলিমে নিয়ে যাবো।এটা হিন্দু-মুসলিমের আন্দোলন নয়- এটা সারা ভারতবর্ষের আন্দোলন, এটা সারা পৃথিবীর আন্দোলন, এটা গণতন্ত্রের আন্দোলন।”
  • “পোষাক দেখে যদি চেনা যায় তাহলে ঘণ্টা দেখেও চেনা যায়।আমি ঘণ্টা বাজাচ্ছি বুঝে নাও। ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং- কত মানে হয় বুঝে নাও। কেউ বলবে মাঙ্গলিক ঘণ্টা, কেউ বলবে মৃত্যু ঘণ্টা, কেউ বলবে বিদায়ের ঘণ্টা, কেউ বলবে বিসর্জনের ঘণ্টা, কেউ বলবে অপদার্থের ঘণ্টা। আমি তো ঘণ্টা বাজিয়ে দিলাম। কোনো দিন ঘণ্টা বাজাবো, কোনওদিন শাঁখ বাজাবো, কোনওদিন বাউলরা হাঁটবে, কোনওদিন রবীন্দ্র ভারতী হাঁটবে, কোনোদিন খ্রিস্টানরা হাঁটবে।”
  • মমতা বলেন- “বিজেপির খেলাকে বন্ধ করে দিন। এখন তো শুনছি ওরা কিছু টুপি কিনেছে। ওই টুপি গুলি পরিয়ে ওরা কাল বাজারে ছাড়বে। সবাই কিন্তু নজর রাখবেন। সব ভুঁয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে। ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হয়েছে। কোনও ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ না যায়।সেটা দেখতে হবে। ভোটার লিস্টে নাম তুলুন।”

Published on: ডিসে ১৯, ২০১৯ @ ২৩:২৬

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 6 =