
Published on: ফেব্রু ১৪, ২০২৫ at ১০:০৬
Reporter: Aniruddh Pal
এসপিটি নিউজ, কল্যানী ও বাঁশবেড়িয়া, ১৩ ফেব্রুয়ারি: কিছুদিন আগে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় এক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেখানে প্রাণহানিরও ঘটনা ঘটে। সেই প্রেক্ষিতে বঙ্গে কুম্ভমেলার দিকে সবার নজর ছিল, কেমন হবে এখানকার কুম্ভমেলা। প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা কেমন হবে। সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য তথা মমতা প্রশাসন অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা করেছে, যা মেলায় আসা তীর্থযাত্রী থেকে শুরু করে চাকলাধামের প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাসও অভিভূত। তিনি বলেছেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় এ ধরনের আয়োজনকে সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করে থাকেন। তার প্রমাণ আবারও পেলাম। ত্রিবেণীতে বঙ্গ কুম্ভমেলার এমন সুন্দর ব্যবস্থাপনা দেখে মমতা প্রশাসনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে মেলার চিফ প্যাট্রন কাঞ্চন ব্যানার্জি জানিয়েছেন অন্যান্যবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি সাহায্য পেয়েছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হল বঙ্গ কুম্ভ মেলা
গত ১১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল বঙ্গে কুম্ভ মেলা ২০২৫। ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হল এই কুম্ভ মেলা। শেষ দিন চাকলার প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাস কয়েকজন সাধু-সন্তকে নিয়ে বঙ্গে মহাতীর্থ কুম্ভ মেলা দর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন গঙ্গাসাগরের চন্দ্রশেখরানন্দ মহারাজ, বেলঘরিয়া লোকনাথ মন্দিরের সেবাইত বাসুদেব বাবাজি, শিমুরালি লোকনাথ মন্দিরের মধু বাবাজি। প্রথমে তারা দর্শন করেন কল্যাণীর মাঝেরচরের কুম্ভ মেলা। সেখানে মাঝের চড়ে কুম্ভ মেলায় উপস্থিত ছিলেন মহামণ্ডলেশ্বর শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্মাজী মহারাজ শ্রীপঞ্চায়েতি আঁখড়া, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহামণ্ডলেশ্বর। তার সঙ্গে দেখা করে তার আশীর্বাদ নেন।
আয়োজক সোমনাথ রায়চৌধুরী যা বললেন
মাঝেরচরের কুম্ভমেলার আয়োজক সোমনাথ চৌধুরী এদিন কুম্ভমেলার সফল আয়োজনের জন্য প্রশাসনকে অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে এদিন তিনি বলেন, চাকলা লোকনাথ মন্দির থেকে নবকুমার দাস নবকাকা আমার বিশেষ পরিচিত আমার পারিবারিক সম্পর্ক উনিও এসেছেন। এখানে সব জায়গা থেকে বহু মানুষ এই জায়গা দর্শন করতে এসেছেন। আর উনিও প্রত্যেক বছর চাকলা মন্দির থেকে বহু মানুষের সেবা করেন। তার সাথে সাথে সমস্ত ভক্তদের উদ্দেশ্যে বল্ব, যারা সেবাইত তাদের সঙ্গে যে কোনও মূল্যে থাকা উচিত। বাঙালিদের মধ্যে বিশেষ করে সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা ধর্মটাকে বলে বাকি সবটাকে আঁকড়ে ধরছি। আমাদের উচিত আবার সময় এসছে এবার আমাদের রাম্নাম করার সময় এসছে। যদি হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র সকলের ঘরে ছড়িয়ে দিতে পারি আমাদের মনে হয় পুন্য সিদ্ধি হবে।
কুম্ভমেলার আয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় ত্রিবেণী কুম্ভমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক
চাকলার প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাসকে ত্রিবেণী কুম্ভ মেলায় পেয়ে খুবই খুশি সেখানকার আয়োজক ও মেলার চিফ পেট্রন আমেরিকা প্রবাসী বাঙালি পেশায় কম্পিউতার ঈঞ্জিনিয়ার কাঞ্চন ব্যানার্জী। তিনি বলেন, বাবা লোকনাথের ছবি আমার সাথে সবসময় থাকে। চাকলাধামের কথা আমি শুনেছি। সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। নবকুমার দাস যেভাবে চাকলাধামের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি তারও প্রশংসা করেন। এরপর কাঞ্চনবাবু বলেন- স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া এখানে কোনও কাজ অসম্ভব। আমি বাইরে থাকি। কিন্তু এখানে আমাদের যে টিম আছে তারাও যদি না পুরসভার সহায়তা পায় তা সম্ভব নয়। গত বছর এবং এবছর কিছু বাধা এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নবান্ন থেকে নির্দেশ আসার পর তা মিটে যায়। তারপর জেলাশাসকের মাধ্যমে এখানকার মহকুমা শাসক দারুনভাবে সহায়তা করেছেন। এরপর পুরসভার আদিত্য নিয়োগী সভাপতি, সহ-সভাপতি শিল্পী চ্যাটার্জী তারা খুবই সাহায্য করেছেন। সরকার থেকে বায়ো-টয়লেট, জল, ফায়ার সার্ভিস, প্রশাসনের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। অন্য বারের চেয়ে অনেক বেশি সাহায্য পেয়েছি এবার। তার জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
কুম্ভমেলার আয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় চাকলার প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাস
মমতা প্রশাসনের প্রশংসায় চাকলা লোকনাথ মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাস। তিনি বলেন- আজ এখানে দেখলাম দারুন ব্যবস্থা। আমার খুব ভাল লেগেছে। রাজ্য সরকার বিশেষ করে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন যেভাবে সুষ্ঠূভাবে এই বিশাল কর্মাকন্ড সামলাচ্ছেন তা অভূতপূর্ব। এখানে বৌদি ও কাঞ্চদাকে যেভাবে দেখলাম, দ্বিতীয় দিন লক্ষ লক্ষ লোক এসেছে। আমরা ওপারে মাঝেরচরেও গিয়েছিলাম। এখন আমরা ত্রিবেণী এসেছি। আজ আমরা গর্বিত। আজ আমেরিকা থেকে এসে যেভাবে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর মিলন তা সারা পৃথিবীর মানুষ কিন্তু কুম্ভ স্নানে গিয়েছে। ওখানে সবাই যেতে পারেনি। তাই এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে এখানে। তাই আমি গর্ব বোধ করি ব্যক্তিগতভাবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দু’দিন আগে কথা হয়েছে। তিনি খুশি হয়েছেন। একজন প্রবাসী বাঙালি যেভাবে উনি সহযোগিতা করেছেন এবং আমরাও খুব খুশি হয়েছি। এখানে স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা স্ত্যি প্রশংসার যোগ্য। আমরাও দৃষ্টি আকর্ষণ করি মুখ্যমন্ত্রীর।– প্রত্যেক বছর যেন এভাবে সুষ্ঠূভাবে অনুষ্ঠানটা হয়।
শিমুরালি লোকনাথ আশ্রমের সেবাইত মধু বাবাজি
শিমুরালি লোকনাথ আশ্রমের সেবাইত মধু বাবাজি বলেন- “আমি একজন লোকনাথ ভক্ত। এখানের মাহাত্ম্য এটাই যে বাবা লোকনাথ সন্ন্যাস জীবন ধারণ করে কালীঘাটে এসছিলেন। কালীঘাট থেকে এক বছর পরই রওনা দিয়েছিলেন এই ত্রিবেণীতে। সেই জন্য আমি একজন লোকনাথ ভক্ত হিসাবে এই ত্রিবেণীটা আমার কাছে স্বর্গের সমান। কারণ আমার বাবা লোকনাথ এই ত্রিবেণীতেই অবস্থান করেছিলেন। তারপর উনি চক্রধরে গিয়ে দীর্ঘদিন উনি তপস্যা করেছিলেন। সেখান থেকে ওনার সিদ্ধিলাভ হয়েছিল। এই কারণে আমাদের কাছে এটা একতা মহা পুন্যতীর্থ। “
গঙ্গাসাগরের চন্দ্রশেখরানন্দ মহারাজ
গঙ্গাসাগরের চন্দ্রশেখরানন্দ মহারাজ বলেন- “গত বছরও আমি এই ত্রিবেণীতে এসেছিলাম। কিন্তু এবছর একটু নতুন অভিজ্ঞতা লাভ হচ্ছে। বাঙালির যে তান সেতা উপলব্বধি করলাম কাঞ্চন ব্যানবার্জী মহাশয়ের মাধ্যমে। উনি সুদূর আমেরিকা থেকে পরিষেবা দিতে এখানে এসেছেন হিন্দুত্বের যে টান সনাতন ধর্মের প্রতি যে টান আগামিদিনে আমাদের ভারতবর্ষ যে হিন্দুরাষ্ট্র হতে চলেছে তাতে উনি যে পরিষেবা দিচ্ছেন তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর কোনায় কোনায় হিন্দুরা আছেন । তারাও এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটা ভাল বার্তা পাবেন। হিন্দুদের মধে যে একতা তা বাংলাদেশেও চলে যাক, তাতে সেদেশের মানুষের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আমরা পয়সা উপার্জনের জন্য দেশ-বিদেশ ছুতে বেড়াই। কিন্তু বিদেশ থেকে আমাদের তানে তারা যে পরিষেবা দিতে এসছেন তাতে তাদের সাধুব আদ জানানোর আমার ভাষা নেই। আশা করি, উনি দীর্ঘায়ু হবে, ওনার সেবাপ্রতিষ্ঠান কর্মকান্ড আরও শ্রীবৃদ্ধি হবে।“
বেলঘরিয়া লোকনাথ মন্দিরে সেবাইত বাসুদেব বাবাজি
বেলঘরিয়া লোকনাথ মন্দিরে সেবাইত বাসুদেব বাবাজি বলেন- “আজ যে আমরা এই ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলায় এসেছি , দেখলাম প্রবাসী বাঙালিরাও এখানে ছুটে এসেছেন তা চোখে পড়ার মতো। অনেকে আছেন প্রচুর অর্থ আয় করছেন। কিন্তু তার মধ্যেও কাঞ্চন ব্যানার্জি আর তার পরিবার যেভাবে উৎসাহিত হয়ে সনাতন ধর্মের জন্য অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছেন , সনাতন ধর্ম তো লুপ্ত হতে যাচ্ছে যা এখন অন্য সংস্কৃতিতে পীঁছেছি। আজ তারা ওই কালচার থেকে এসে এখানে আমাদের কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে ধর্মকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তা দেখিয়ে দিচ্ছেন এই মা আর বাবা ( কাঞ্চবাবু ও তার স্ত্রীর-র দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে) ।“
ত্রিবেণী কুম্ভমেলার ইতিহাস
ত্রিবেণী কুম্ভমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাঞ্চন ব্যানার্জী বলেন- “আমরা ২০২২ সালে নতুন করে এই কুম্ভমেলা শুরু করি। এবার চতুর্থ বছর হয়েছে। মানুষের সারা পাচ্ছি। বহু মানুষ প্রয়াগ্রাজ গিয়েছেন। আবার প্রয়াগ্রাজ থেকে ফিরে এসে এখানকার প্রয়াগে এসছেন। এই প্রয়াগের নাম হল দক্ষিণ প্রয়াগ। বিভিন্ন সাহিত্যে পাওয়া যায়। ত্রিবেণি সংগম তার নাম হচ্ছে দক্ষিণ প্রয়াগ। তার মানে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ্রাজরাজ আমাদের এই প্রয়াগ মোটামুটি একই। গুরুত্ব ছিল একতা সময়। সেই কোনও একটা ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে গিয়েছে। সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে আমরা ফিরিয়ে এনেছি। এটা আমাদের গর্ব। খুবই সৌভাগ্য।
কুম্ভমেলা হল ত্রিবেণী নদীর সঙ্গম- গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গম। ত্রিবেণীর এই কুম্ভমেলার সঙ্গে তার যোগসূত্র সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে কাঞ্চনবাবু বলেন- এমি ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে গবেষণা শুরু করেছিলাম কয়েক বছর আগে। সেই সময় বাংলার ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে ২০২১ সালে বুঝে গিয়েছিলাম যে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হত বহু বছর ধরে। এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালে আমি এখানে আসি। সপ্তঋষি ঘাতে একতা সঙ্কল্প নি যে এই কুম্ভমেলা আবার নতুন করে শুরু করব। ২০২২ সালে খুবই একটা ছৈট দল নিয়ে আমরা ছোট করে কুম্ভ অনুষ্ঠান করি। কোভিডের সময়ও ৫৫-৬০ হাজার মানুষ স্নান করেছিলেন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে এই কুম্ভের প্রসার হচ্ছে।
মাঝের চড়ে কুম্ভ মেলার ইতিহাস তুলে ধরলেন মহামণ্ডলেশ্বর শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্মাজী মহারাজ
মাঝের চড়ে কুম্ভ মেলায় উপস্থিত মহামণ্ডলেশ্বর শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্মাজী মহারাজ শ্রীপঞ্চায়েতি আঁখড়া, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহামণ্ডলেশ্বর জানালেন এই কুম্ভমেলার ইতিহাস, “এখন থেকে ৭০০ বছর আগে বাংলার এই ত্রিবেণী সঙ্গমে কুম্ভ অনুষ্ঠিত হত। কুম্ভ মানে কুম্ভ মেলা নয়। কুম্ভ সংক্রান্তির স্নান। বোধ হয় কোথাও কোথাও আমরা এই কুম্ভ সংক্রান্তির শব্দটাকে খানিক ট্যুইস্ট করে সত্যের কিছু অপলাপ করছি। এতা মাথায় রাখতে হবে। যে কুম্ভ মেলা হরিদ্বারে, প্রয়াগে, নাসিকে, ইজ্জ্বয়িনীতে হয় সেই কুম্ভ মেলা এই কুম্ভ মেলা নয়। এখানে প্রতি বছর কুম্ভ স্নান হবে। সেতা হচ্ছে সংক্রান্তি বিহিত স্নান। আর মাঘ মাসের শেষ দিনটিকে বলা হয় মাঘী সংক্রান্তি বা কুম্ভ সংক্রান্তি। সেই কুম্ভ সংক্রান্তি উপলক্ষে স্নান সেতাই হচ্ছে কুম্ভ স্নান। সেটাকে হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জ্বিনীর সঙ্গে জড়িয়ে একতা আধ্যাত্মিক কেলোর কান্ড ঘটানোর কোনও মানে হয় না।
মাঝেরচর কুম্ভ মেলার বিশেষত্ব
এই কুম্ভ মেলার বিশেষত্ব হল- প্রতি বছর এই কুম্ভ সংক্রান্তি স্নান হবে। কেননা সূর্যের যে রাশি গণনা সেই গণনা অনুযায়ী প্রতি বছরই মাঘের সংক্রান্তিতে সূর্যের রাশি পরিবর্তন হয়। মকর ছেড়ে সূর্য প্রবেশ করে কুম্ভ রাশিতে। এই জন্য এদিনের যে স্নান সেটাকে বলা হয় কুম্ভ সংক্রান্তির স্নান। আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই দিনে শচী মা নিমাইকে এই ঘাটে স্নান করেছিলেন। মাঝেরচরে। কল্যাণীর এই স্থানে। স্বভাবতই গৌরাঙ্গ প্রিয় বাঙালি গৌরাঙ্গের গুনগানে বিভোর বাঙালি বাঙালির হৃদয়ের যে ধন গৌরাঙ্গ তার স্মৃতির সংগে জড়িয়ে যাওয়ার জন্য এই মেলার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। বাঙালির হৃদয়ে। আপমর ভক্তদের কাছে। সেই ভক্ত শুধু বৈষ্ণব ভক্ত নয়, ভক্ত আন্দোলনের সঙ্গে মানুষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে যে ধররাচরণ তার সঙ্গে।
Published on: ফেব্রু ১৪, ২০২৫ at ১০:০৬