
Published on: জানু ২৫, ২০২৫ at ০০:১২
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, রিষড়া, ২৪ জানুয়ারি: ত্রিকালদর্শী বাবা লোকনাথের মহানাম প্রচার করতে রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন চাকলাধামের প্রধান উপদেষ্টা বাবার মহানাম প্রচারক নবকুমার দাস। ইতিমধ্যে দীঘায় সমুদ্র সৈকতের কাছে জগন্নাথ মন্দিরের পাশে বাবা লোকনাথের মন্দির গড়ার জন্য জমি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেইল করেছেন তিনি। পাশাপাশি দুবাইতে প্রবাসী ভারতীয়দের একাংশ সেখানে লোকনাথ মন্দির গড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা চাকলাধামের প্রধান উপদেষ্টাকে সেখানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। সেই কথাই ২৩ জানুয়ারি হুগলি জেলার রিষড়ায় বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মিলন মেলার সূচনাকালে জানিয়েছেন চাকলাধামের প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাস।
বাবা লোকনাথ বলেছিলেন – “পৃথিবীতে আমি তিনজন ব্রাহ্মণকে দেখেছি। একজন কাশির তৈলঙ্গস্বামী, দ্বিতীয়জন মক্কার আন্দুল গফুর আর তৃতীয়জন হলেন বারদীর বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী।“ এখন ভারতের কাশি আর বাংলাদেশের বারদীতে বাবা লোকনাথের মন্দির আছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মক্কায় না হলেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কোথাও বিশেষ করে দুবাইতে যেখানে বহু প্রবাসী ভারতীয়দের বাস সেখানে আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি বাবা লোকনাথের মন্দির। এবার কি সেই দেশের দুবাই কিংবা আবুধাবিতে বাবা লোকনাথের মন্দির গড়ে উঠবে। এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল চাকলাধামের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাবা লোকনাথের মহানাম প্রচারক নবকুমার দাসের কাছে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি জানালেন- “দুবাইতে আমি খুব শীঘ্রই যাব। দুবাইতে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সবাই আছে। এদের সকলে যৌথভাবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে- নবদা আপনি একবার আসেন দুবাই। এখানে কিছু একটা করা যায় কিনা। আর বাংলাদেশি তো দুবাইতে ভর্তি। আপনাদের হয়তো জানা নেই, বাংলাদেশে সাতশো’রও বেশি লোকনাথ মন্দির আছে। তবে আমাদের দেশে ভারতে তো লোকনাথ মন্দির বেড়েই চলেছে। য়ার যেখানে লোকনাথ মন্দির করতে চায় সেখানে আমাদের চাকলাধামের সামর্থ্য অনুযায়ী করি। চাকলা মন্দিরের পক্ষ থেকে যখন যা দরকার তা দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেকে দূর দূরান্ত থেকে চাকলা লোকনাথ মন্দিরে আস্তে পারে না। তাই প্রত্যেকের এলাকার কাছাকাছি মন্দির হলে সবাই আসতে পারে। এজন্য আমরা চাইছি স্রা পশ্চিমবঙ্গে বাবার মন্দির ছড়িয়ে যাক।“
উপস্থিত বাসুদেব বাবা মক্কার প্রসঙ্গ টেনে বলেন- “মক্কায় বাবা লোকনাথ যখন গিয়েছিলেন তখন আব্দুল গফুরের সংগে দেখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কথা বলছিলেন না। বালির মধ্যে বসেছিলেন। কিছু সময় বাদে বাবার নয়নপানে তাকিয়ে দেখলেন সত্যি এখানে আজ একজন মহাত্মা এসছেন। বাবাকে আব্দুল গফুর প্রশ্ন করেছিলেন – আপনি ক’দিনের? বাবা বলেছিলেন আমি দু’দিনের। বাবা আবার পালটা আব্দুল গফুরের কাছে জানতে চাইলেন আপনি ক’দিনের। জবাবে তিনি বলেছিলেন চারদিনের। অর্থাৎ চার জন্মের। গফুর বাবার চেয়ে দুই জন্মের বড়। বাবার মনে কৌতূজ=হল জন্মাল যে ইসলাম ধর্মে কি আছে। তখন তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে সাধনা করতে লাগলেন। দেখলেন কিছুই নয় সবই এক। ওরা বলে আল্লা হু আকবর। আর আমরা দি ওংকার ধ্বনি। “
তাই দুবাইতে এবার লোকনাথ মন্দির গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবকুমার দাস। যিনি সারা বিশ্ব জুড়ে বাবা লোকনাথের মহানাম প্রচার করে চলেছেন। যদিও প্রথম লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় আন্তর্জাতিক মানের সব চেয়ে বড় লোকনাথ মন্দির গড়ে তোলা। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটা আবেদন করেছি যে দীঘায় আমাদের জমি দিন। আপনার সহযোগিতা ছাড়া আমরা ওই মন্দির করতে পারব না। মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই, মানে দিদি জমি দিল আর আমরা মন্দির করে ফেললাম সেই সামর্থ্য আমাদের নেই। এই মন্দির গড়তে আপনার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে সাধুদের সাথে মিটিং করেছি। আমরা বলেছি যে দিদি যখন মন্দিরের জন্য জমি দেবে আমরা তখন সেখানে সাধুদের জন্য গেস্ট হাউস করব। সারা পৃথিবীর ভক্তরা যাতে সেখানে এসে থাকতে পারে যেমন পুরীর অনুভব যেমন দীঘাতে পড়বে তেমনই দীঘায় লোকনাথ মন্দির দেখতে সারা বিশ্বের ভক্তরা ছুটে আসবেন। দিদি মুখ্যমন্ত্রী থাকতেই আমরা দীঘায় লোকনাথ মন্দির করতে চাই। আর সেই মন্দিরের ভিত পুজো এবং মন্দির উদ্বোধন দুটোই দিদি করবেন, এমনটা আমরা সকলে চাই। আমাদের বিশ্বাস দিদি আমাদের এই আবেদন অবশ্যই রাখবেন।“
এদিনের অনুষ্ঠানে রিষড়া লোকনাথ সেবাশ্রম সঙ্ঘের পক্ষ থেকে গাছের চ্রা বিতরণ করা হয়। দেওয়া হয় শাড়ি।
Published on: জানু ২৫, ২০২৫ at ০০:১২