ভারতের সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিসিএ) এর একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, “এই ক্ষেত্রগুলি এড়ানো সহ সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন ও সাবধানতা অবলম্বনের জন্য সংবেদনশীল করতে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।”
Published on: জানু ৮, ২০২০ @ ২০:৫৬
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়া এবং এআই এক্সপ্রেসের বিমানগুলি এই অঞ্চলে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের আকাশসীমা পেরিয়ে যাবে না। ভারত এবং পশ্চিমের মধ্যে এআই এর পুনঃনির্বাচিত বিমানগুলি এজন্য তাদের উড়ানের সময় 40 মিনিট বেশি লাগবে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র অনুসরণের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় ফেডারেশন এভিয়েশন প্রশাসন (এফএএ) তার ক্যারিয়ারকে এই কাজ করতে নিষেধাজ্ঞার পর বুধবার সকালে ভারত তার বিমান সংস্থাকে ইরান, ইরাক এবং পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের জলের উপচে পড়া এড়াতে “পরামর্শ” দিয়েছিল। ইরাকে আমেরিকান সেনাদের আবাসন ঘাঁটিতে হামলা হয়।
যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা
এআইয়ের মুখপাত্র ধনঞ্জয় কুমার বলেছিলেন: “আমাদের যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা প্রথমে চলে আসে। ইরানের আকাশসীমাতে থাকা উত্তেজনার আলোকে এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই) এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের (এআইএক্স) অপ্রকাশিত ইরানের বিমান সাময়িকভাবে পুনরায় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দিল্লি থেকে বিমানের জন্য উড়ানের সময় প্রায় 20 মিনিট এবং মুম্বাই থেকে ফ্লাইটের জন্য 30 থেকে 40 মিনিট বাড়তে পারে। গোটা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”
এআই এর ভারত ও পশ্চিমের মধ্যে সর্বাধিক উড়ান রয়েছে – সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত
ইন্ডিগোর একজন মুখপাত্র বলেছেন: “ইন্ডিগো ইরানি ও ইরাকি আকাশসীমার উপর দিয়ে কোনও ফ্লাইট পরিচালনা করে না, তাই আমরা মধ্য প্রাচ্য বা তুরস্কে আমাদের বিমানগুলি প্রভাবিত হওয়ার আশা করি না। উপসাগরীয় রুট ওমান, সৌদি আরব এবং পারস্য উপসাগর দিয়ে পরিচালিত হবে, তুরস্কের রুটগুলি ক্যাস্পিয়ান সমুদ্রের উপর দিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় রুটগুলির উপর দিয়ে উড়ে যায় এবং সেখান থেকে সরাসরি ইস্তাম্বুল যায়। বর্তমানে, আমাদের ফ্লাইটগুলি সাধারণ সময়সূচী অনুযায়ী চলমান রয়েছে। আমরা পরিস্থিতিটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং কোনও অস্থিরতার ক্ষেত্রে সামান্য কিছুটা আমাদের ক্রিয়াকলাপগুলির সময় পরিবর্তন হতে পারে, যা আমাদের যাত্রীদের সক্রিয়ভাবে জানানো হবে।
আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাও ইরানের আকাশসীমা এড়ানো শুরু করেছে
ভারতের সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিসিএ) এর একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, “এই ক্ষেত্রগুলি এড়ানো সহ সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন ও সাবধানতা অবলম্বনের জন্য সংবেদনশীল করতে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।” তবে এই আধিকারিক যোগ করেছেন “এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করা হয়নি।”
এর অর্থ এই অঞ্চলগুলিকে অতিরঞ্জিত ফ্লাইটগুলির জন্য দীর্ঘ ভ্রমণের সময় হবে। এফএএর পক্ষ থেকে ইরান, ইরাক এবং পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের জলকে এড়ানোর জন্য বিমানবাহিনীকে নোটিশ জারি করেছিল।
Published on: জানু ৮, ২০২০ @ ২০:৫৬
