সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: ডিসে ৪, ২০১৮ @ ২০:৪৫
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৪ ডিসেম্বরঃ হাতির হামলা এখন পশ্চিম মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রাম জেলায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় মানুষ। বন দফতর যে হাতি তাড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ আজকের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে এক্রাশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একি সঙ্গে তিনি বন কর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে নির্দেশ দেন-আর যেন হাতির হামলা না হয়। ওরা যে পথ দিয়ে আসছে সেই রাস্তায় নজরদারি করে হাতির পালকে ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ লাইনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতির হামলা নিয়ে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি। তিনি এদিন বন আধিকারিকদের বলেন-হাতির হামলায় ঝাড়গ্রামে ১৫জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন হাতির হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করা যায় নি?” প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন-” হাতির হামলা থেকে একদিকে যেমন মানুষের প্রাণহানি রুখতে হবে তেমনি ফসলের ক্ষতি যাতে না হয়ে সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন-“কত কষ্ট করে মানুষ ধান চাষ করে। সেই পাকা ধান যখন হাত মাঠেই নষ্ট করে দেয় তখন কার কষ্ট হবে না।” এরপর তিনি রীতিমতো ধমকের সুরে বন কর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন-হাতির হামলা যাতে আর না হয়, মাঠে গিয়ে হাতির পাল যাতে ফসলের ক্ষতি না করতে পারে সে ব্যাপারে আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। হাতিগুলি যে রাস্তা দিয়ে জেলায় ঢোকে সেই রাস্তাগুলির উপরও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীকে বন কর্তারা জানান- জঙ্গলে যারা রাত পাহারা দেয় তাদের প্রতিদিন ২৩৫টাকা মজুরি দেওয়া হয়। মাসে তারা ২০দিন কাজ পায়। একথা শোনামাত্রই মুখ্যমন্ত্রী তাদের বলেন-ওটা ২০ দিনের বদলে ২৭ দিন করে দিন। একই সঙ্গে তিনি বন আধিকারিকদের নির্দেশ দেন বন পাহারার কাজে আপনারা স্থানীয় ছেলেদের কাজে লাগান। জঙ্গল সম্পর্কে যারা ভাল বোঝে ভাল জানে তাদের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বন আধিকারিকদের জানিয়ে দেন যে এদের কাজের পাশাপাশি প্রশিক্ষন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।
Published on: ডিসে ৪, ২০১৮ @ ২০:৪৫