Published on: জুন ২৫, ২০১৮ @ ১৮:২৬
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৪জুনঃ ঘটনাটি ঘটেছিল পানিহাটিতেই। তাই এই মহোৎসবের সঙ্গে পানিহাটির নাম জড়িয়ে গেছে। নিত্যানন্দ প্রভু তৎকালীন জমিদার গোবর্ধন দাসের একমাত্র পুত্র রঘুনাথ দাস গোস্বামীকে শাস্তি দিয়েছিলেন। কেন দিয়েছিলেন তিনি শাস্তি? কি ছিল তাঁর অপরাধ?
মায়াপুর ইসকন-এর জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অপরাধটি ছিল- শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর আশীর্বাদ না নিয়ে জমিদার পুত্র রঘুনাথ দাস শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপাশীষ লাভ করার প্রয়াস করেছিলেন।নিত্যানন্দ প্রভু এটা জানতে পেরে পানিহাটিতে অবস্থানকালে রঘুনাথকে শাস্তি দেন। তাঁর শাস্তি ছিল-জমিদার পুত্র রঘুনাথকে নিত্যানন্দ-গৌরাঙ্গের সমস্ত ভক্তদের চিড়া-দধি খাওয়াতে হবে। যদিও তৎকালীন হুগলি জেলার শ্রীকৃষ্ণপুরের জমিদার গোবর্ধন মজুমদারের একমাত্র পুত্র রঘুনাথ দাস এই দন্ড মাথা পেতে নিয়েছিলেন।শোনা যায় সেই জমিদারের মাসিক আয় ছিল বিশ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা। তাঁর ছেলে রঘুনাথ দাস সেসময় হাজার হাজার ভক্তদের নিজের হাতে চিড়া-দধি প্রসাদ বিতরণ করেছিলেন।
মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক আরও জানান-শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাসীবেশে পুরীধানে অবস্থান করলেও নিত্যানন্দ প্রভুর আহ্বানে এই অপ্রাকৃত মহোৎসবে তাঁর দিব্য স্বরূপে পানিহাটিতে যোগদান করেছিলেন। নিত্যানন্দ প্রভুর হাত থেকে তিনি ভোগও গ্রহণ করেছিলেন। কয়েকজন পার্ষদ ছাড়া উপস্থিত অন্য কেউ সেদিন মহাপ্রভুর এই দিব্যলীলা দর্শন করতে পারেননি।
গত ২২ জুন থেকে এই মহোৎসব শুরু হয়ে গেছে পানিহাটির শ্রীগৌরনিতাই মন্দিরে।আগামিকাল ইসকনের সমস্ত মন্দিরে এই মহোৎসব পালিত হবে বলে তিনি জানান।আমেরিকার আটলান্টা শাখাকেন্দ্রেও এই মহোৎসব পালিত হয়ে থাকে।
মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের দাবদাহে পতিতপাবনী, জগৎকল্যানকারিনী গঙ্গানদীর তীরে মায়াপুর প্রভুপাদ ঘাটে স্নিগ্ধ সুশীতল ও মনোরম পরিবেশে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসব স্তিমিত করে দেয় হিংসা-দ্বেষ এর বাতাবরণকে, সকলকে আবদ্ধ করে দেয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেম-রজ্জুতে।দেশ-বিদেশের হাজার-হাজার ভক্তের আগমনে বহুমানবের মিলনক্ষেত্র মিলনমেলায় পরিণত হয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান তীর্থক্ষেত্র শ্রীধাম মায়াপুর।
Published on: জুন ২৫, ২০১৮ @ ১৮:২৬
