২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপঃ ইংল্যান্ডের এই সাহসী অধিনায়ক আজও অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুন ৮, ২০১৮ @ ২২:৫৩

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ আর মাত্র ছয়দিন। তারপর শুরু হতে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ। মস্কোর লাঝনিকি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে আয়োজক দেশ রাশিয়া মুখোমুখি হতে চলেছে সৌদি আরবের। সেই মহারন শুরুর আগে স্মৃতির পাতা থেকে অবিস্মরনীয় সেই মহান খেলোয়াড়ের কথা তুলে ধরেছে ফিফা।

“পবিত্র ফুটবলার। মহান ডিফেন্ডার। ১৯৬৬সালের অমর নায়ক। প্রথম ইংলিশম্যান হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ে দলের নেতৃত্বে ছিলেন। লন্ডনের ইস্ট এন্ডের প্রিয় সন্তান। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সেরা কিংবদন্তী। মাস্টার অব ওয়েম্বলি। খেলার ঈশ্বর। অসাধারণ ক্যাপ্টেন। সর্বকালের সভ্য মানুষ।”

এমন সব উপমায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হবে নাই বা কেন, তিনি যে এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় ফুটবলার ছিলেন।বিশ্ব ফুটবল জগতে তাঁর নাম সব সময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। ইংল্যান্ডের সেই মহান ফুটবলার হলেন ববি মুর।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে ববি মুরের দাঁড়িয়ে থাকা ব্রোঞ্জের মূর্তিটি প্রতিটি দর্শক দেখে থাকেন। আর তাঁরা পেলে ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ারের শিলালিপিটি পড়েন যেখানে ববি মুরকে একজন প্রকৃত ভদ্রলোক, বন্ধু এবং সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।

মুর মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে প্রথম ক্যাপ্টেন হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে চেকোস্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে  ৪-২ গোলে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। এরপর ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। যার মধ্যে ১৯৬৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে ইংল্যান্ড দল এক নয়া ইতিহাস গড়ে বিশ্ব ফুটবলের ধ্বজা উড়িয়েছিল। সেবছর প্রথম ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয় করে। একই বছর তিনি ‘বিবিসি স্পোর্টস পার্সোনালিটি অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার লাভের জন্য প্রথম ফুটবল খেলোয়াড় বিবেচিত হন এবং গ্রহণ করেন ‘অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পেরর (ওবিই) ।

বিশ্বে সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে নিঃসন্দেহে ববি মুরের নাম চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হয়ে আজও অবস্মরণীয় হয়ে আছেন দেশবাসীর মনে। তাঁর ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এক বিরল সম্মান প্রদান করেছেন মহান এই ইংলিশ ফুটবলারকে। যা সচরাচর অনেকেই পান না। তিনি ওই ক্লাবে যে ৬ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন সেই ৬ নম্বর জার্সিকে মহান এই ফুটবলারের সম্মানসূচক চিহ্ন হিসেবে তুলে রেখেছেন। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে ক্লাব কতৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর ১৫ বছর পর মুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই মহান সিদ্ধান্ত নেন।

ফুটবল বিশ্ব আজও তাই সম্মানের সঙ্গে উচ্চারন করে মহান ও পবিত্র এই ফুটলারের নাম।

Published on: জুন ৮, ২০১৮ @ ২২:৫৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 1 = 9