দেখুন পুঞ্চের এই বয়স্ক মানুষটিকে, পাকিস্তান কি দিতে পারবে তাঁর প্রশ্নের জবাব

দেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-অনিরুদ্ধ পাল

প্রধান সম্পাদক, সংবাদ প্রভাকর টাইমস

Published on: মার্চ ৪, ২০১৯ @ ১৮:৫৮

এসপিটি স্পেশাল নিউজঃ “বহুদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে আছে। পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তান সমানে গুলি ছুঁড়ে চলেছে। আমরা কি করব? আমারা খুব বেশি শিক্ষিত নই। তাই বলে কি সামান্য শিক্ষাটুকুও আমাদের শিশুদের দিতে পারব না?”

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার আজোতের বাসিন্দা বৃদ্ধ মহম্মদ রফিক। আছে কারও কাছে এই প্রশ্নের জবাব। পারবে কেউ দিতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদে সংসদে বসে শান্তির আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিচ্ছে। আবার আর এক দিকে তার সেনারা নিয়মের শ্রাদ্ধ করে সমানে গুলি নয় একেবারে মর্টার ছুঁড়ে চলেছে। কাদের দিকে যারা জঙ্গিদের বিনাশের কথা বলে চলছে। যারা জঙ্গিদের খতম করার প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে আছে। যারা স্বাধীন দেশে স্বধীনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে চলেছে। তাঁদের নিশানা বানিয়ে সমানে ছুঁড়ে যাচ্ছে গুলি।

আজ তাদের কারণে শুধুমাত্র তাদের বেপরোয়া মনোভাবের জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় স্কুল সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। পুঞ্চের জেলাশাসক রাহুল যাদব এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই জানিয়েছেন, “পুঞ্চ ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অবস্থান করায় সেখানে যেভাবে গুলি-গালা চলছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা রাখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এতে আরও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুখে শান্তি প্রস্তাবের নাটক দেখিয়ে হাতে করে মর্টার ছুঁড়ছে পাকিস্তান। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামার ঘটনার পরই বলেছিলেন-এটা নাকি নতুন পাকিস্থান। সত্যি তাই। তিনি যথার্থই বলেছেন। এটি সেই নতুন পাকিস্তান যারা মিথ্যা কথা বলার এজেন্সি নিয়ে রেখেছে। এটি সেই পাকিস্তান যারা ঘরের ভিতর জঙ্গিদের অতিথি জ্ঞানে সেবা শুধু নয় তাদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে। এটি সেই পাকিস্তান যারা পুলওয়ামার ঘটনার প্রমাণ চেয়ে হামলার দায় স্বীকার করে নেওয়া জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধানকে একেবারে সরাকারি যত্নে রেখে দিয়েছে।

জৈশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই দুদিন আগে রেডিও বার্তায় বলেছিলেন ভারত নাকি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে স্কুল ধ্বংস করেছে। সেই স্কুল যেখানে নাকি জেহাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হত। আর কাশ্মীরিদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ তুলতে এখানে সেইসব ছেলেদের নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। ইমরান খান ঠিকই বলেছেন এটা তার নতুন পাকিস্তান। এটা তার সেই নতুন পাকিস্তান যেখানে ইমরান খানের সরকারি কোষাগার সরকারি লোকজন সেদেশের সেনা থেকে আইএসআই সকলে মিলে জৈশের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সব রকমের মদত করে চলেছে। সেটা এত নিপুনভাবে করে চলেছে যে মুখে শান্তির ড্রামাবাজি করে জঙ্গিদের পরোক্ষে সমর্থন করা হচ্ছে। তাদের জেহাদি কার্যকলাপে সাহায্য করা হচ্ছে।

এর প্রমাণ কিন্তু ভারত দিয়ে রেখেছে ইতিমধ্যে। পাকিস্তান যে ভাবে F-16 যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে হামলা চালাতে এসেছিল আর তাতে শক্তশালী মিশাইল ছিল সেটা আমাদের বীর যোদ্ধা পাইলট উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন ভর্তমানের দক্ষতার জন্য ভেস্তেই শুধু যায়নি সেটিকে সে ধংস নকরে দিতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও পকিস্তান প্রথমে মি্থ্যা কথা বলে। তারা জানায়- F-16 যুদ্ধবিমান নিয়ে তারা ভারতে হামলা করেনি। ভারত সেটা প্রমাণ সহ দেখিয়ে দেয় যে, না পাকিস্তান গোটাটাই মিথ্যে বলেছে।আর তখন থেকেই নতুন নাটক শুরু করে তারা। কখনো জৈশ প্রধান মাসুদকে অসুস্থ বলে আড়াল করা চেষ্টা করে আবার কখনও তার মৃত্যু হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দেওয়ার চেষতা করে। আর এক দিকে সীমান্তে সাধারণ মানুষের উপর লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। যার জেরে এখন সেখানে সব স্কুলই প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছে।

মহম্মদ রফিক আর পাঁচজন ভারতীয় মতোই এক ভারতীয়। তিনি হতে পারেন কাশ্মীরি। কিন্তু তাঁর ও তো ইচ্ছা করে ঘরের শিশুদের একটু লেখাপড়া শেখাতে। আর কতদিন তারা এভাবে পাকিস্তানের পাইতারির শিকার হতে থাকবে? বলতে পারে পাকিস্তান? সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান -আপনার কাছে আছে এর কোনও জবাব। আপনারা তো মুসলমানদের কথা বলেন। তা মহম্মদ রফিকের মতো অনেক মুসলমানই তো চায় জঙ্গিবাদ নিপাত যাক। শান্তি ফিরুক। ছেলেমেয়েরা আবার স্কুলে যাক। আপনি কি বলতে পারেন সেটা কবে থেকে হবে? কারণ গত বছর আপনার সেনা যুদ্ধবিরতি নিয়ম ভাঙার রেকর্ড গড়ে সর্বোচ্চ ৩০০০ বারা গুলি চালিয়েছে। আপনারা সেনারা এরকম করতে থাকলে আপনার শান্তি আলোচনার বিষয়টা যে নাটক ছাড়া আর কিছুই দাঁড়াবে না।

মহম্মদ রফিকরা যে আপনার কাছে প্রশ্নের জবাব চাইছে। আছে কোনও উত্তর- খান সাহেব?

Published on: মার্চ ৪, ২০১৯ @ ১৮:৫৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 4 = 3