হোটেল নভ্যা হাইটস: ধর্মশালার এই বিখ্যাত হোটেলের সঙ্গে টাই-আপ হতে চলেছে টাফি’র, কলকাতা থেকেই প্রক্রিয়া শুরু

এসপিটি এক্সক্লুসিভ কোভিড-১৯ দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ৯, ২০২১ @ ২০:৪৪
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর:  করোনা মহামারীর পর সারা দেশজুড়ে ভ্রমণ ও পর্যটন ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস শুরু হয়েছে।এবার সেই প্রক্রিয়ায় সাক্ষী থাকার সুযোগ হল কলকাতার। আজ কলকাতায় হিমাচল প্রদেশের শৈল শহর ধর্মশালার বিখ্যাত হোটেল নভ্যা হাইটস-এর মালিক ড. নভপ্রীত সিং গুলাটির সঙ্গে ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবির কথা হয়েছে। সেখানে টাফি’র সঙ্গে ধর্মশালার এই হোটেলের টাই-আপ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে দু’জনেই সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে জানিয়েছেন।

হোটেল নভ্যা হাইটসের কর্ণধার ড. নভপ্রীত সিং যা বললেন

হোটেল নভ্যা হাইটসের কর্ণধার ড. নভপ্রীত সিং গুলাটি আজ সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে টাফি’র সঙ্গে তাদের টাই-আপের বিষয়টি জানাতে গিয়ে বলেন- কলকাতায় আজ টাফি’র অনিল পাঞ্জাবির সঙ্গে কথা হয়েছে। টাফি’র সঙ্গে বৈঠক খুবই ভাল হয়েছে। আমি এই সমিতিতে যোগদান করে খুবই আনন্দিত। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে সমস্ত ডকুমেন্ট হাতে চলে আসবে। তখন এটি চূড়ান্ত রূপ নেবে। আশা করছি, এর ফলে আমাদের হোটেল ব্যবসা একটা ভাল চেহারা নেবে। আমাদের লক্ষ্য- আগামিদিনে আমরা এই একই ব্র্যান্ড অর্থাৎ হোটেল নভ্যা হাইটস-এর নামে আরও হোটেল খুলতে চাই। এই ব্র্যান্ডকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। দেশের নানা প্রান্তের মানুষের কাছে আমাদের এই হোটেলের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই।

কলকাতার প্রসঙ্গ উঠতেই নভপ্রীত সিং গুলাটি বলেন- দেখুন, কলকাতা থেকে অনেকেই হিমাচল প্রদেশ বেড়াতে যান। কেউ কেউ ধর্মশালাতেও আসেন। আমরা চাই, এখন থেকে তারা আরও বেশি করে ধর্মশালার এই বিখ্যাত হোটেলের আতিথেয়তা গ্রহণ করুন। আমাদের এই হোটেল বিলাসবহুল, ম্যাকলয়েডগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। থ্রি স্টার সুবিধা আছে। খুব সুন্দর ছাদের বারান্দা, লাউঞ্জ সহ পর্যটকরা প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

হোটেল নভ্যা হাইটস

হোটেল নভ্যা হাইটসের মোহনীয় বিশ্বে আপনাকে স্বাগত জানাতে তৈরি,  যেখানে আপনি প্রকৃতির কোলে প্রকৃত বিলাসিতা উপভোগ করতে পারেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৯৬০ ফুট উপরে অবস্থিত এবং কৌশলগতভাবে পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত, হোটেলটি বরফে আবৃত পাহাড়ের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখায়। হোটেলের ১৫টি কক্ষ তুষার-ঢাকা পাহাড়ের দর্শনীয় দৃশ্য সহ ডিজাইনে মার্জিত এবং সমসাময়িক। সমস্ত কক্ষে সর্বোত্তম আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ, রিসর্টটি সম্পূর্ণ আনন্দদায়ক থাকার ব্যবস্থা করে। ব্যক্তিগত, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মনোযোগী পরিষেবাগুলি নিশ্চিত করে যে আপনি সুন্দর পরিবেশে আপনি যা চেয়েছিলেন তা অর্জন করেছেন। হোটেলটি একটি বিলাসবহুল স্পট যা ধর্মশালার ভাগসুনাগ-এর সৌন্দর্যে ভ্রমণ ও দৃষ্টিনন্দন করার সময় নিখুঁত থাকার জন্য তৈরি করেছে। তাই আর দেরী না করে, ধর্মশালার ভাগসুনাগের সেরা হোটেলের মায়াবী পরিবেশে নিজেকে নিমজ্জিত করার পরিকল্পনা সেরে ফেলুন।

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি যা বললেন

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি এই প্রসঙ্গে বলেন- ধর্মশালা থেকে এক সর্দারজি ডক্টর আছেন যিনি হোতেল ব্যবসা শুরু করেছেন। আজ তিনি এসেছিলেন, কথা হয়েছে। প্রমোট করতে চাইছেন, তাফি’র সঙ্গে টাই-আপ করে এই হোটেল ব্যবসাকে প্রমোট করার। কলকাতা থেকে বহু বাঙালি পর্যটক তো সেখানে বেড়াতে যায়, সেই দিক মাথায় রেখে এই টাই-আপকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া আজ শুরু হয়েছে। আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে সমস্ত কাগজপত্র চলে এলেই এই টাই-আপ চূড়ান্ত রূপ নেবে। কলকাতা থেকে বেড়াতে যাওয়া মানুষদের ধর্মশালায় থাকার এক সুন্দর গন্তব্যস্থল হয়ে উঠবে হোটেল নভ্যা হাইটস।

কি কি সুবিধা আছে এই হোটেলে

ধর্মশালার এই হোটেল থ্রি-স্টার সুবিধা প্রাপ্ত। এখানে একাধিক সুবিধা পাবেন। ড. নবপ্রীত সিং গুলাটি এসপিটি-কে বলেন-“আমাদের হোটেল থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দেখতে পাবেন। দেখতে পাবেন প্যারাগ্লাইডিং-এর দৃশ্য। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা ঠান্ডা-গরম জল, ২৪ ঘণ্টা ওয়াই-ফাই সুবিধা, ২৪ ঘণ্টা কার-পার্কিং-এর সুবিধা, ২৪ ঘণ্টা ট্রাভেল ডেস্ক-এর সুবিধা পাবেন। এছাড়াও আছে রেস্তোঁরা, অসাধারণ সব ব্যবস্থা।

কোন কোন স্থান দেখবেন

ধর্মশালাঃ ধর্মশালা ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত। এটি আউটার হিমালয়ের পীর পাঞ্জাল অঞ্চলের ধৌলাধর রেঞ্জের একটি স্পারে অবস্থিত; এবং উপরে শক্তিশালী ধৌলাধর পর্বতমালা এবং নীচে কাংড়া উপত্যকার মহিমান্বিত দৃশ্যের ছবি তুলে ধরে। ধৌলাধর মানে “সাদা পাহাড়” এবং এই শ্বাসরুদ্ধকর, তুষার-ঢাকা রেঞ্জটি কাংড়া উপত্যকা থেকে ৫,২০০ মিটার (১৭,০০০ ফুট) উচ্চতায় উঠে গেছে। কাংড়া উপত্যকা একটি প্রশস্ত, উর্বর সমভূমি, নিচু পাহাড় দ্বারা যুক্ত করা হয়েছে।

দলাই লামাঃ মহামান্য দালাই লামার কাছ থেকে আশীর্বাদ এবং শিক্ষা গ্রহণের জন্য সারা বিশ্ব থেকে মানুষ ম্যাক্লিওডগঞ্জে ভিড় করে। পশ্চিমা এবং ভারতীয় পর্যটক এবং পণ্ডিতরা একটি প্রাচীন এবং আকর্ষণীয় সভ্যতার পুনর্জন্ম দেখতে এখানে আসেন। উচ্চ উচ্চতা এবং শীতল আবহাওয়া আসল তিব্বতি পরিবেশের পুনঃসৃষ্টিতে শারীরিকভাবে অবদান রাখে। ধর্মশালা পুরানো তিব্বতের দর্শনীয় স্থান এবং শব্দের সাথে স্পন্দিত হয়। যদিও অবশ্যই আরও আধুনিক, জীবন মূলত তিব্বতি চরিত্রের। ম্যাকলয়েডগঞ্জের সরু রাস্তার ধারে দোকানে ঐতিহ্যবাহী তিব্বতি শিল্প ও হস্তশিল্প বিক্রি হয় এবং তিব্বতি খাবারের সুগন্ধ বাতাসে লেগে থাকে।

এছাড়াও এখান থেকে যেতে ঘুরে আসতে পারেন- সুগ্লাগখাং মন্দির, ত্রিউন্ড, নরবুলিংকা ইনস্টিটিউট, ভাগসু মন্দির এবং জলপ্রপাত, গ্যুতো মঠ, সিধবাড়ি, চিন্ময় মিশন (তপোবন), সেন্ট জন’স চার্চ, বীর বিলিং, নদ্দি ও ডাল লেক।

দেখুন হোটেলের রিসেপশন, থাকার জায়গা, রেস্তোরা, পাহাড়ি দৃশ্য সহ নানা ছবি।

Published on: ডিসে ৯, ২০২১ @ ২০:৪৪


শেয়ার করুন