স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না দিলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে- সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

“স্বাস্থ্যসাথী কিন্তু গরিবলোকের। কেউ যেন বদমায়েশি করে গরিব মানুষদের হয়রান না করে। হয়রান করলে আপনারা থানায় যান। ডায়েরি করুন এফআইআর করুন।”

Published on: জানু ১১, ২০২১ @ ১৯:২৪

এসপিটি নিউজ, রানাঘাট, ১১ জানুয়ারি:   স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-এ রাজ্যের মানুষ যাতে চিকিৎসা পরিষবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই সোমবার রানাঘাটের জনসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় ধরনের বার্তা দিলেন। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কাউকে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে ফেরাবেন না। হয়রান করবেন না। মনে রাখবেন, প্রয়োজনে সরকারের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা আছে।

আয়ুষ্মানের সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর তুলনা টানলেন মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- “আমরা রাজ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করেছি। ওরা(বিজেপি) বলেন আয়ুষ্মান-এর কথা। যেখানে কেন্দ্র দেবে ৬০ টাকা আর আপনাকে দিতে হবে ৪০ টাকা। আর স্বাস্থ্যসাথীতে একশোতে একশোই দেবে রাজ্য।আমি নিজেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছি।এতে পাঁচ লাখ টাকা করে প্রতি পরিবার পাবে। ওই কার্ডটার দামই পাঁচ লাখ টাকা। এতে নিজের ছাড়াও পরিবারের সকল সদস্যরা চিকিৎসা করাতে পারবেন।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা

এরপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সম্পর্কে হাসপাতালগুলিকে বার্তা দেন। সতর্ক করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন- “অনেক বড় বড় হাসপাতাল আছে তারা কখনও কখনও বলে দেয় -না, আমরা এখানে স্বাস্থ্যসাস্থী করবো না। আমরা এদের সঙ্গে মিটিং করে বলে দিতে চাই – না, স্বাস্থ্যসাথী গ্রহণ করতে হবে। আমরা আর একটা কাজ করছি – জেলায় যত ছোট ছোট নার্সিং হোম আছে সরকারি হাসপাতালের মতো তাদেরকেও বলছি স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত করতে।কারণ, যাতে মানুষ তার বাড়ির পাশের নার্সিংহোমগুলিতে গিয়ে চিকিৎসা পান। আর কেউ যদি চিকিৎসা না দেন তবে সরকারের হাতে লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা আছে।”

Published on: জানু ১১, ২০২১ @ ১৯:২৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

69 + = 72