সিপিএমকে হঠিয়ে বিজেপির লক্ষ্যপূরণে সফল বিপ্লব দেব, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকেই দেখছেন ত্রিপুরার মানুষ

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ৩, ২০১৮ @ ১৭:৪৩

এসপিটি নিউজ, আগরতলা, ৩ মার্চঃ মাত্র এক বছরের একটু বেশি সময় হবে। বিজেপি নেতৃত্ব বুঝেছিলেন ত্রিপুরাকে যদি পাল্টাতে হয় তবে এই ছেলেই পারবে। তরুন এই বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবকে নিয়ে আশার আলো দেখেছিলেন তারা। ত্রিপুরা বিজেপির দায়িত্ব পেয়েই খোলনলচে বদলে ফেলেছিলেন। সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে শুরু করেছিলেন দলকে।তারপর এখন তো সব ইতিহাস। তরুন এই বিজেপি নেতাই যে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি তাও মনে করতে শুরু করে দিয়েছেন ত্রিপুরার মানুষ।তবে শেষ পযযন্ত কি হবে তা ঠিক করবে অবশ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের দিকেই তাকিয়ে এখন গোটা ত্রিপুরা।

বিপ্লব কুমার দেব, ৪৮ বছর বয়সী  যুবকই হতে চলেছেন ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর বিজেপিরর নেতৃত্বের কথাবার্তায় অন্তত তেমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। বিপ্লব দেব বর্তমানে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি এবং আগরতলায় বনমালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি সিপিএম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়ে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপি ত্রিপুরাতে ২৫ বছরের দীর্ঘ কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছে এবং মানিক সরকার ২0 বছরের দীর্ঘ মেয়াদী মুখ্যমন্ত্রীত্বের অবসান ঘটল।

বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য প্রধান রানার ছিলেন এবং আমাদের প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গেছে যে তিনি বাম মুখ্যমন্ত্রী সরকারের চেয়েও কত বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।”

“ত্রিপুরাতে সিপিএমের সহমর্মিতা শেষ করার জন্য তিনি বিজেপি ও আরএসএসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি একটি সাংগঠনিক মানুষ, আরএসএস-এ প্রশিক্ষিত, এবং বিজেপি-তে কোনও নোংরা ভাবমূর্তি্র মানুষ নেই “, বিজেপি’র অন্য এক কর্তা বলেন।

দেব  রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রাক্তন স্বেচ্ছাসেবক। ১৫ বছর আগে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের রাজধানীতে স্থানান্তরিত হয়ে দিল্লিতে একটি পেশাদার জিম প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। ত্রিপুরার বিজেপির সুনীল ডোধর, আরএসএসে দেবের প্রশিক্ষক ছিলেন এবং প্রবীণ কে এন গোবিন্দাচার্যও ছিলেন তাঁর সংগঠক।

২০১৬ সালে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেব মধ্যপ্রদেশের সাতনা লোক্সভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ গণেশ সিং-এর সহকারি হিসেবেও কাজ করেছেন। দেবের স্ত্রী দিল্লিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার পার্লামেন্ট হাউস ব্রাঞ্চের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।

বিজেপি সব কিছু গণনা করেই ত্রিপুরাতে তাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দেব তরুণ ছিলেন এবং সেইসাথে ‘স্থানীয় মুখ’। এটা বিশ্বাস করা হতো যে, বিজেপির সিপিএমকে নিঃশেষ করার জন্য দেব তাদের সাহায্য নেবে যাদের মধ্যে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব, যিনি আরএসএস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসেন এবং উত্তর পূর্ব ভারতে বিজেপির প্রধান সঞ্চালক প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা উল্লেখযোগ্য।

ত্রিপুরাতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকে নিয়োগ করার প্রস্তাব ছিল, কিন্তু দলের জাতীয় সভাপতির এ ব্যাপারে চুপ আছেন। কারণ, প্রথমবারের মতো জয়ী হয়ে তাকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না কি কাকে করা হবে তা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।

Published on: মার্চ ৩, ২০১৮ @ ১৭:৪৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 55 = 59