3,000 মিটার উচ্চতায় উচ্চ উচ্চতায়, কড়া পর্বতভূমিতে থাকে – এবং জলবায়ু পরিবর্তনগুলি তাদের উপলব্ধ আবাসকে সঙ্কুচিত করতে পারে। এখন এই চিতাবাঘগুলিকে সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে।
Published on: অক্টো ২৩, ২০২০ @ ১৫:৩৯
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ: আজ আন্তর্জাতিক স্নো লেপার্ড ডে অর্থাৎ বিশ্ব তুষার চিতাবাঘ দিবস। বিশ্বের মাত্র ১২টি দেশে আজ টিকে আছে বিরলতম এই বন্যপ্রাণ। প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য্যময় এই প্রানীকে বাঁচাতে নেওয়া হয়েছে প্রয়াস। আর সেজন্য বিশ্ববাসীর সহযোগিতা কাম্য।সংবাদ প্রভাকর টাইমস বরাবরই বিশ্বের প্রায় সমস্ত প্রাণীকে নিয়েই সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে এই সমস্ত বন্যপ্রাণের সংরক্ষণের বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বিরল প্রজাতির চিতাবাঘ সম্পর্কে কিছু কথা।
ভারতের বনমন্ত্রী প্রকাশ জাভদেকর এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন তুষার চিতাবাঘ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, উচ্চ পার্বত এলাকায় পরিবেবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই বন্যপ্রাণ।
#SnowLeopards ???? are imp. in maintaining the ecological balance of high altitudes.@moefcc is protecting these magnificent cats through initiatives like #ProjectSnowLeopard & #SECUREHimalaya with @UNDP_India and @theGEF.#InternationalSnowLeopardDay pic.twitter.com/am6u1spBzG
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) October 23, 2020
#InternationalSnowLeopardDay, 23rd October, is a reminder to the international community and civil society that it is our collective responsibility to conserve the species and its ecosystem to preserve the significant #wildlife of the #Himalayas. pic.twitter.com/g6DEiNsATN
— MoEF&CC (@moefcc) October 23, 2020
কোথায় অবস্থান করে এই তুষার চিতাবাঘ
সারা বিশ্বের মধ্যে এ এক অনন্য প্রজাতির চিতাবাঘ। এরা তুষারাবৃত অঞ্চলেই থেকে। আউন্স নামে পরিচিত তুষার চিতাবাঘ একটি বিশাল আকৃতির বিড়াল, যা মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার পর্বতমালার আলপাইন এবং সাবালাইন অঞ্চলগুলিতে বাস করে। 2016 সালের হিসাবে, মোট বন্য জনসংখ্যার আকার হিসেবে এদের সংখ্যাটি 4,000-8,000 অনুমান করা হয়েছিল। যাই হোক, এই অনুমানটি বিতর্কিত হয়েছে কারণ তুষার চিতাবাঘগুলি খুব সহজেই নিরিবিলি স্থানে বাস করে এবং গোপনীয় জীবনযাপন করে। তুষার চিতাবাঘ হুমকি প্রজাতির প্রকৃতির রেড সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়নের একটি বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
যেখানে তুষার চিতাবাঘ জীবিত থাকে
সারা বিশ্বের মধ্যে মূলতঃ এশিয়াতেই এদের অবস্থান বেশি । তবে ইউরোপের কিছু অংশে তুষার চিতাবাঘ এখনও রয়েছে। দক্ষিণ রাশিয়া থেকে শুরু করে মঙ্গোলিয়া, চীন, আফগানিস্তান, ভুটান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, ভারত এবং নেপাল সহ তিব্বতি মালভূমিতে মধ্য এশিয়ার 12 টি দেশে তুষার চিতাবাঘগুলি রয়েছে।
এগুলি সাধারণত 3,000 মিটার উচ্চতায় উচ্চ উচ্চতায়, কড়া পর্বতভূমিতে থাকে – এবং জলবায়ু পরিবর্তনগুলি তাদের উপলব্ধ আবাসকে সঙ্কুচিত করতে পারে। এখন এই চিতাবাঘগুলিকে সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে।
কবে থেকে শুরু হয় এই দিবস পালনের কর্মসূচী
উপরের উল্লেখিত দেশগুলির প্রতিনিধিরা 2013 সালের 23 অক্টোবর কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে অনুষ্ঠিত প্রথম গ্লোবাল স্নো লেপার্ড ফোরামের বৈঠকে হাজির হন। সেখানেই তারা সকলেই তুষার চিতাবাঘ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়ের ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন।সেখানেই স্থির হয় এবার থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে বিশ্ব তুষার চিতাবাঘ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। সেই মতো 2014 সালের 23 অক্টোবর প্রথম ইন্টারন্যাশনাল স্নো লেপার্ড ডে পালন করা হয়। এর মূল লক্ষ্য স্থির হয়- তুষার চিতাবাঘ থাকা দেশগুলিতে পরিবেশ সংগঠনের একীকরণের প্রচেষ্টা এবং ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্বের উপরে জোর দেওয়া, সেই সঙ্গে চোরা শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
বেকি মে (বাঘ এবং এশীয় প্রজাতির আঞ্চলিক পরিচালক) যা বললেন
“তুষার চিতা অত্যন্ত দর্শনীয়, তবে এর দেখা পাওয়া খুবই শক্ত, কারণ তারা হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকা এবং মধ্য এশিয়ার উঁচু পার্বত্য স্থানে এমন কঠোর এবং দুর্গম পরিবেশে বাস করে যে তাদের সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তবে আমরা এও জানি যে তাদের আবাসের আজ অবনতি হয়েছে, তারা আজ শিকারের দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে এবং মানুষের সাথে দ্বন্দ্ব, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিরিক্ত চাপ বাড়ছে। “আমি তুষার চিতাবাঘ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি এবং তাদের যে আশ্চর্যজনক জায়গাগুলিতে পাওয়া যায় তা দেখে আমি মুগ্ধ – আমি নেপালের এই অঞ্চলগুলির একটিতে গেছিলাম দেখার জন্য, সেখানে আমার তুষার চিতাবাঘ দেখার এক বড় সুযোগ হয়েছিল।সেখানে আমাদের নিবেদিত সহকর্মীদের সঙ্গেও সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল, আমি অভিভূত যেভাবে তারা তুষার চিতাবাঘ নিরীক্ষণ ও সুরক্ষায় কাজ করে চলেছে তা সত্যিই দেখার মতো।”
কেন তুষার চিতাবাঘ এত গুরুত্বপূর্ণ
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন-এর মতে, তুষার চিতাবাঘ তাদের পরিবেশে সেরা শিকা্রী হয় এবং তাদের শিকারে পাহাড়ি ভেড়া এবং ছাগল অন্তর্ভুক্ত থাকে। তুষার চিতাবাঘ ছাড়া পরিবেশগত ভারসাম্য ব্যাহত হবে। উদাহরণস্বরূপ, ভেষজজীবী জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ফলে উদ্ভিদের পরিবর্তন ঘটবে এবং এই অঞ্চলে বসবাসকারী অন্যান্য বন্যজীবকেও এটি প্রভাবিত করবে।
তারা আরও বলছে- আশ্রয়, তাপ এবং জ্বালানীর জন্য ওষুধ এবং কাঠ সহ সেখানে বসবাসকারী অনেক লোকের জন্য একই খাবার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান সরবরাহ করে। যা কিনা শুধুমাত্র ভেষজ ভক্ষণকারী প্রাণীরাই নয় মানুষেরও লাগে। এখন তাই তুষার চিতাবাঘকে সুরক্ষিত করতে পারলে আমরা এই অঞ্চলগুলির সমগ্র প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং যারা এর উপর নির্ভর করে তাদের উপকৃত করার পথ তৈরি করতে পারি।
Published on: অক্টো ২৩, ২০২০ @ ১৫:৩৯