সিকিমে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কাল করবেন পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন

Main দেশ
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-কৃষ্ণা দাস

Published on: সেপ্টে ২৩, ২০১৮ @ ২৩:৫৫

এসপিটি নিউজ, গ্যাংটক, ২৩ সেপ্টেম্বরঃ নির্ধারিত কর্মসূচির কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে সিকিমে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে হেলিকপ্টারে করে তিনি গ্যাংটক উড়ে যান। সোমবার পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন মোদি।

এদিন বিকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাগডোগরা বিমানবন্দরের আলফা জোনে এসে নামেন প্রধানমন্ত্রী। বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ছিলেন রাজ্য সরকারের পক্ষে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত। স্বাগত জানাতে ছিলেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরি সহ একাধিক বিজেপি নেতা। এদিনই গ্যাংটকের লিবিং হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং সহ সিকিম সরকারের প্রতিনিধি দল।

এর আগে সিকিমের মুখ্যসচিব এ কে শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন ২৩শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নয়া বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী পাকিয়ং-এ সেন্ট জেভিয়ার স্কুল ময়দানে এক জনসভা করারও কথা ছিল। এরপর তাঁর এদিনই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁর কর্মসূচি বদল করা হয়েছে।

সিকিমের মুখ্যসচিব জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এই বিমানবন্দরের পরীক্ষা করা হয়েছিল। আমরা খুশি যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী পা রাখতে চলেছেন। আর তিনি আমাদের নতুন তৈরি হওয়া বিমানবন্দরটির উদ্বোধনও করবেন। তিনি আরও জানান, উদ্বোধনের পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিমানবন্দরটির ব্যবসায়িক কাজকর্ম শুরু হয়ে যাবে।

সিকিমের এই নতুন বিমানবন্দরটি চীন সীমান্ত থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৯৯০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে এই বিমানবন্দরটি। পাকিয়াংকে দেশের মধ্যে প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর বলেও দাবি করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ৪,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি বিমানবন্দরটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬০৫ কোটি টাকা।

বিমানবন্দরটি মূলত রাজ্যের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই গড়ে তোলা হয়েছে। কারণ, সিকিমের অর্থনীতি বেশিরভাগটাই জুড়ে আছে পর্যটন। এতদিন সিকিমে পর্যটকদের যেতে হলে বাগডোগরা বিমানবন্দর গয়ে সড়ক পথে যেতে হত। এজন্য তাদের অতিরিক্ত চার ঘণ্টা সময় লাগত। এই বিমানবন্দর হয়ে যাওয়ার ফলে সেই সময় বাঁচবে। তাছাড়া, মনে করা হচ্ছে সিকিমে পর্যটকের ঢল আরও বাড়বে। মাঝেমধ্যেই দার্জিলিং-এর বনধের জেরে সিকিমগামী পর্যটকদের এতদিন হয়রান হতে হয়েছে। এখন থেকে সেটা বন্ধ হতে চলেছে।

বাণিজ্যিকভাবে এই নতুন পাহাড়ি বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে এটি দেশের ১০০তম বিমানবন্দরের তালিকায় স্থান করে নেব। স্পাইসজেট ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে এখানে বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছে অসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। ইতিমধ্যে গত মার্চে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের ১৯ আসনের ২২৮ এয়ারক্র্যাফট সফলভাবে অবতরণ করেছিল। এরপর ১১ মার্চ স্পাইসজেট তাদের ৭৮ আসনের বিমান নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবার অবতরণ করে।

Published on: সেপ্টে ২৩, ২০১৮ @ ২৩:৫৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 8 =