সাহারায় ফুটবল পায়ে গিনেস রেকর্ড গড়লেন জন ফার্নওয়ার্থ- অসুস্থ শিশুদের জন্য নিলেন এই শক্ত চ্যালেঞ্জ

Main বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

  • মরোক্কোর সাহারা মরুভূমিতে 2,500 মাইল বল পায়ে পথ ভ্রমণ করেছেন।
  • 5.82 কিমি (3.61 মাইল) পথ পেরিয়ে এক নয়া মহাকাব্যিক রেকর্ড গড়েছেন ব্রিটিশ ফুটবল ফ্রিস্টাইলার জন ফার্নওয়ার্থ।
  • এর আগে লন্ডন ম্যারাথন এবং মাউন্ট এভারেস্ট বল পায়ে ভ্রমণ করেছেন।

Published on: অক্টো ৬, ২০১৯ @ ২১:৩৮

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  মেসি কিংবা রোনাল্ডো ছাড়াও যে আরও কেউ ফুটবল নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে তা প্রমাণ করে দিলেন ব্রিটিশ ফুটবল ফ্রিস্টাইলার জন ফার্নওয়ার্থ। প্রকৃতপক্ষে তিনি সাতটি রেকর্ড গড়েছেন। যার মধ্যে একটি হল টানা এক ঘণ্টা ধরে বল পা-এ নিয়ে জাগলিং করতে থাকা। তার সর্বশেষ রেকর্ড হল- মরোক্কোর সাহারা মরুভূমিতে 2,500 মাইল বল পায়ে পথ ভ্রমণ করা।যে রেকর্ড গড়া ছিল আরও কঠিন আরও শক্ত। তবু তিনি সেই কঠিন বাধা অতিক্রম করে শক্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এক নয়া মহাকাব্যিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। আর এর পিছনে রয়েছে তাঁর এক মহান উদেশ্য।

জন ফার্নওয়ার্থকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়েছিল

এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে তাঁকে প্রবল কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। কারণ, মরুভূমিতে প্রবল বাতাস, তীব্র উত্তাপ এবং শক্ত ভূমিকম্পের সাথে তাঁকে লড়াই করতে হয়েছিল। এমন কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে থেকে জন রেকর্ডটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। রেকর্ডটি অর্জন করতে তাঁর নূন্যতম 5.55 কিলোমিটার পথ পেরোনোর প্রয়োজন ছিল।কিন্তু নিজের সেই মহান উদ্দেশ্যর কথা স্মরণে রেখে তিনি অবশেষে 5.82 কিমি (3.61 মাইল) পথ পেরিয়ে এক নয়া মহাকাব্যিক রেকর্ড গড়তে সক্ষম হন। তার এই রেকর্ড-ব্রেকিং মরুভূমির বুকে এক অনন্য কীর্তি স্থাপন করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রেকর্ড গড়ার পিছনে কঠিন পরিস্থিতির নানাদিক জানালেন জন

এই কীর্তি স্থাপনের পর তাঁর কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছিল।যার জবাবে জন্য এই উত্তর দিয়েছিলেন।

  • আমি অতীতে অন্যান্য সহনশীলতার চ্যালেঞ্জগুলি গ্রহণ করেছি। যেমনটি বল নিয়ে লন্ডন ম্যারাথন এবং মাউন্ট এভারেস্ট ভ্রমণ করেছি। এরপর আমার কাছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জটি মনে হয়েছিল একটি মরুভূমি পার হওয়া, যখন থেকে আমি সবচেয়ে বড় সাহারা মরুভূমি সম্পর্কে ভাবতে শুরু করি।
  • হ্যাঁ, আমার লক্ষ্য ছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড শিরোনাম ভাঙা! যা সত্যিই খুবই কঠিন ছিল। বালির উপর দিয়ে বল নিয়ে জাগলিং করতে করতে পথ চলা খুবই কঠইন কাজ। সাহারায় প্রচুর খোলামেলা জায়গা রয়েছে – এতটা যে আপনি কোনও একটি সভ্যতা থেকে এখানে পা রাখার পর একবার যদি ভাবেন কত দূরে আছেন তখন কিন্তু তা আরও ভীতিজনক হতে পারে।
  • চ্যালেঞ্জের সবচেয়ে শক্ত অংশটি ছিল বালির ঝড়! আমার মুখে সমস্ত বাতাস আঁছড়ে পড়ছিল এবং বালি ফুঁ দিয়ে সরিয়ে বলটি নিয়ন্ত্রণ করা অবিশ্বাস্যরকম কঠিন ছিল, আমার কাছে যা একেবারে ভিন্ন ছিল। শেষদিকে বাতাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে গত দু’দিন ধরে বেশিরভাগ জায়গাটিকে আগলে রাখতে হয়েছিল!
  • পথে অপ্রত্যাশিত যেটা হয়েছিল তা হল- কীভাবে বাতাস এলোমেলোভাবে আসতে পারে তার জন্য প্রস্তুত থাকা এবং এর জন্য কোনও আশ্রয় বা বিকল্প পথ ছিল না।
  • আমি জানতাম এই কাজটি আমার কাছে অত্যন্ত শক্ত হবে, তবে এটি আমার কাছে প্রথম ভাবার চেয়েও কঠিন ছিল! আমি যতটা সম্ভব বাড়িতে ফিরে নিজেকে প্রশিক্ষিত এবং প্রস্তুত করেছি, তবে আপনি যখন নতুন অজানা পরিবেশে থাকবেন তখন সর্বদা তা আরও চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠবে।

যা ছিল সেই মহান উদ্দেশ্য

তবে যে মহান উদ্দেশের জন্য জন ফার্নওয়ার্থ এই কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিয়েছিলেন তা হল অসহায় এক দল শিশু। তিনি বলেন- “আমরা ডেরিয়ান হাউসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলাম, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি শিশুদের আবাসস্থল I আমি এই চ্যালেঞ্জটি ধর্মোপচারের জন্য অর্থ ও সচেতনতা বাড়াতে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম যাতে তারা গুরুতর অসুস্থ শিশুদের যত্ন ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে পারে। এই রেকর্ড এবং চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিলাম এই ভেবে যে আমার একটি রেকর্ড যদি এই অসুস্থ শিশুগুলির জীবনকে স্বাভাবিক করে তুলতে সাহায্য করে তয়াহলে আমি কেন এই কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব না। শুঢুমাত্র ওই অসহায় অসুস্থ শিশুগুলির মুখই বলতে পারেন আমার রেকর্ড গড়ার পিছনে মূল প্রেরণা আর উৎসাহ জুগিয়ে গেছে।”

Published on: অক্টো ৬, ২০১৯ @ ২১:৩৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 4