Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৯ @ ২০:৪৬
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ এক মাসের ছুটি কাটিয়ে উন্নাও জেলার প্রিয় যুবক অজিত কুমার আজাদ ১০ই ফেব্রুয়ারি জম্মুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীনগর যাওয়ার সময় বাসের মধ্যে বসেই স্ত্রী মীনার সঙ্গে ফোনে কতাহ বলছিলেন।
দু’মিনিটের কথপোকথনে তিনি তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন শ্রীনগরে পঊঁছে ফোন করবেন।স্নধে পর্যন্ত স্ত্রী মীনা স্বামীর অপেক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু ফোন আর এল না। রাত দশটা নাগাদ মীনার ফোন বেজে উঠল। তিনি চটজলদি ফোন ধরেন। অপর প্রান্ত থেকে একজন অজিতের শহীদ হওয়ার খবর দিলেন। কিন্তু মীনার তা বিশ্বাস হয়নি। প্রথমে চুপ করে বসেছিলেন। পরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকেন। প্রতিবেশীরা বউমার এমন অবস্থা দেখে তারা এগিয়ে এসে পরিস্থি সামাল দেন। মীনা কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন- অজিত আমাকে কথা দিয়েছিল ও শ্রীনগরে পৌঁছে ফোন করবে কিন্তু ও কথা রাখতে পারলনা।
সিআরপিএফ জওয়ান অজিতের দুই কন্যা আছে। তাদের একজন ঈশা(৮) ও শ্রেয়া(৬)। অজিত দুই কন্যাকে দাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্ত্রী মীনা কেঁদে কঁদে বলছিলেন- “ও যখন ঘর থেকে বের হয় তখন মেয়েদের বলছিল-মা, তো্মরা মন দিয়ে পড়াশুনো করো, তোমাদের ডক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।” তরুন ছেলের শহীদ হওয়ার খবর পেতেই মা রাজবন্তী নিজেকে ঘরের ভিতর বন্দি করে ফেলেন। ভাইতের মৃত্যুর খবরে কান্নার রোল পড়ে যায় ভাইদের মধ্যে। তারা চোখ মুছতে মুছতে জানায় যে আমাদের ভাই দেশের জন্য শহীদ হয়েছে তার জন্য আমাদের গর্বও হচ্ছে।
Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৯ @ ২০:৪৬