শুভেন্দুর হুঙ্কারঃ এরা খুন সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে ভয় দেখাতে চাইছে, আমরা ভয় পাওয়ার লোক নই

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                 ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: সেপ্টে ২৮, ২০১৮ @ ২৩:৪৩

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ২৮ সেপ্টেম্বরঃ স্মরণ সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি আর সিপিএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-সিপিএমের নাম না করে তিনি এদিন বলেন-“এরা ৫৫ তা বাস ভেঙেছে, আগুন ধরিয়েছে, এরা চালাবে দেশ। ঝাড়খণ্ড , ওড়িশার সুপারি কিলাররা তৃণমূল নেতা কর্মীদের খুন করছে। আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে।এরা খুন সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে ভয় দেখাতে চাইছে। আমরা ভয় পাওয়ার লোক নই।”

শুক্রবার ঝাড়গ্রামের দুবরাতে নিহত তৃণমূল নেতা চন্দন সরঙ্গির স্মরণ সভায় যোগ দিতে এসে এভাবেই বিজেপি-সিপিএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পরিবহনমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি ইসলামপুরে ছাত্রদের উপর গুলি চালনার ঘটনায় বিহার থেকে ভাড়া করে আনা গুণ্ডাদের কথাই বলেছেন। তিনি পরিষ্কার বলেন,”পাশের রাজ্য বিহার থেকে লোক ভাড়া করে এনে পুলিশে ওপর পাথর ছুড়েছে, সরকারি বাসে আগুন লাগিয়েছে, ভাঙচুর করেছে, সাধারনের ওপর গুলি চালিয়েছে। যে ৫ জন ধরা পড়েছে তারা বিহারের।”

তিনি আরও বলেন, আমি দেখেছি নেতাই গণহত্যা ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিহতদের লাশ দাহ করেছি।আমি দেখেছি অনুজ পাণ্ডে, অনিল মাহাতর মত মস্তানদের। এর আগে এখানে কমরেড প্রশান্ত দাস যার বাইরে গেরুয়া, ভেতরে লালা তার রাঙা চোখ। আমি ভয় পাইনি। আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। লরির ওপরে দাঁড়িয়ে আমি সভা করে গেছি। ২০১০ সালে হার্মাদ, মাওবাদীরা ২৮৫ জনকে খুন করেছে। ২০১১ সালেও তারা খুন করেছে। বাবু বোস , লালমোহন মাহাত, রবীন্দ্রনাথ মিশ্রকে খুন করেছে এরা। তখন বলেছিলাম আর খুন হতে দেব না। ২০১২ সালে আর খুন হয়নি।

বন্ধের দিন এরা ৫৫টা বাস ভেঙেছে, আগুন ধরিয়েছে, এরা চালাবে দেশ। আমাদের এই রাজ্য সীমান্ত এলাকায় হওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার সুপারি কিলাররা তৃণমূল নেতা কর্মীদের খুন করছে। ইসলামপুরের ঘটনায় ডাকা বন্ধে আমি ৪ হাজার গাড়ির চালককে হেলমেট পরতে দিয়েছিলাম। আমি জানি ওই লুম্পেনরা গণ্ডগোল বাধাবে। আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে।বলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনারা বলতে পারেন- ১৯৮৪ সাল থেকে কোন মুখমন্ত্রী জঙ্গলমহলে রাত্রি যাপন করেছে! তার একমাত্র উদাহরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বাংলার প্রতিটা ঘরে সরকারের কিছু না কিছু প্রকল্পের সাহায্য এসেছে। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী সব ক্ষেত্রেই। এদিনের উপচে পড়া জনসমাবেশ থেকে নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের হাতে তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।

Published on: সেপ্টে ২৮, ২০১৮ @ ২৩:৪৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

24 + = 27