শুধু পায়ের ছাপ দেখিয়ে বনকর্মীদের ছুটিয়ে মারছে রয়্যাল বেঙ্গল, খাঁচায় বহাল তবিয়তে দিন কাটছে ‘বেচারা’ ছাগলের

বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল

Published on: মার্চ ২৩, ২০১৮ @ ২১:৫৫

এসপিটি নিউজ, লালগড়, ২৩ মার্চঃ একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার গোটা বন দফতরকে নাকানি-চোবানি খাইয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে এই বাঘের পিছনে ছুটতে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে দুই অসহায় বনকর্মীকে। তবু বাঘের দেখা নেই গোটা জঙ্গলমহলে। শুধু পায়ের ছাপ আর পায়ের ছাপ। এই ছাপ দেখছে আর স্থানীয় মানুষ আতঙ্কে কেঁপে উঠছে। জঙ্গলের সঙ্গে অনেকের রুটি-রোজগার জড়িয়ে আছে। সবই বন্ধ হয়ে আছে প্রায় ২০দিন ধরে। একদিকে বাঘের পায়ের ছাপ জঙ্গলের পর জঙ্গল জুড়ে। আর একদিকে বনকর্মীদের তীব্র হা-হুতাশ ‘কোথায় বাঘ’, ‘কোথায় বাঘ’।

সেই ২ মার্চ শেষবারের মতো দেখা দিয়েই কোথায় যে হাওয়া হয়ে গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তার কোনও খবর জানা নেই বনকর্মীদের।লালগড় থেকে শুরু করে মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল হয়ে শালবনী থেকে গোয়ালতোড় বাঘ তার বিচরন ক্ষেত্র বাড়িয়েই গেছে। কিন্তু বনকর্মীদের সে শুধু ধোকাই দিয়ে গেছে। থুড়ি বনকর্মীরাই তার কাছে ধোকা খেয়ে গেছে।

এই সংবাদ প্রভাকর টাইমস পত্রিকা অনেক আগে থেকেই লিখে আসছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ধরা সহজ কাজ নয়। এটা, আমাদের কথা নয়, আসলে এই তথ্য দিয়েছে বাঘ বিশেষজ্ঞরা। আমরা শুধু সেটা তুলে ধরেছি মাত্র। বন দফতরের আধিকারিকরা তো মাঝে এমনটাও বলতে শুরু করে দিলেন যে মনে হল বাঘ বোধ হয় এবার স্বেচ্ছায় এসে খাঁচায় ধরা দিতে চলেছে। সে খবর বোধ হয় আগেভাগে বঙ্কর্তাদের কানে কানে সে বলে গেছে। এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন কয়েকজন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, বাঘ ধরা আর পাখি ধরা এক জিনিস নয়। এর জন্য অনেক কিছু দরকার লাগে। বাঘের গতিবিধি জানতে দিনের পর দিন গভীর জঙ্গলে পড়ে থেকে তার হদিশ বের করতে হয়। বিশেষ করে জঙ্গলমহলের মতো এমন গভীর জঙ্গল যেখানে আছে সেখানে এই একটি মাত্র বাঘ খুঁজে বের করা মোটেও মুখের কথা নয়।

সে তো তার মতো করিডর তৈরি করে হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছে।শুক্রবার যেমন সে লালগড়ের লক্ষণপুরের জঙ্গলে এসেছিল। অন্তত তার পায়ের ছাপ তেমনটাই প্রমাণ দিচ্ছে।অথচ আগের দিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে বন দফতরের কর্তা-ব্যক্তিরা জানিয়েছিলেন, বাঘ নাকি এই এলাকাতেই নেই। কথাটা তার খুব একটা মিথ্যে বলেননি, মনে করছেন বাঘ বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, আসলে বন দফতরের ওই কর্তারা আসলে বোধ হয় বলতে চেয়েছেন, তারা বাঘ ধরার ব্যাপারে অত বেশি তৎপর নয়। যেভাবে বাঘ তাদের বোকা বানিয়ে চলেছে তাতে বাঘ ধরা খুব কঠিন সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তারা। আর সেই সুযোগে জঙ্গলের খাঁচাগুলিতে যে ছাগলগুলিকে রাখা হয়েছে সেগুলি বহাল তবিয়তে দিন কাটাচ্ছে। সময় মতো খাবার পাওয়ার পাশাপাশি বন দফতরের বিশেষ যত্ন-আত্তিও জুটছে তাদের। সত্যিই একেই বলে কপাল।আগের ছবি

Published on: মার্চ ২৩, ২০১৮ @ ২১:৫৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + = 16