লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসাঃ নোটিশ হিমাচলের ৪০ হোটেলকে, সঙ্গে মোটা টাকা জরিমানাও

দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৪, ২০১৮ @ ১১:১৯

এসপিটি ট্রাভেল ডেস্কঃ বিনা লাইসেন্সে চলতে থাকা হোটেলের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল হিমাচল প্রদেশ পর্যটন বিভাগ। ইতিমধ্যে তারা হামিরপুর জেলায় প্রায় ৪০টি এমন হোটেলকে চিহ্নিত করে তাদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে। সেই সঙ্গে তাদের হোটেল নিবন্ধীকরণের জন্য সময়ও দেওয়া হয়েছে। সেটা যদি তারা করতে পারে তাহলে তাদের জরিমানার উপর দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হবে। না হলে আরও বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মতো তাদের হোটেলের আলো ও জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে বলে পর্যটন বিভাগ কড়া ফরমান জারি করেছে।

ইতিমধ্যে কাংরা জেলায় বিনা নিবন্ধীকরণের বিরুদ্ধে হোটেলগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় পর্যটন বিভাগ।এবার তাদের নজর পড়েছে হামিরপুর জেলার উপর। হিমাচল প্রদেশ মূলত পর্যটন নির্ভর জেলা। গোটা রাজ্যই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।কাজেই প্রতিনিয়ত এখানে কোথাও না কোথাও বহু নতুন হোটেল গড়ে উঠছে। এইসব হোটেলগুলি মোটা টাকা ব্যবসা করলেও অনেকেরই হোটেল ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও লাইসেন্স বা নিবন্ধীকরণ নেই। হিমাচল প্রদেশ পর্যটন বিভাগ এই বিষয়টির উপর এবার নজর দেওয়া শুরু করেছে। কারণ, তারা লক্ষ্য করেছে, এর ফলে সরকারের ঘরে তার প্রাপ্য রাজস্ব আসছে না।সেই দিক খেয়াল করে এবার তাই পর্যটন বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।

কাংরার পর এবার তাদের নজর পড়েছে হামিরপুরে। ইতিমধ্যে তল্লাশি অভিযানে নেমে হামিরপুর জেলায় মোট ৪০টি হোটেলকে চিহ্নিত করেছে। দেখা গেছে এদের কারও কাছে হোটেল ব্যবসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। অর্থাৎ এরা কেউ হোটেল ব্যবসার নিবন্ধীকরণের কাগজ দেখাতে পারেনি। এরপরই হিমাচল প্রদেশ পর্যটন বিভাগ তাদের প্রায় দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করে। একই সঙ্গে হোটেলগুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা যদি পর্যটন বিভাগের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধীকরণের কাগজপত্র তৈরি করে তা দেখাতে না পারে তাহলে কিন্তু এবার তাদের বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে তারা বাধ্য হবে। কেটে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ ও জলের লাইন।

ধর্মশালায় পর্যটন বিভাগের অতিরিক্ত নির্দেশক মধু চৌধুরী ‘দিব্য হিমাচল’ সংবাদ মাধ্যমকে জানানো সূত্র অনুসারে-হামিরপুর তথা উনা জেলায় কিছু হোটেল বিনা লাইসেন্সে চলছে খবর পেয়ে পর্যটন বিভাগ অভিযানে নামে। সেই মতো ৪০টি হোটেলকে চিহ্নিত করে তাদের আইন অনুসারে জরিমানা করে সমন পাঠানো হয়। এরপর তাদের মধ্যে কিছু হোটেল তার জবাব দিয়ে নিবন্ধীকরণের ব্যাপারে সময় চেয়েছে। আমরা তাদের সময় দিয়েছি। তবে বাকি বেশিরভাগ হোটেল কোনও জবাব না দেওয়ায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার সমন পাঠাচ্ছি।

পর্যটন বিভাগের এই ফরমান পেয়ে এখন নড়েচড়ে বসেছে নজরে থাকা ৪০টি হোটেলের মধ্যে মাত্র ১৬টি হোটেল। মাত্র এই কটি হোটেল দফতরের কাছে সময় চেয়েছে যে তারা কাগজপত্র তৈরি করে হাজির করছে।পর্যটন বিভাগও তাদের সেই সময় দিয়েছে।তবে বাকি হোটেলগুলির কি হবে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

Published on: মার্চ ২৪, ২০১৮ @ ১১:১৯


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

67 + = 77