শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন অমিত শাহ

Main দেশ ভোট সংবাদ রাজ্য
শেয়ার করুন

এসপিটি নিউজ, বসিরহাট, ১১ এপ্রিলঃ  চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধান্সভা আসনে দু’টি প্ররথক ঘটনায় মোট পাঁচজনের প্রাণ হানি হয়। আজ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে বিজেপির জনসভায় দাঁড়িয়ে সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশান করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন- “ইদানীং দিকে প্রতিটি সভাতে গিয়ে একটা কথাই বলে চলেছেন- অমিত শাহ ইস্তফা দাও, অমিত শাহ ইস্তফা দাও। দিদি, বাংলার জনতা যদি আমাকে ইস্তফা দিতে বলে তবে আমি নতমস্তকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য তৈরি আছি। তবে দিদি, ২ মে বাংলার জনতা আপনাকে রাজ্যপালের ইস্তফা দিতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এটা বাংলার জনতার লড়াই। দিদি আপনাকে বাংলার জনতা বিদায় জানাতে তৈরি হয়ে আছে।”

”দিদির বিদায় তো নিশ্চিত। তবে আপনারা আমার কথা মন দিয়ে শুনুন। দিদি খুব বড় নেত্রী। দশ বছর ধরে বাংলার শাসনভার সামলেছেন। সারা দেশের মানুষ দি্দিকে জানে। ওনার বিদায় ছোটখাটোভাবে হলে ভালো লাগবে? তাই ২০০ আসন জিতে দিদিকে ধুমধাম সহ বিদায় করো। এখন ১৯৯ আসন তো পাক্কা হয়েই আছে। বসিরহাটের প্রার্থীকে বড় ব্যধানে জেতাবেন।” বলেন অমিত শাহ।

এরপরেই অমিত শাহ শীতলকুচির ঘটনার প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন- “চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছে। সেখানে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কিছু যুবক দিদির কথায় প্ররোচিত হয়ে বুথের উপর হামলা করে।সিআইএসএফ-এর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার প্রয়াস করে। সিআইএসএফ-কে বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয়। তাতে চার যুবকের প্রাণ চলে যায়। আমাদের সকলের কাছে এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।”

“কিন্তু আমি জানতে চাই যে যুবকরা এই প্রয়াস কেন করেছিল? ওই আসনে কিছুদিন আগে মমতা দিদির মিটিং ছিল। উনি সেখানে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন- যুবক, মহিলারা এগিয়ে যাও।সিআরপিএফ-কে ঘিরে ফেলো। ওদের উপর হামলা করো। দিদি, আপনি এ কথা বলে তো চলে গেলেন। কিন্তু আপনার কারণে ওই চার যুবকের প্রাণ চলে গেল অকালে।”

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শীতলকুচিতে বিজেপি কার্যকর্তার মৃত্যুর ঘটনা টেনেও তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বলেন-“ওই একই বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির এক কার্যকর্তাকে খুন করা হল। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা সকাল সাড়ে সাড়ে সাতটা নাগাদ গুলি করে হত্যা করে। দিদি, আপনি এই চারজনের বিষয়ে তো চোখের জল ফেলছেন কিন্তু আইন না মেনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু পঞ্চম যে ছেলেটি ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা মারা গেল এর মৃত্যুর জন্য আপনার কোনও দায়বদ্ধতা নেই?”

“আপনি গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদি। আপনার নিজের ভোট ব্যাঙ্কে ধাক্কা লাগলে চোখে জল আসে। কিন্তু রাজবংশী যুবক মারা গেলে আপনার চোখে জল আসে না কেন দিদি?”

“আজ দেখলাম তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেত্রী বলেছেন- দলিত সমাজের ভাইবোন স্বভাব মতো ভিক্ষা চায়।আরে দিদি, এ কি বলছে আপনার দলের লোক। নমশুদ্র সমাজ, মতুয়া সমাজ, রাজবংশী সমাজ বহুদিন থেকে রয়েছে। এদের সম্মান আছে। ওইতিউহ্য আছে। আপনারা তাদের ভিখারি বলছেন।তাদের অপমান করছেন। দিদি আপনি যদি এরদের পক্ষে থাকেন আজই ওই নেত্রীকে দল থেকে বের করে দিন। কিন্তু আপনি তা করবেন না।” বলেন অমিত শাহ।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 16 = 26