শহীদ কর্ণেল সন্তোষ বাবুর প্রতি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর জানালেন অভূতপূর্ব সম্মান-সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল

Main দেশ প্রতিরক্ষা
শেয়ার করুন

মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর 22 জুন সপার্ষদ পৌঁছে যান সুর্যপেটে শহীদ কর্নেল বিক্কুমাল্লা সন্তোষবাবুর বাসভবনে।
মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর কর্নেলের পরিবারকে দিলেন-
পাঁচ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ।
স্ত্রী সন্তোষীকে গ্রুপ ওয়ান চাকরির নিয়োগপত্র।
হায়দরাবাদের শাইকেটে বরাদ্দকৃত বাড়ির জমির নথিপত্র।

 

Published on: জুন ২৫, ২০২০ @ ১৬:৫৫

এসপিটি নিউজ, ২৫জুন: দেশের সুরক্ষায় আমাদের বীর সন্তানরা নিজের প্রাণ বাজি রেখে পরিবার-পরিজিন ছেড়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সেইরকমই ভারত মায়ের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে চীনের সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহীদ হন কর্ণেল সন্তোষ বাবু। ছেলের মৃত্যুর খবর পাপ্যার পরও সেদিন তার মা চোখে জল নিয়ে বলেছিলেন- ‘আমি গর্বিত যে আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ বলিদান দিয়েছে। এমন একজন দেশভক্ত বীর সন্তানের জন্য তার পরিবারের জন্য এগিয়ে এসেছে তেলেঙ্গানা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর নিজেই সেই শহীদ বীর সন্তানের বাড়ি গিয়ে জানিয়ে এসেছেন অভূতপূর্ব সম্মান।যা সারা দেশের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে চিরকাল।

যেভাবে কর্নেলের পরিবারকে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর

  1. যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির হয়ে চীনের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষের পিছনে নানা প্রশ্ন তুলেছিল সেই কংগ্রেস ফের সেদিন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন – কেন তিনি কর্নেল বাবুর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় গেলেন না? তিনি না গিয়ে ভারতের সেনা-জওয়ানদের প্রতি অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তারপরই পেয়ে যান ওই কংগ্রেস নেতা। মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর 22 জুন সপার্ষদ পৌঁছে যান সুর্যপেটে শহীদ কর্নেল বিক্কুমাল্লা সন্তোষবাবুর বাসভবনে।
  2. সেখানে পৌঁছে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন। সেখানে ছিলেন কর্ণেলের বাবা-মা উপেন্দ্র এবং মঞ্জুলা। মুখ্যমন্ত্রী সন্তোষবাবুর স্ত্রী ও দুই সন্তান, অভিগনা ও অনিরুধ তেজাকে – সুর্যপেট শহরে তাদের বাসায় গিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে আসেন। তিনি কর্নেলের পরিবারের সাথে প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়ে যান।কেসিআর তার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং দেশের সুরক্ষার জন্য তাঁর অগাধ ত্যাগের প্রশংসা করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেন যে রাজ্য সরকার সর্বদা কর্নেল সন্তোষের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন-” পরিবারের সদস্যদের যখনই সরকারের কাছে কোনও কিছুর প্রয়োজন হবে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।”
  3. এখানেই তিনি দায়িত্ব শেষ করেননি। মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর কর্নেলের পরিবারের কাছে পাঁচ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ যার মধ্যে সন্তোষীর হাতে চার কোটি টাকার চেক এবং নিহত কর্নেলের বাবা-মাকে এক কোটি রুপি হস্তান্তর করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী সন্তোষিকে গ্রুপ-ওয়ানের চাকরির জন্য একটি নিয়োগ পত্র এবং হায়দরাবাদের শাইকেটে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি বাড়ির জমির নথিপত্র হস্তান্তর করেন। তিনি হায়দ্রাবাদের বনজারা হিলসের কাছে একটি সাইটের বরাদ্দকৃত জমির নথিগুলি কর্নেলের স্ত্রী সন্তোষীর কাছে হস্তান্তর করেন।

নিজের পদ ও কর্মক্ষেত্র ঠিক করবেন কর্নেলের স্ত্রী নিজেই-এমনটা সিদ্ধান্ত সরকারের

যদিও নিয়োগের চিঠিতে পদ ও কোথায় তাকে দায়িত্বে বহাল করা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি, তবুও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জি জগদীশ রেড্ডি, যিনিও সুর্যপেটের বাসিন্দা,  তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেন,  কর্ণেলের স্ত্রী সন্তোষীকে যে কোনও বিভাগেই যেখানে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেখানেই তাকে পোস্ট দেওয়া হবে।

হবে ব্রোঞ্জের মূর্তি, নামকরন হবে রাস্তারও

মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর সফরের আগে, মন্ত্রী জগদীশ রেড্ডি ইতিমধ্যে বিদ্যানগরে কর্নেলের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাদের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। মন্ত্রী সুর্যপেট শহরে জেলা আদালত মোড়ে কর্নেল সন্তোষ বাবুর ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপনের কথাও ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি এই রাস্তার নাম কর্নেল সন্তোষ মার্গ নামকরণ করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়ে যান।

Published on: জুন ২৫, ২০২০ @ ১৬:৫৫

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

67 + = 74