শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করার কথা বললেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

Main বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

  • সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
  • ৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার এ জঘন্য হত্যাকান্ডের পর তদন্ত ছাড়াই দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে চালিয়ে দেন।

সংবাদদাতা-ইবতিসাম রহমান

Published on: মে ৫, ২০১৯ @ ২১:৪৬

এসপিটি নিউজ, ঢাকা, ৫ মে:  “শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার শুধু গাজীপুর নয়, সারাদেশের কৃতি সন্তান ছিলেন। তিনি শুধু শ্রমজীবী মানুষের নেতা নয় , ছিলেন গণমানুষের নেতা। সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি জাতির জন্য জীবন দান করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাকে শুধু শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেই হবে না, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে । তার জ্ঞান, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে ,জীবনে কাজে লাগাতে হবে । তার রক্ত যেন বৃথা না যায় এজন্য তার আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে।” আজ রবিবার ৫ মে রবিবার, সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন, ঢাকায় শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি একথা বলেন ।

হীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের স্মৃতিচারণা

1) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার এ জঘন্য হত্যাকান্ডের পর তদন্ত ছাড়াই দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে চালিয়ে দেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের চেষ্টা করলেও তা করতে দেওয়া হয়নি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের বর্ণাঢ্য জীবনী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেন। তিনি কিভাবে দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দেশের জন্য যুদ্ধ করেন, স্বাধীনতার পর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন, সব কিছু সবিস্তারে বর্ণনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের ইচ্ছায় প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, সর্বশেষে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, অ্যাডভোকেট আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ হারুন-অর-রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এমপি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কূর আহমেদ ও সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, গাজীপুর মহানগার আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আলীমুদ্দিন বুদ্দিন, গাজীপুর জেলা পেশাজীবী পরিষদের নেতা আবদুল মালেক সরকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা গিয়াস উদ্দিন মুরাদ,স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, টঙ্গী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।

একগুচ্ছ কর্মসূচি

2) বক্তাগণ একবাক্যে বলেন, তার মতো সজ্জন ও জনদরদী মানুষ বিরল। তারা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ডের রায় দ্রুত কার্যকরী করার আহবান জানান। আগামী ৭ মে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পু®পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণিকা প্রকাশ , আলোচনা ও স্মরণ সভা।

Published on: মে ৫, ২০১৯ @ ২১:৪৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

25 + = 32